সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:৪৪ am
নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীতে অবস্থিত ভারতীয় ভিসা সেন্টারে (আই-ভ্যাক সেন্টার) প্রেবেশ করে ইনচার্জসহ অফিসের সদস্যদের হুমকি-ধামকি এবং ভিসা দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে অর্থ আত্মসাতের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভিসা সেন্টার কর্তৃপক্ষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ওই নারীকে গ্রেপ্তার করে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে তাকে প্রতারনার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত ওই নারীর নাম নুরুন্নাহার খাতুন মিলি। তিনি রাজশাহী নগরীর উপশহর নিউমার্কেট এলাকায় অবস্থিত রাফি টুরস এ্যন্ড ট্রাভেল্সের স্বত্বাধিকারী এবং উপশহর এলাকার সেক্টর নং ১ এর একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোয়ালিয়া থানার অফিস ইনচার্জ (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন।
তিনি জানান, মহানগরীর বর্ণালীর মোড়ে অবস্থিত ভারতীয় ভিসা সেন্টারের ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহা অভিযুক্ত মিলির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে, ভুক্তভোগী একাধিক সেবাগ্রহীতা মিলির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে জানান, গ্রেপ্তারকৃত ওই নারী অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে ভারতীয় ভিসা করিয়ে দেওয়া সহ ভারতীয় হাসপাতালের রোগী পাঠানো কাজ করে থাকেন। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেবাগ্রহীতারা তার কাছ থেকে প্রতারিত হয়েছেন। এবিষয়ে কোন কথা কলতে গেলে ওই সব সেবাগ্রহীতাদের নারী দিয়ে ফাসিয়ে দেওয়া হতো। এই ভয়ে কেউ কোন অভিযোগ করতে সাহস পেতো না।
ভারতীয় ভিসা সেন্টারের ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, কিছুদিন আগে রাজশাহী ভিসা সেন্টারে একজন আবেদনকারী তার পরিবারের মোট তিনটি ভিসার কাগজপত্র নিয়ে আসেন। আমরা তার আবেদনপত্র অনলাইনে যাচাই বাছাই করে দেখি তিনি আবেদনের নির্ধারিত ফি জমা না দিয়েই এসেছেন। তাকে বিষয়টি অবগত করা হয়।
এসময় তিনি আরো জানান, স্থানীয় একটি টুরস এ্যন্ড ট্যাভেলসের এক নারীর মাধ্যমে তিনি অনলাইনে ভিসার ফি পরিশোধ করেছেন। ভারতীয় তিনটি ভিসার জন্য নির্ধারিত ফি ২ হাজার ৫২০ টাকা। সেখানে ওই আবেদনকারীর কাছ থেকে নেয়া হয়েছে ৭ হাজার ৫০০ টাকা। অথচ ওই আবেদনকারীর কোন টাকাই পরিশোধ করা হয়নি। আবেদনকারী উল্টো আমাদেরকে সন্দেহ করেন। আমরা বুঝতে পারি আবেদনকারী প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এর পর আমরা তাকে পুলিশে অভিযোগের পরামর্শ দেই।
বিপ্লব কুমার সাহা আরও বলেন, এই ঘটনার পর ৩ জুলাই সকাল ৯ টা ৪০ মিনিটের দিকে আমাদের ভিসা সেন্টারে একজন নারী (নুরুন্নাহার খাতুন মিলি) এসে আমিসহ আমাদের অফিসের সকল স্টাফকে হুমকি-ধামকি প্রদানসহ আমাদের চাকরি থেকে বরখাস্তের ভয় দেখান। ঘটনার পর অফিসের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে আমি মহনগরীর বোয়ালিয়া থানায় বৃহস্পতিবার একটি লিখিত অভিযোগ করি। এর পর থানা কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে সহযোগীতা করে ও অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। আমাদের ভিসা সেন্টারে এমন ঘটনা এটাই প্রথম। রা/অ