মঙ্গবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০২:২৬ am
নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিভিন্ন নিয়োগ এবং ভর্তি পরীক্ষার জাল প্রশ্নপত্র ও প্রবেশপত্র তৈরি করে ডিজিটাল জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেয়া চক্রের মুল হোতা নয়ন ইসলামকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর তার কাছ থেকে বিপুল সংখ্যক বিভিন্ন পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ড, পরীক্ষার প্রবেশপত্র, জীবন বৃত্তান্ত, নাগরিক সনদপত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে যশোহরের বেনাপোল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বুধবার দুপুরে আরএমপি সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করে নয়নকে গ্রেপ্তারের বিস্তারিত জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বিজয় বসাক। গ্রেপ্তার নয়ন ইসলাম রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার আচিনঘাট এলাকার আজগর হোসেন মন্ডলের ছেলে। তিনি মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার উপশহর এলাকায় বসবাস করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানান , গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বেসরকারি টিভি চ্যানেল নিউজ২৪ একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয় সারাদেশব্যাপী আসন্ন মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস, জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তির সুযোগ করে দেওয়া ও বিভিন্ন চাকরির প্রলোভন দিয়ে মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু এবং চাকরি প্রার্থীদের নিকট হতে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের সদস্যগণ নগরীর বোয়ালিয়া থানাধীন নিউমার্কেট সংলগ্ন পিজি টাওয়ার বিল্ডিং-এর ১০ম তলায় অবস্থান করছে।
এখান থেকেই তারা নগরীর বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের মালিকদের সহযোগিতায় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে ভর্তিচ্ছ ও চাকরি প্রত্যাশীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের নিকট হতে পরীক্ষার প্রবেশপত্রের কপি এবং চুক্তি মোতাবেক অর্থের জিম্মা হিসাবে তাদের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার মূল সনদপত্র, রেজিস্ট্রেশন কার্ড সংগ্রহ-সহ প্রাথমিক খরচ বিকাশ, রকেট এবং নগদ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নগদ টাকা সংগ্রহ করে।
বিষয়টি আরএমপি’র পুলিশ কমিশনার আনিসুর রহমানের নজরে আসে। তিনি বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে রাজশাহী মহানগর গোয়ন্দা পুলিশ (ডিবি)-কে নির্দেশ প্রদান করেন। এর পর আরএমপি গোয়েন্দা টিম জালিয়াত চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারের অভিযান শুরু করেন। পরবর্তীতে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের টিম নগরীর পিজি টাওয়ারের ১০ম তলায় অভিযান পরিচালনার জন্য গেলে জালিয়াতি চক্রের সদস্যরা গোয়েন্দা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়।
ফ্ল্যাটের মালিকের মাধ্যমে জানা যায় ভাড়াটিয়ার নাম নয়ন ইসলাম। সে নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে তার অন্যান্য সহযোগীদের নিয়ে বসবাস করতো। বাড়ির মালিক আরও জানান, নয়ন নিজেকে কখনও ডাক্তার, কখনও সরকারি কর্মকর্তা বা এনজিও কর্মী পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন চাকরি প্রার্থী ও ভর্তিচ্ছু ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে যোগাযোগ করে। অনেকে এখানে আসা-যাওয়া করে। রা/অ