শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৫:৫৯ am
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : বুধবার সলিডারিটি এবং গণসাক্ষরতা অভিযানের যৌথ আয়োজনে কুড়িগ্রামে অধ্যাপক শামসুন নাহার চৌধুরী মিলনায়তনে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধ বিষয়ক রংপুর বিভাগীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালা উপলক্ষ্যে সমাপনী আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব কুড়িগ্রাম জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের সভাপতি ও সাবেক সিভিল সার্জন ডা: এস এম আমিনুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার আল আসাদ মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম।
পুলিশ সুপার বলেন, “কবিতায় আমরা পড়েছি ষোলআনাই মিছে কিন্তু কুড়িগ্রাম জেলা ১৬টি নদ-নদী দ্বারা বেষ্টিত। এখানে বত্রিশ আনাই মিছে। আমাদের শিশুদের সাঁতার প্রশিক্ষণ দিতে হবে, অভিভাবকদের অনেক বেশি সচেতন থাকতে হবে। পরবর্তী প্রজন্মকে রক্ষা করা আমাদের প্রধানতম কর্তব্য। জিও-এনজিওর সমন্বয়ে কুড়িগ্রাম জেলায় আমরা পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধে একসাথে কাজ করতে চাই এব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনের সর্বাত্নক সহযোগিতা থাকবে।”
অনুষ্ঠানে আরো অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) উত্তম কুমার রায়, সিভিল সার্জন ডা: মোঃ মনজুর-এ-মুর্শেদ, গণসাক্ষরতা অভিযানের উপ-পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, কুড়িগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো: আনোয়ার হোসেন মন্ডল, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আহসান হাবীব নীলু। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, সলিডারিটি কুড়িগ্রামের নির্বাহী পরিচালক বীরমুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশীদ লাল। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর বাংলাদেশের কান্ট্রি লিড ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ রূহুল ক্দ্দুূস।
উক্ত কর্মশালায় কমিউনিটি, শিক্ষক, এনজিও প্রতিনিধি, মিডিয়া, যুব প্রতিনিধি, ভুক্তভোগী অভিভাবক এবং সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাসহ প্রায় ৬০ জন অংশগ্রহণ করেন। উপস্থিত অংশগ্রহণকারীরা ছয়টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধে বিদ্যমান সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ, করণীয় এবং কার কি দায়িত্ব তা লিখে অতিথিদের সামনে উপস্থাপন করেন।
উল্লেখ্য, মিডিয়া নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘সমষ্টি’ এর মিডিয়া মনিটরিং রিপোর্ট অনুযায়ী রংপুর বিভাগে ২০২২ সালের ০১ জানুয়ারি থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পানিতে ডুবে মৃত্যুর শিকার ১৭৫ জন, কুড়িগ্রাম জেলায় ২২ জন এবং ২০২১ সালে রংপুর বিভাগে ১১৫ জন ও কুড়িগ্রাম জেলায় ২৩ জন। তবে, বাস্তব চিত্র এর চেয়েও কয়েকগুণ বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের। রা/অ