সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:২৩ am
ডেস্ক রির্পোট :
৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাৎ দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত আগামী ৯ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত খানের দ্বৈত বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) এ আদেশ দেন।
পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আজ সময় আবেদন করেন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের আইনজীবী। এসময় আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ৫০০ কোটি টাকার বেশি আত্মসাৎ। টাকা কি বাতাসে খেয়েছে? যারা দুর্নীতিতে যুক্ত তাদের নাম না দিলে এই রিপোর্টের কোনো দাম আছে? কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। যেই হোক, যে পর্যায়েই হোক, মানি লন্ডারিংয়ের বিষয়ে কঠোর অবস্থান থাকবে। সব জেলে ঠুকে দিবো। ধরবো আর জেলে ভরে দিবো।
আদালতে বিসিআইসির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোল্লা কিসমত হাবিব। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। পরে আদালত পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৯ জুলাই সময় নির্ধারণ করে আদেশ দেন।
সরকারিভাবে আমদানি করা ৭২ হাজার মেট্রিক টন রাসায়নিক সার বন্দর থেকে খালাসের পর গুদামে না পৌঁছে আত্মসাৎ করার অভিযোগ ওঠে পরিবহনের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পোটন ট্রেডার্স। এতে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৫৮২ কোটি টাকা।
গত ৫ জুন ৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাতের বিষয়ে বিসিআইসিকে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। পাশাপাশি দুদককে এ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
পোটন ট্রেডার্সের সার আত্মসাৎ তথ্য প্রমাণ উঠে এসেছে সারের আমদানিকারক শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি প্রতিষ্ঠান রসায়ন শিল্প সংস্থার বিসিআইসি দুটি তদন্তে। এতে বলা হয়-সারগুলো খালাস হয়েছিল ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের ১৫ মে’র মধ্যে । সার সরবরাহ না করার পর সাত মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি বিসিআইসি। সূত্র : চ্যালেন২৪