রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১২:৩০ am
নিজস্ব প্রতিবেদক, নিয়ামতপুর :
সামান্য জমির আইলে মাটি কাটা নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষের আঘাতে এক বৃদ্ধসহ ৩ জন গুরুতর জখম হয়েছে। একমাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে মৃত্যুবরণ করেন। এ বিষয়ে মৃত খোদাক্স এর ভাতিজা ও গুরুতর আহত ছাকার উদ্দিনের ছেলে মনজুর আলী বাদী হয়ে ৯জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের ঝাজিরা গ্রামের ছাকার উদ্দিন ও আসামীদের জমি এক জায়গায়। সে সূত্রে জমির আইলের মাটি কাটা নিয়ে সামান্য বিরোধ হয় জুলাই মাসের ৬ তারিখে। পর দিন ৭ জুলাই সকাল ৭টায় ছাকার আলীর চায়ের স্টলে আসামী ঝাজিরা গ্রামের আয়াজ উদ্দিনের ছেলে আফাজ উদ্দিন (৫০), আলমাস (৪৫), আনারুল (৪৮), আনারুলের ছেলে নাহিদ (২৮), মুরাদ (২৫), করিম বক্সের ছেলে আয়াজ উদ্দিন (৭০), আলমাসর স্ত্রী রঞ্জনা (৩৮), আনারুলের স্ত্রী বিউটি (৪০), আফাজ উদ্দিনের স্ত্রী ফাতেমা (৪১) পূর্বের জেরে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছাকার আলী (৬৫), ছেলে মনজুর আলী (৪১) এবং চাচা খোদা বক্সের (৬৫) উপর আক্রমর চালায়। এতে ছাকার আলী, মনজুর আলী ও খোদা বক্স গুরুতর আহত হয়। আহত খোদাবক্স এক মাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ আগষ্ট সোমবার মৃত্যুবরণ করেন।
মনজুর আলী বলেন, ৬ জুলাই আমাদের প্রতিপক্ষ জমির আইলের মাটি কেটে নিলে আমরা নিষেধ করি। কারণ ঐ আইল দিয়ে সাধারণ জনগণ যাতায়াত করে। সে সময় তারা আমাদের বিভিন্নভাবে হুমকি ধুমকি দিলে আমরা চলে আসি। পরদিন আমার বাবার চায়ের স্টলে উপরোক্ত বিবাদীগণ পরিকল্পিতভাবে লাঠি, লোহার রড, কোদায়ে নিয়ে আমাদের উপর আক্রমন করে। আনারুলের হুমুকে আলমাস আমার বাবার মাথায় কোদাল দিয়ে আঘাত করলে মাথা কেটে রক্তাক্ত হয়ে যায়।
আনারুলের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে আমার চাচা খোদাবক্সের মাথায় আঘাত করলে সে সরে গেলে তার বাম পায়ে আঘাত লাগে। এতে তার বাম পা ভেঙ্গে যায়। বাবা ও চাচাকে নিয়ামতপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার চাচাকে রাজশাহীতে স্থানান্তর করেন। সেখানেও উন্নতি না হওয়ায় জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পূনর্বাসন কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে এক মাস চিকিৎসা করেও কোন উন্নতি হয়নি। অবশেষে সে মৃত্যুবরণ করে।
মৃত খোদাবক্স এর ছেলে ফয়সাল বলেন, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের সাহসে এরকম জঘন্য কাজ তারা করতে পেরেছে। আমি আমার বাবার হত্যার বিচার চাই।
এ বিষয়ে নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইন চার্জ মাইদুল ইসলাম বলেন, লাশ ময়না তদন্তর জন্যে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। রা/অ