শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১২:৫৫ pm
রবিউল ইসলাম মিনাল (নিজস্ব প্রতিবেদক) গোদাগাড়ী :
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) গোদাগাড়ী জোন-১ এর ইন্সপেক্টর মোতাহার আলীর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মোজাম্মেল হোসেন (৪৫)। তিনি উপজেলার কাগঠিয়া স্কীমভূক্ত গভীর নলকূপের অপারেটর হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।
জানা গেছে, ৫০ হাজার টাকা চুক্তির মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা লেনদেন বিষয়েও জানিয়েছেন প্রতক্ষদর্শী আলেয়ারা আক্তুন। তিনি বলেন, নাইমুল ইসলাম (বাইরা) সহড়াপাড়া স্কীমের গভীর নলকূপের অপারেটর ইউসুফ আলীর সাথে কথা বলে চুক্তি করেন বিএমডিএর ইন্সপেক্টর মোতাহারের সাথে। সোলেমান পিতা নইমুদ্দিনকে কাগঠিয়া স্কীমভূক্ত গভীর নলকূপ (ডীপ টিউবওয়েল) অপারেটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার চুক্তিতে এই টাকা লেনদেন করেন বলে জানান আলেয়ারা আক্তুন।
টাকা লেনদেনের এক পর্যায়ে আলেয়ারা প্রতিবাদ জানালে তর্কে জড়ান ইন্সপেক্টর মোতাহার। তিনি বলেন, আমরা কাকে অপারেটর নিয়োগ দেব সেটা আমাদের বিষয়। আপনি এখানে বলারকে বলে হুমকি দেন। এতে তর্কে না জড়িয়ে চলে আসেন তিনি। টাকা লেনদেনের দৃশ্য দেখতে পান উপজেলার জৈট্যাবটতলা এলাকায়।
মোতাহার আলী টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমরা এলাকাবাসীর অভিযোগ পেয়ে তার কাছে থেকে চাবি জব্দ করেছি। এতে অপারেটর ক্ষুব্ধ হয়ে মিথ্যা বলছে। আমি তাঁর কাছে কোন টাকা নেইনি বলে জানান ইন্সপেক্টর মোতাহার।
সাবেক অপারেটর মোজাম্মেল হোসেন জানান, আমি দীর্ঘ ১৮ বছর যাবৎ কাগঠিয়া স্কীমে ডিপের অপারেটর হিসেবে নিযুক্ত আছি। কিন্তু বরেন্দ্রের ইন্সপেক্টর মোতাহার টাকার প্রলোভনে পড়ে আমাকে চাকুরীচ্যুতির পায়তারা করছেন। আমার স্কীমে স্কীমভূক্ত জমির পরিমান ১৫৫ বিঘা। কিন্ত এই স্কীমে জমি চাষ হয় ৩২০ বিঘা। এরমধ্যে ৫/৬ জন কৃষক মোতাহারের সাথে মিশে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আমার পক্ষে ৮১ জন স্কীমভূক্ত কৃষক আছে এবং তাদের জমির পরিমান ৩১১ বিঘা। বাকি ৮/৯ বিঘা জমির মালিকরা আমার বিপক্ষে কাজ করছে।
তিনি আরও জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে এমনটি করছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী মোজাম্মেল। আমার ১৮ বছরের অপারেটর জীবনীতে কখনো কৃষকদের সাথে আমার তর্ক হয়নি। অথচ হাতেগোনা কয়েকজন কৃষকের পক্ষপাতিত্ব করছেন বরেন্দ্র অফিস। কাগঠিয়া স্কীমের কৃষক ফারুক হোসেন বলেন, আমরা কখনো মোজাম্মেলের খারাপ ব্যবহার দেখিনি। মোজাম্মেল সবার সাথে মিলেমিশেই পানি সরবরাহ করে। সবার সাথে কাজ করতে গিয়ে হয়ত দুয়েকজনের মন যোগাতে পারে না। তাই বলে লোকটার হাত থেকে চাবি কেড়ে নেওয়া ঠিক হয়নি। সায়েদ আলী বলেন, মোজাম্মেল ভাল লোক। তার মত করে কেউ পানিবন্টন করতে পারবে না। তাকে বাদ দেওয়া ঠিক হয়নি।
গোদাগাড়ী জোন-১ এর সহকারী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, মোজাম্মেলকে রাখতে হবে এমন কোন কথা আছে? একটা অপারেটর নিয়ে এতো ভাববার সময় নেই। যা খুশি লেখেন। মোতাহার যে টাকা নিয়েছে তার কি প্রমাণ আছে বলে এড়িয়ে গেছেন তিনি। রা/অ