বুধবা, ২৫ েপ্টেম্বর ২০২৪, সময় : ০৩:২৩ am
নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর :
রাজশাহীর তানোর পৌর ভবনের চারপার্শ্বেই যেন ভাগাড় আর আবর্জনায় ভরা। পৌরসদরের গোল্লাপাড়া হাটে প্রবেশের রাস্তায় পঁচা কাদায় ডেঙ্গুর বংশ বৃদ্ধি হচ্ছে। এতে আতংকে জনসাধারণরা। এমন পরিস্থিতিতে মশক নিধনের কোন কার্যক্রম নেই পৌরসভায়।
অথচ প্রতি বছর বরাদ্দ এলেও হুদিশ মিলছে না হপার মেশিনের। এতে করে পৌরবাসী ডেঙ্গু আতংকে পড়েছেন। ফলে দ্রুত মশক নিধন ও আবর্জনা এবং ভাগাড় পরিস্কারের জোরালো দাবি তুলেছেন সচেতন নাগরিকরা। নচেৎ মেয়রের বিরুদ্ধে পৌর সচেতন নাগরিক নানা কর্মসূচি ঘোষনা করবেন বলেও একাধিক নাগরিকরা নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, সারা দেশে এখন ডেঙ্গু আতংকে সাধারণ মানুষ। যদিও গ্রামীণ এলাকায় এখনো এরোগের আবির্ভাব ঘটেনি। তার আগেই সচেতন বা মশক নিধনের কথা সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে বলা হলেও তানোর পৌর মেয়র একেবারেই উদাসিন। পৌর ভবনের গ্যারেজ সংলগ্ন জায়গায় আবর্জনায় ভরা। ভবনের উত্তর দিকে পতিত বাড়িতে ছোট ছোট গাছে আবর্জনা। অনেকেই প্রস্রাব পায়খানা করে থাকেন সেখানে। ভবনের পশ্চিমে শ্বশান ঘাট ও শীতলীপাড়া এবং বিল কুমারি বিল।
ভবন থেকে উত্তরে ও মুল সড়ক সংলগ্ন জলাশয়ে বিভিন্ন ধরনের আবর্জনার স্তুপ হয়ে আছে। প্রচুর গন্ধ বের হলেও ভবন থেকে ৫/৭ হাত দুরে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলেও কোন ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি পৌর কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, হিন্দুপাড়া মহল্লার ড্রেনের পঁচা মল মাটি তুলে রাস্তার উপরে রাখা হয়েছে। ওই পাড়ার বিপুল চিমান্তসহ মহিলা পুরুষ রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পৌরসভায় কোন সেবা নিতে গেলে আগেই বলা হয় বাড়ি বা দোকানের কর পরিশোধ আছে কি না। না থাকলে আগে কর পরে সেবা। আমরা পৌরসভার নাগরিক পরিচয় দিতেই লজ্জা লাগে। পাড়ায় যে সব ড্রেন আছে পরিস্কার তো হয় না। যদিও বছরে দুয়েকবার পরিস্কার করা হলেও সেই পঁচা মাটির মল সবই রাস্তার উপরে রাখা হয়। গন্ধে নাকে কাপড় দিয়ে চলতে হয়।
সাবেক কাউন্সিলর মমিনুল হক মুকুল জানান, দেশে যে ভাবে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ছে। তাতে করে আমরাও আতংকিত। কারণ থানা মোড়, গোল্লাপাড়া হাটসহ সদর যেন ভাগাড়ে পরিণত হয়ে আছে। মশার জালায় বসে থাকা যায় না। দ্রুত মশক নিধন ও আবর্জনা পরিস্কার করা সময়ের দাবি হয়ে পড়েছে।
তানোর খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) ওহেদুজ্জামান বলেন, প্রতি বছর ৭/৮ লাখ টাকা করে পৌরসভাকে ট্যাক্স দিয়ে থাকি। অথচ রাস্তাটির বেহাল অবস্থা। সামান্য বৃষ্টি হলেই ট্রাক আসতে পারে না। আসলেও পুতে কিংবা বিকল হয়ে পড়ে। রাস্তাটি নতুন ভাবে করে নেওয়ার জন্য একাধিকবার লিখিত আবেদন করেও কাজ হচ্ছে না।
সূত্রমতে, হাটের নিলামের ১৫% টাকা দিয়ে উন্নয়ন করতে হবে। কিন্তু উন্নয়নের বিপরীতে হাটের জায়গা কেনাবেচা করে পকেট ভরছেন সংশ্লিষ্টরা।
তানোর পৌর মেয়র ইমরুল হক বলেন, মশক নিধনের জন্য উপজেলা পরিষদ চত্বর ও থানা মোড়ে স্প্রে করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব জায়গায় করা হবে। মশক নিধনের জন্য বছরে কত টাকা বরাদ্দ আসে জানতে চাইলে তিনি জানান, এসব জেনে কি হবে। কাজ হচ্ছে কি না সেটা দেখতে হবে বলে এড়িয়ে গেছেন মেয়র ইমরুল হক। রা/অ