রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৭:৩৫ am
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঘা :
বরই কাঁচা অবস্থায় সবুজ, আর পাকলে লাল, এ ফলটি প্রায় সবারই খুব প্রিয়। এটি এমন একটি ফল, যেটা কাঁচা হোক বা পাকা হোক, যে কোনো অবস্থাতেই খাওয়ার যায়। সংশ্লিষ্টদের মতে, পুষ্টির দিক থেকে প্রায় ১০ প্রকার উপকারিতা রয়েছে এই ফলে। এ কারণে দেশের গন্ডি পেরিয়ে এবার স্থানীয় সাংসদ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় রাজশাহীর বাঘা উপজেলা থেকে আমের পর পেয়ারার ও বরই রপ্তানি শরু হয়েছে।
বাঘা উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, গত ৫-৬ বছর ধরে বাঘার আম রপ্তানি হচ্ছে ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, সুইডেন, নরওয়ে, পর্তুগাল এবং ফ্রান্স-সহ রাশিয়াতে। সম্পুর্ণ ফরমালিন ও কেমিক্যাল মুক্ত এই আম ইতোমধ্যে বাঘার সুনাম বয়ে এনেছে। আমের পর এবার রপ্তানি শুরু হয়েছে পেয়ারা ও বরই । আর এটি সম্ভব হয়েছে স্থানীয় সাংসদ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের একান্ত প্রচেষ্টায়।
সর্বশেষ সোমবার (১৬ জানুয়ারী) এ উপজেলা থেকে ঢাকার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান “মেসার্স আদাব ইন্টারন্যাশনাল ’’ এর মাধ্যমে উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের সফল শিক্ষিত কৃষক মোঃ শফিকুল ইসলাম সানা ৫ শ’ কেজি পেয়ারা রপ্তানি করেন ইটালিতে । এর পরদিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঐ একই কম্পানীর মাধ্যমে শফিকুল ইসলাম সানা ও বাউসা এলাকার তরুন উদ্যোক্তা শাহিন ইকবালের বাগান থেকে রপ্তানি হয় দেড়’শ কেজি করে মোট তিন’শ কেজি থাই বরই।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে সারাবছর বিভিন্ন ধরনের ফলের চাষ করা হয়। তারমধ্যে কুল বা বরই হচ্ছে বাংলাদেশে অন্যতম একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল। দেশের প্রায় সব জেলাতেই কমবেশি এই কুল চাষ হয়ে থাকে। তবে রাজশাহী, কুমিল্লা, খুলনা, বরিশাল, সাতীরা, বগুড়া, যশহর, চুয়াডাঙ্গা ও ময়মনসিংহে ভালো এবং উন্নতজাতের কুল বা বরই চাষ হয়। এ দিক থেকে স্বাদে গুনে ভরপুর বাঘার কুল বরই। এ উপজেলা থেকে আমের পর এবার দেশের বাইরে রপ্তানি শুরু হয়েছে পেয়ারা ও কুল বরই। রা/অ