রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৬:১২ am
ডেস্ক রির্পোট :
বগুড়া-৬ (সদর) ও বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে দুটি আসনেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বহুল আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।
সোমবার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে তিনি জানিয়েছেন, এলাকাবাসীর দাবির মুখে সবার মন রাখতে দুই আসন থেকে প্রার্থী হয়েছেন তিনি। ।
হিরো আলম জানান, তার বাড়ি বগুড়া সদরে হওয়ায় তিনি এলাকাবাসীর দাবির মুখে এ আসনে ভোট করবেন। এছাড়া বগুড়া-৪ আসনে তিনি একবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন বলেই এবারো সেখান থেকে নির্বাচনে অংশ নেবেন।
হিরো আলম বলেন, বগুড়া সদর ও কাহালু-নন্দীগ্রামের ভোটাররা যাতে মনোক্ষুণ্ন না হন সেজন্যই তিনি দুটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি আশা করেন, এবার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।
হিরো আলম আরও যোগ করেন, বগুড়া-৪ আসন থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে যেহেতু একবার নির্বাচন করেছিলাম। এবার সেখানকার মানুষের দাবি হিরো আলম যেন প্রার্থী হয়। সেখানে বাদ দিয়ে বগুড়া সদর আসন থেকে ভোট করলে তারা মন খারাপ করবে। তাদের যাতে মন খারাপ না হয়, আমার এলাকার (বগুড়া সদর) বাসিন্দারাও যাতে মন খারাপ না করে; সবার মন রাখতে দুই আসন থেকে নির্বাচন করছি।
দুটি আসনে জয়লাভ করলে কোন আসনে থাকবেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে হিরো আলম জানান, সব ভোটারের ভালোবাসা নিয়েই ভোট করতে মাঠে নেমেছেন। জয়লাভের পর তিনি আসন রাখা বা ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।
এলাকাবাসী জানান, বগুড়া সদরের এরুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা বহুল আলোচিত হিরো আলম এক সময় ডিশ সংযোগের ব্যবসা ও সিডি বিক্রি করতেন। শৈশবে চানাচুরও বিক্রি করেছেন। ২০০৮ সালে তিনি মডেলিং পেশায় নিয়োজিত হন। এরপর নিজের অভিনয় ও মিউজিক ভিডিও গান রেকর্ড করে ডিশে প্রচার করতে থাকেন।
এতে তার জনপ্রিয়তা সৃষ্টি হওয়ায় তিনি বগুড়া সদরের এরুলিয়া ইউনিয়নে পরপর দুইবার সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে হিরো আলম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পেজ খুলে অভিনয় ও মিউজিক গানের দৃশ্য ছড়িয়ে দেন। পরে ইউটিউবে এসব আপলোড করে আলোচনায় আসেন।
সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করা হিরো আলম গত ২০১৮ সালে বগুড়া-৪ আসনের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। সিংহ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৬৩৮ ভোট পান। নির্বাচনে তিনি জামানত হারান। সূত্র : যুগান্তর