সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:৪০ am
নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর :
রাজশাহীর তানোরে হতদরিদ্র ভূমিহীন দুটি পরিবারকে উচ্ছেদের পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে।স্থানীয়রা জানান, কৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত সেফাতুল্লাহ সরদারের পুত্র বিত্তশীল প্রভাবশালী প্রভাষক সাদেকুল ইসলাম বাচ্চু। তিনি নীতিমালা লঙ্ঘন ও জালিয়াতি করে ওই সম্পত্তি গোপণে লীজ নিয়ে ভুমিহীন দুটি পরিবারকে উচ্ছেদে মরিয়া হয়ে উঠেছে।এঘটনায় গ্রামবাসির মাঝে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে, বিরাজ করছে বিস্ফোরণমুখ পরিস্থিতি। এদিকে ভুমিহীন পরিবার দুটি সাদেকুল ইসলাম বাচ্চুর লীজ বাতিল ও তাদের নামে লীজ দেবার জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভুমি) কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের (ইউপি) জেল নম্বর ৯৮, কৃষ্ণপুর মৌজায় আরএস খতিয়ান নম্বর-১ ও আরএস ১১৫৩ নম্বর দাগে প্রায় ১০ শতাংশ। উক্ত সম্পত্তির মাটির ঘর প্রায় ৩০ বছর যাবত শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছেন কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা মুনসুর রহমানের পুত্র ভূমিহীন গোলাম মোস্তফা এবং একই গ্রামের মৃত জোনাব আলীর কন্যা ভূমিহীন সাহানারা। কিন্ত্ত প্রভাষক সাদেকুল ইসলাম বাচ্চু নীতিমালা লঙ্ঘন ও জালিয়াতির মাধ্যমে ভুমিহীন দুটি পরিবারের বসতঘরসহ বিভিন্ন দাগে আরো প্রায় শোয়া দশ বিঘা জমি লীজ নিয়েছেন।
গ্রামবাসি জানান, সাদেকুল ইসলামের নামে ৩৫টি মামলা আছে, সে কলেজের প্রভাষক ও ইলেক্ট্রনিক্স ব্যবসায়ী এবং শতবিঘা সম্পত্তির মালিক সে এসব জমি ইজারা পায় কি বিবেচনায়। তাহলে এলাকার হতদরিদ্র ভুমিহীনরা কোথায় যাবে। গ্রামবাসি আরো বলেন, তার যে বিপুল পরিমাণ সম্পদ তিনি সরকারি কোষাগারে কত টাকা আয়কর দেন এবং এর সম্পদের অনুসন্ধান করা প্রয়োজন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) আবিদা সিফাত বলেন, আবেদন পেয়েছি, বিষয়টি সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন দেবার জন্য মুন্ডুমালা ভুমি অফিসের কর্মকর্তা তহসিলদারকে নির্দেশ দিয়েছেন।এবিষয়ে জানতে চাইলে সাদেকুল ইসলাম বাচ্চু এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি বৈধভাবে এসব সম্পত্তি লীজ নিয়েছেন, তারা অবৈধভাবে দখলে রেখেছেন।
এব্যাপারে জানতে চাইলে সাহানারা বলেন, তারা ভুমিহীন তাদের মাথা গোঁজার কোনো ঠাঁই নাই, এই বসতঘর তাদের একমাত্র সম্বল। রা/অ