শুক্রবার, ২০ েপ্টেম্বর ২০২৪, সময় : ০২:৫০ pm
মোস্তফা কামাল (নিজস্ব প্রতিবেদক) মোহনপুর :
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কেশরহাটে আধুনিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠার রুপকর রহমান গ্রুপ। এ গ্রুপে মহাব্যবস্থাপক হাজি আবদুর রহমান। উপজেলার অপ্রসদ্ধি মালিদহ গ্রাম থেকে উঠে আসা আবদুর রহমান ১৯৬৭ সালে কেশরহাট উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন।
ছাত্র বয়সেই তিনি খুঁজে নিয়েছেন কর্মসংস্থান। কলেজে পড়াশুনার আগেই তিনি বাংলাদেশ উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) আওতায় বিভিন্ন ধরনের শস্য সংগ্রহ ও বিপনন ব্যবসায় সম্পৃক্ত হন। এখান থেকেই তিনি ব্যবসায়িক সুনাম অর্জন শুরু করেন।
এসময় থেকে আওয়ামী লীগ দলীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। এরপর ১৯৯৫ সালে তিনি বাংলাদেশ ক্যামিকেল ইন্ড্রাষ্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) সদস্যভুক্ত হন। বিভিন্ন সময় সার সংকট মহূর্তেও তিনি প্রশসংনীয় ভূমিকা রেখেছেন। করোনা কালিন সময় অসহায়দের ত্রাণ বিতরণ ও সার সংকট মহূর্তে সচ্ছতায় সার বিক্রয়ের মাধ্যমে কৃষকসহ সরকারকে সহযোগিতার অংশিদার হাজি আবদুর রহমান পরিবার।
এছাড়াও ছোট বেলায় বেড়ে ওঠা কেশরহাট বাজারকে আধুনিকায়নের স্বপ্ন দেখেন। এজন্য কেশরহাটে প্রতিষ্ঠা করেন রহমান মেডিসিন কর্ণার, রহমান ফিলিংষ্টেশন, কেশরহাট ফিলিংষ্টেশন, রহমান হোন্ডা শোরুম, রহমান পোল্ট্রি ফিড, এবং রহমান ইলেকট্রনিক্সসহ অরো অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তার দুরদর্শিতায় এসকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে শতাধিক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। ব্যয়বহুল ও নতুন নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপণের মাধ্যমে বাজারকে আধুনিক রুপদানের চেষ্টা চালিয়ে আসছেন।
স্থানীয়রা জানান, হাজি আবদুর রহমান কেশরহাটের সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ি। প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় না থাকলেও তিনি রায়ঘাটী ইউনিয়ন পরিষদের প্রভাবশালী সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামীগ নেতা মরহুম আবুল কাশেম মিয়ার সঙ্গে নিবিড় ভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। দিয়েছেন সংগঠন চালানোর হারি-চাঁদা। বর্তমানে তিনি বার্ধক্যে ভুগছেন।
সম্পরতি তারই উত্তরসূরী কেশরহাট রহমান হোন্ডা এবং রহমান মেডিসিন কর্ণারের ব্যবস্থাপক মোস্তাফিজুর রহমান মুস্তাককে আওয়ামী লীগের নানা কর্মসূচি ও সভা সেমিণারে সক্রিয় ভাবে সম্পৃক্ত থাকতে দেখা যায়। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও জনকল্যাণ মুলক কাজে সক্রিয় ভুমিকা রাখছেন।
এসকল বিষয়ে একান্ত আলাপচারিতায় রহমান মেডিসিন কর্ণার ও রহমান হোন্ডার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মুস্তাক বলেন, আওয়ামীলীগে আমার পদ পদবি নাই। আওয়ামী লীগকে ভালবাসি সমর্থন করি, ভোট দেই এজন্য দলীয় নানা সভাসেমিণারে যায়। স্থানীয় আওয়ামী লীগকে সার্বিক সহযোগিতা করি এটা আন্তরিক ভাবে। দলীয় পদ পদবি না থাকলেও দলকে সকল প্রকার সহযোগিতা করে যাবেন বলেও প্রত্যয়ি তিনি। রা/অ