শুক্রবার, ২০ েপ্টেম্বর ২০২৪, সময় : ০৩:৩৩ pm
ডেস্ক রির্পোট :
নানা আলোচনা ও বিতর্কের মুখে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ বই দুটির পাঠদান প্রত্যাহার করা হয়েছে। পাশাপাশি তিনটি বই সংশোধনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ বই দুটি পাঠদান থেকে প্রত্যাহার করা হলো। এ শ্রেণি দুইটির জন্য প্রণীত ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের ‘অনুশীলনী পাঠ’ ও ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ বইয়ের কিছু অধ্যায়ের প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হবে। পাঠ্যবইগুলোর অন্যান্য সব অধ্যায়ের পাঠদান অব্যাহত থাকবে। সংশোধনীগুলো শিগগির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে জানানো হবে।
এবার নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হয় প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে। প্রত্যাহার হওয়া দুটি বইসহ কয়েকটি পাঠ্যপুস্তকের বিষয়বস্তু নিয়ে নানা আলোচনা ও বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এই পরিস্থিতিতে দুটি কমিটিও গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অবশ্য কমিটির কাজ শেষ হওয়ার আগেই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দুটি বই প্রত্যাহারের কথা জানানো হলো।
এদিকে গতকাল দুপুরে চাঁদপুরের হাইমচরের একটি মাদ্রাসা মাঠে উঠান বৈঠকে বক্তব্য বই দুটি প্রত্যাহারের কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিও। তবে বই নিয়ে মিথ্যাচারে কান না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ধর্ম একটা পবিত্র জিনিস, এটা নিয়ে কি কেউ মিথ্যা কথা বলে? যারা এই মিথ্যাচার করে, তাদের কথা বিশ্বাস করবেন না। বইয়ে কী আছে নিজেরা পড়ে দেখবেন। বইয়ে ইসলামবিরোধী কিছু নেই। পাঠ্যবইয়ে কিছু কিছু জিনিস নিয়ে লোকজন বলছে- এটা না থাকলে ভালো হতো; আমরা বলছি ঠিক আছে, নতুন বই আমরা আবার তৈরি করে দেব।’
উঠান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, হাইমচর উপজেলা চেয়ারম্যান নুর হোসেন পাটোয়ারী, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আহসান উল্লাহ, জেলা পরিষদের সদস্য খোরশেদ আলম প্রমুখ। সূত্র : দৈনিক বাংলা