বৃহস্পতিবর, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১২:৪২ pm
এম এম মামুন, নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীর বাঘায় আজিজুল আলম (৫০) নামে এক ব্যক্তির ক্ষত ও বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের ছোট ছেলে ছনি (২০) কে আটক করছে পুলিশ। শুক্রবার (১২ মে) সকালে বাঘা উপজেলার চক আমোদপুর গ্রামের একটি পুকুর পাড় থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত আজিজুল আলম চক আমোদপুর গ্রামের মৃত ইয়াকুব প্রামানিকের ছেলে।
স্থানীয় লোকজন জানান, শুক্রবার সকাল আনুমানিক ৬ টার দিকে ঝরে পড়া আম কিনতে সাইকেল নিয়ে বের হয় একই গ্রামের খাইরুল ইসলাম। এ সময় তিনি গ্রামের জনৈক শহিদুল ইসলামের পুকুর পাড়ে আজিজুল আলমের মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার শুরু করে। পরে আশ পাশের লোকজন ছুটে এসে লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেছে। নিহতের গলা, চোখ, শরীর এবং মুখমন্ডলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নিহতের ভাই গোলাম মোস্তফা জানান, ১৯৯৮ সালে আজিজুল আলম তার স্ত্রী পারুল বেগমকে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছিল। এরপর পুলিশ তাকে আটক করলে তিনি ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিলে আদালতের বিচারক তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন। এর পর করোনা কালিন সময় তিনি জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরেন এবং তার দুই সন্তানসহ প্রতিবেশীদের সঙ্গে খারাপ আচারণ শুরু করেন। নিরুপায় হয়ে তাকে তার দুই ছেলে ফারুক ও ছনি তার হাত ও পা শিকল বেঁধে ঘরে বন্ধী করে রাখেন । এভাবে এক মাস অতিবাহিত হলে জানালা ভেঙে পালিয়ে যান আজিজুল আলম। এরপর থেকে তিনি ভাই ও ভাতিজার বাড়িতে কখনো আম বাগান আবার কখনো মানুষের বাড়ির (বৈঠক খানা) বারান্দায় শুয়ে রাত কাটাতেন।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমরা লাশ উদ্ধার করেছি। লাশ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আমরা এ ঘটনার সঙ্গে কারা সম্পৃক্ত থাকতে পারে সেটা অনুসন্ধান করে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করার চেষ্টা করছি। তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের ছোট ছেলে ছনিকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। রা/অ