রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০১:৫২ pm
সানাউল্লাহ স্বপন, নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর :
গাজীপুর মহনগরের গাছা অঞ্চল থেকে দুই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করেছে অপহরণকারীরা। একটি শিশুর লাশ ইতিমধ্যে উদ্ধার করেছে পুলিশ। অপর শিশুর লাশ উদ্ধারের জন্য টঙ্গী তুরাগ নদের শাখা স্থানীয় বালু নদীতে উদ্ধার অভিযান চলছে। এব্যাপারে রোববার জিএমপি গাছা থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে দুটি অপহরণ ঘটনার বর্ণনা গণমাধ্যমে তুলে ধরে পুলিশ। অপহরণে জড়িত দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্রের সদস্য বলে স্বীকার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন আলী আকবর (২৪)। সে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ থানার পুটিয়া গ্রামের পিতা- মৃত আলী জব্বার সর্দার, সাং- পুটিয়া, থানা- ভেদরগঞ্জ, জেলা- শরীয়তপুর, এ/পি- তালতলা, হায়দারাবাদ (আবুল এর বাড়ীর ভাড়াটিয়া), থানা- পূবাইল, গাজীপুর মহানগর, আসামী আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জিএমপি উপ পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইলতুৎ মিশ জানান, গত ২০ ফেব্রুয়ারি সকাল সোয় ১১ টায় তিন বছরের ছেলে শিশু নিহাদ অপহরণ হয়। নিহাদের মা নার্গিস সততা মিনি সোয়েটার নামের একটি সাব-কন্টাক কারখানায় চাকরি করেন। ঘটনার সময় নিহাদ ওই কারখানার গেটে খেলঅ করছিল। এসময় সেখান থেকে অপরণের শিকার হয়। এ ঘটনায় অপহৃত শিশুর বাবা গার্মেটন্ট শ্রমিক হানিফ আলী গাছা থানায় মামলা করেন। এর পর শিশুটিকে উদ্ধারে অভিযানে নামে পুলিশ। ঘটনাস্থলের সিসি টিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে অপহরনকারীকে দেখা গেলেও তাকে শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। অবশেষে অপহরণের তিন দিন পর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শ্যামপুর থানাধীন তিনতালা বিল্ডিংয়ের পানির ট্যাংকির ভেতর থেকে নিহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে গত ৯ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টায় গাছা থানাধীন পূর্ব কলমেশ^র এ্যারাইভ্যাল গার্মেন্টস এর পেছন হতে সুমাইয়া আক্তার সুমু ওরফে রুবা নামে দুই বছর আট মাসের শিশু অপহৃত হয়। অপহরণকারীরা শিশু রুবার বাবার কাছে মোবাইল ফোনে ৫ লাখ টাকার মুক্তিপণ দাবী করে। এ ঘটনায়ও গাছা থানায় পৃথক আরেকটি মামলা হয়। এ দুটি অপহরণের ঘটনায় টনক নড়ে জিএমপি পুলিশের। অবশেষে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপহরণকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য আকবরকে প্রথমে গ্রেফতার করে পুলিশ। আকবরের দেয়া তথ্যে তার খালাতো ভাই আনোয়ারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা দুটি অপহরণের দায় স্বীকার করে ঘটনার বর্ণনা দেয়।
আনোয়ার ও আকবর জানায় শিশু রুবাকে মেরে বস্তায় ভরে তুরাগের শাখা বালু নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে শিশু নিহাদের হত্যাকা-ের দায় স্বীকার করে তারা দুটি শিশুর জামা-কাপড়ের সন্ধান দেয়। শিশু দুটর পরিবারকে এসব জামা-কাপড় দেখিয়ে তারা মুক্তিপণ আদায় করার পরিকল্পনা করছিল বলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানায়। জিএমপি ডিসি ইলতুৎ মিশ জানান, তারা রুবার লাশ এখনো খোজে পাননি। লাশটি উদ্ধারের জন্য দমকল বাহিনীর সহযোগিতায় বালু নদীতে তল্লাশি চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, এডিসি-অপরাধ(দক্ষিণ) হাসিবুল আলম, গাছা জোনের এসি আহসানুল হক, গাছা থানার অফিসার ইচার্জ মো. ইসমাইল হোসেন। আজকের তানোর