বৃহস্পতিবর, ১৯ েপ্টেম্বর ২০২৪, সময় : ১১:০৬ pm

সংবাদ শিরোনাম ::
ঢাবিতে সব ধরনের রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিখোঁজের সাতবছর পর ছেলেকে ফিরে পেলেন উচ্ছ্বসিত মা তানোরে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত রাসিকের সাবেক কাউন্সিলর মনসুরের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন সেই রুবেল আরও ৭ দিনের রিমান্ডে সিলেবাস সংক্ষিতের দাবিতে রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ শেষে সমাবেশ পবায় উপজেলা প্রশাসনে ও কাটাখালি পৌরসভায় ভোগান্তি চিত্র নায়িকা পরীমণি পালন করলেন ‘বিবাহ বিচ্ছেদ’ দিন এক দফা দাবিতে রাজশাহীতে নার্সদের মিছিল শেষে মানববন্ধন প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) বিশ্ববাসীর জন্য রহমত : দুধরচকী রাজশাহীতে শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ডলার সংকটে বাংলাদেশকে সার দিচ্ছে না সরবরাহকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের নাগরিক সংবর্ধনা বাতিল রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বিচারিক ক্ষমতা পেলো সেনাবাহিনী আন্দোলনের মুখে অবশেষে পদত্যাগ করলেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ বাগমারায় অধ্যক্ষ ও সভাপতির অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়টি গুজব : আসিফ মাহমুদ একদিনের জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা রাজশাহী আসছেন আজ বাংলাদেশ ও ভারত ভিসা জটিলতায় চার যৌথ সিনেমা একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির শাহরিয়ার কবির আটক
চারঘাটে ৫০ বছরের খোরপোশ দাবিতে ৪৬ বছর পর মামলা

চারঘাটে ৫০ বছরের খোরপোশ দাবিতে ৪৬ বছর পর মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার ৪৬ বছর অর্থাৎ ৫০ বছর পর নিজের ও দুই সন্তানের খোরপোশ দাবি করে রাজশাহীর পারিবারিক আদালতে মামলা করেছেন এক নারী।

মামলার আরজিতে শবনাম বেগম নামের ওই নারী উল্লেখ করেন, ১৯৭৭ সালে নাবালক দুই সন্তানসহ তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেন তাঁর স্বামী রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার খোর্দ্দগোবিন্দপুর গ্রামের আ. কুদ্দুস।

শবনাম বেগমের বাড়ি রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার থানাপাড়া গ্রামে। তাঁর দুই সন্তান আদিল হোসেন ও আরিফুল ইসলাম।

মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, ১৯৬৬ সালে আ. কুদ্দুসের সঙ্গে শবনাম বেগমের বিয়ে হয়। বিয়েতে দেনমোহর ধার্য করা হয়েছিল ২০ হাজার টাকা। এ দেনমোহরের মধ্যে ২০০ টাকার গয়না দেওয়া হয়েছিল। বকেয়া ছিল ১৯ হাজার ৮০০ টাকা।

সংসার জীবনে তাদের দুই ছেলের জন্ম হয়। বড় ছেলে আদিল হোসেনের জন্ম হয় ১৯৬৮ সালে, ছোট ছেলে আরিফুল ইসলামের জন্ম ১৯৭৫ সালে। ১৯৭৭ সালে এই দুই নাবালক সন্তানসহ শবনাম বেগমকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই থেকে তাঁদের কোনো খোরপোশ দেওয়া হয়নি।

আরজিতে আরও বলা হয়েছে, স্বামীর সঙ্গে শবনাম বেগমের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বিদ্যমান। গত ২০ আগস্ট সন্তানদের বাবা আ. কুদ্দুসকে বাড়ির কাছে পেয়ে শবনাম বেগম তাঁদের খোরপোশ দাবি করেন। তিনি খোরপোশ দেবেন না বলে জানালে সম্প্রতি শবনাম বেগম মামলা করেন। কারণ, খোরপোশ দেওয়ার মতো যথেষ্ট আর্থিক সক্ষমতা আছে আ. কুদ্দুসের।

আরজিতে শবনাম বেগম নিজের ৬০০ মাসের খোরপোশ দাবি করেছেন। প্রতি মাসের ৫ হাজার টাকা হিসাবে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩০ লাখ টাকা। বড় ছেলে আদিল হোসেনের ১০৮ মাসের (৯ বছরের) একই হারে ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং ছোট ছেলে আরিফুল ইসলামের ১৯২ মাসের (১৬ বছরের) ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা খোরপোশ দাবি করা হয়েছে। এতে মোট খোরপোশের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৫ লাখ টাকা।

শবনাম বেগমের আইনজীবী হজরত আলী বলেন, বিবাদীকে আদালতে জবাব দিতে হবে। সেই অনুযায়ী আদালতে রায় দেবেন।

শবনাম বেগমের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তিনি পৈতৃক ভিটায় একটি জরাজীর্ণ বাড়িতে থাকেন। তাঁর ছোট ছেলে একটি ছোট্ট মুদিদোকান চালান। এ দিয়ে তাঁরা কোনো রকমে দিন কাটাচ্ছেন। এত দিন পর কেন মামলা করেছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাঁর বয়স হয়েছে। এখন আর তিনি চলতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে তিনি আইনের আশ্রয় নিয়েছেন।

তবে আ. কুদ্দুস দাবি করেছেন, তিনি স্ত্রীর আচরণের কারণে ৪৬ বছর আগে তালাক দিয়েছেন। সেই সাক্ষী এখনো আছেন। ৫০১ টাকা দেনমোহর ছিল, সেটা শোধ করে দিয়েছেন। নাবালক অবস্থায় দুই সন্তানের খোরপোশ দিয়েছেন। ৪৬ বছর পর তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। রা/অ

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.