শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৫:৪৫ am
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে রাজনৈতিক দলের পদ বসছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। সরকারি চাকরির পাশাপাশি দলের গুরুত্বপূর্ণ পদেও তারা দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এ ক্ষেত্রে সরকারি চাকরি বিধি ও এ সংক্রান্ত ২০০২ সালের আইনের বিধি-৪ লঙ্ঘন করা হচ্ছে।
জানা গেছে, মহিলা আওয়ামী লীগের বাগমারা উপজেলা কমিটির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে গত শনিবার। এ কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন জাহানারা বেগম। তিনি কাঠালবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
এছাড়াও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি একরামুল হক বানেশ্বর সরকারি কলেজের শিক্ষক। একই কমিটির নির্বাহি সদস্য রোকসানা মেহেবুব চপলা। তিনি মোহনপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের প্রদর্শক পদে কর্মরত। একই কলেজের শিক্ষক মফিজ উদ্দিন কবিরাজ রয়েছেন তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে।
সরকারি চাকরি বিধি ও এ সংক্রান্ত ২০০২ সালের আইনের বিধি-৪ অনুসারে কোনো সরকারি কর্মচারি কোনো রাজনৈতিক দল বা এর কোনো অঙ্গ সংগঠনের সদস্য হতে পারবে না। তারা কোনো ভাবে এ সকল সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকতে পারবে না। দেশে বা দেশের বাইরে তারা কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করতে পারবে না।
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও বানেশ্বর সরকারি কলেজের শিক্ষক একরামুল হক বলেন, তাদের কলেজ সরকারি হলেও এখনো সরকারি বেতন কাঠামোর অন্তর্ভূক্ত করা হয় নি। যে কারণে তাদের রাজনৈতিক পদে থাকতে সমস্যা নেই। রাজশাহীর এমন নয়টি কলেজ রয়েছে যাদের শিক্ষক কর্মচারিরা সরকারি বেতন কাঠামো অনুযায়ি বেতন পায়না।
তিনি আরো বলেন, বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিতে ছয়জন রযেছেন যারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। দুইজন সরকারি স্বাস্থ্য কর্মী এবং চারজন তার মতো সরকারি কলেজের শিক্ষক।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা রাজনৈতিক পদে থাকার বিষয়টি জানা নেয়। এ ধরণের অভিযোগ পেয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সরকারি চাকরি বিধির বিষয়ে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মকবুল হোসেন বলেন, কলেজ যেহেতু সরকারিকরণ করা হয়েছে। সে কারণে সকল কর্মচারি সরকারি চাকুরি বিধির আওতায় পড়বে। তারা কেউ সরকারি চাকরি বিধি লংঘন করে কোনো রাজনৈতিক দল বা তার অংগ সংগঠনের সদস্য হতে পারবে না। আজকের তানোর