মঙ্গবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৯:৪৫ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে দম্পতিকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ওই দম্পতি আহত হয়ে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
জানা যায়, রাজশাহী নগরীর শিরোইল শান্তিবাগ এলাকার রফিকুল ইসলাম রাজ তার স্ত্রী রশিদাকে নিয়ে শুক্রবার বিকেলে বেরিয়েছিলেন ঘুরতে। পদ্মা নদীর ধার ঘুরে সন্ধ্যার পর সিএন্ডবি মোড় হয়ে ফিরছিলেন বাড়িতে। সিএন্ডবি মোড়ের ব্যস্ততম ওই সড়কে কোনো একজন চলন্ত মোটরসাইকেলে থাকা তার স্ত্রীর হাত ধরে টান দেয়। এতে রাজ ও রশিদা দুজনেই মোটরসাইকেল থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়ে।
দুজনেরই শরীরের বিভিন্ন অংশ রাস্তায় পড়ে ক্ষত হয়। পরে রশিদা লক্ষ্য করেন পুলিশ কনস্টেবলের পোশাক পরিহিত একজন ব্যক্তি তার হাত ধরে টান দিয়েছেন।
ঘটনার পর কয়েকজন পুলিশ সদস্য এবং সার্জেন্ট তাদের মোটরসাইকেলটি জব্দ করেন এবং যানবাহন আটকের একটি রশিদ ধরিয়ে দেয়া হয় রাজকে।
রাজ বলেন, তার ওই মোটরসাইকেলের কাগজপত্র ছিল। তবে তার মাথায় হেলমেট ছিল না। তাই বলে কোনো পুলিশ সদস্য এভাবে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে কাউকে টান দিয়ে ফেলে দিতে পারেন না।
এ সময় রাস্তায় পড়ে থাকা রাজ দম্পতিকে উদ্ধারে এগিয়ে আসা পথচারীরা ওই কনস্টেবলের ওপর চড়াও হলে কর্তব্যরত সার্জেন্ট ওই কনস্টেবলকে ঘটনাস্থল থেকে কৌশলে সরিয়ে দেন।
রাজ আরো বলেন, ঘটনার পর রাস্তায় পড়ে গিয়ে আমি কী করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না। রাস্তায় পড়ে আমার এবং আমার স্ত্রীর হাত পা এবং মাথায় আঘাত লেগেছে এবং ছিলে গেছে। পরে আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যায়। চিকিৎসক দুজনকেই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন। ডাক্তার আমার স্ত্রীর মাজার এক্সরে করতে বলেছেন। পরে কিছুটা সুস্থ হয়ে আমরা বাড়ি ফিরে আসি।
রাজের দাবি, রাজশাহী মহানগর পুলিশের সিসি ক্যামেরা নগরীর বিভিন্ন মোড়ে স্থাপন করা হয়েছে। সিএন্ডবি মোড়েও সিসি ক্যামেরা থাকার কথা। সেই ক্যামেরার ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করলেই ঘটনার সত্যতা বেরিয়ে আসবে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে রাজশাহী মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট সাবিহা বলেন, চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে ওই দম্পতিকে কেউ টান দিয়ে ফেলে দেয়নি। মোটরসাইকেল চালানো অবস্থায় ওই দম্পতির মাথায় হেলমেট ছিল না। তারা পুলিশ চেকপোস্ট দেখে পালাবার সময় নিজেরাই পড়ে গেছে এবং আহত হয়েছেন। এ সময় আমার শরীরে থাকা বডি ওন ক্যামেরা চালু ছিল। বডি ওন ক্যামেরা এবং পাশাপাশি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করলেই পুরো বিষয়টা ধরা পড়বে। রা/অ