সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৯:১২ pm
আব্দুস সবুর (নিজস্ব প্রতিবেদক) তানোর :
আমের আঠি বা পরিপক্ব না হতেই প্রচন্ড খরতাপে ফেটে ঝরে পড়ছে আম। ছোট বড় মাঝারিসহ সকল গাছ থেকে দিনরাত সমান তালে ঝরছে।
আবার রাতে কুয়াসার কারনে আমের গোড়ার দিক নরম হয়ে পড়েছে এবং ফেটে যাওয়া আমে কালো দাগ লক্ষ করা যাচ্ছে। গাছের গোড়াই পড়ে থাকছে অপরিপক্ক সাইজের আম।
ফেটে যাওয়ার কারনে কেউ নিচ্ছে না। গাছের নিছেই পড়ে থেকে পঁচে যাচ্ছে। এতে করে আম চাষী ও বাগান মালিকরা চরম দু:শ্চিন্তায় পড়েছেন।
তবে ঈদের পরদিন রবিবার সামান্য বৃষ্টি হওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে আছেন চাষিরা। কিন্তু আমের ফলন কম হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, টানা প্রায় ১৫ দিন প্রচন্ড তাপমাত্রার কারনে আম ঝরে পড়েছে ব্যাপক হারে ঝরে পড়েছে , লিচু ও কাকজি লেবু। গাছের পাতা ডালপালা মরে ভেঙ্গে পড়ে গেছে।
এমনকি আম নরম হয়ে পড়েছে, লালচে কালার ধারন করেছে। আবার রাতে কুয়ার কারনে আমের গোড়া ভিজে ঝরছে।
আম বাগান মালিক সুলতান জানান, প্রচুর রোদের তাপের কারনে আম ঝরেছে এবং পাতাও পড়ে গেছে।
গত বার যে পরিমান ফলন হয়েছিল তার চেয়ে অনেক কম হবে। যে পরিমান আম এসেছিল গাছে যদি খরতাপ না হত ও সময়মত বৃষ্টি হলে গতবারের চেযে দ্বিগুন ফলন হত।
শুধু আম না লিচুও ঝরেছে। তবে কয়েকদিন ধরে আবহাওয়া নরম গুড়িগুড়ি বৃষ্টির কারনে কম ঝরছে। কিন্তু প্রচন্ড ঝড় হলে গাছে আম থাকবে কিনা সন্দেহ।
হান্নান নামের এক ব্যাক্তি জানান, বাড়ির ভিতরে কাকজি লেবুর গাছ আছে। প্রচুর লেবু ধরেছিল। কিন্ত তাপমাত্রার কারনে লেবু এখনো ছোট আছে। রোদের কারনে বাড়েনি ও নরম হয়ে গেছে।
মামুন নামের আম বাগান মালিক জানান, গতবার প্রচুর আম পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু এবার অর্ধেক পাওয়া যাবেনা।
উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠেছিল। মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারেনি। তাপদাহের কারনে আম ঝরেছে।
আর জিং ভিটামিন ও গাছের গোড়ায় পানি এবং গাছে স্প্রে না করার কারনে ফেটে যাচ্ছে। তবে ফেটে যাওয়ার পরিমান কম।
আম গাছে জিং ভিটামিন স্প্রে ও গাছের গোড়ায় নিয়োমিত পানি দিলে ঝরবেও কম এবং ফটবেও না।
আমরা বাগান মালিক ও চাষীদের সার্বক্ষণিক মাঠে থেকে পরামর্শ দিচ্ছি। একারনে উপজেলায় আম অনেক কম ঝরেছে।
এবারে উপজেলায় সোয়া ৪০০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। গতবার ১৩ মে:টনের বেশি ফলন হয়েছিল।
এবারো ঝরে পড়লেও গতবারের চেয়ে বেশি ফলন হবে। কারন এবার প্রতিটি গাছে পর্যাপ্ত আম এসেছে।
আবার ঈদের পরদিন বৃষ্টি হয়েছে, আবহাওয়া ভালো আছে এবং বুধবারেও গুড়িগুড়ি বৃষ্টি পড়ছে এজন্য ঝরে পড়া বা ফেটে যাওয়ার সম্ভবনা নাই বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা।
তবে বুধবার বিকেল ৪.৪৬ মিনিটের দিকে প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টির সাথে বজ্রপাতও শুরু হয়েছে। একারনে চরম বেকায়দায় পড়েছেন বোরো ধান কাটা কৃষক শ্রমিকরা। তা/অ