শনিবর, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:৩৯ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার ফরহাদ মোল্লা (২১) নামের এক কলেজছাত্র তিন দিন আগে বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে মা-বাবাকে বলেছিলেন বন্ধুর সঙ্গে যশোরে বেড়াতে যাচ্ছেন। কিন্তু সেখানে বেড়াতে না গিয়ে প্রেমিকাকে আনতে গিয়েছিলেন ফরহাদ মোল্লা (২১)। তাঁর প্রেমিকা আসতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি ক্ষোভে সেখানে বিষপান করেন। পরে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। বুধবার (৮ মার্চ) বিকেল তিনটার দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ফরহাদের লাশ ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
বিষপানে ফরহাদের মৃত্যু হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁর দুই চাচা নাঈমুল ইসলাম ও রেজাউল করিম। নিহত ফরহাদ মোল্লা রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার ধরমপুর গ্রামের মোস্তাকিন মোল্লার ছেলে। তিনি ধরমপুর মহাবিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। এদিকে একমাত্র ছেলে ফরহাদকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন তাঁর মা-বাবা। ছেলে হারানোর শোকে তাঁর পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
ফরহাদের চাচা নাঈমুল ইসলাম জানান, ফরহাদ যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার এক মাদ্রাসাছাত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক করেছিলেন। ফরহাদের সঙ্গে রাজশাহীতে আসতে চেয়েছিলেন ওই ছাত্রী। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার সকালে মোবাইল ফোনে ওই ছাত্রী তাঁদের সম্পর্ক প্রত্যাখ্যান করায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ফরহাদ। এরপর গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ঝিকরগাছা ব্রিজের ওপর দাঁড়িয়ে বিষপান করেন তিনি।নিহত ফরহাদের চাচা নাঈমুল বলেন, ‘ওই ছাত্রী সম্পর্ক প্রত্যাখ্যান করায় ফরহাদ বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে।’ ফরহাদ যশোরের ঝিকরগাছা ব্রিজের ওপর দাঁড়িয়ে বিষপান করেন বলে দাবি করে নাঈমুল আরও বলেন, ‘বিষপানের বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয়রা দ্রুত তাঁকে ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।’
ফরহাদের আরেক চাচা ব্যাংক কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, ‘মা-বাবাকে বন্ধুর সঙ্গে বেড়াতে যাচ্ছি বলে গত রোববার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয় ফরহাদ। পরে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় গিয়ে আত্মহত্যা করে। রা/অ