মঙ্গবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৫:৪৫ am
আব্দুস সবুর, তানোর :
রাজশাহীর তানোরে এক বিরোধপূর্ণ ভিপি সম্পত্তি বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক রায় পাবার পরও দখল দিচ্ছেন না প্রভাবশালীরা। এতে নিরুপাই হয়ে সম্প্রতি ১৩ সেপ্টেম্বর আব্দুল লতিফ দিং দরখাস্তকারী বাদী হয়ে তানোর এসিল্যান্ড বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু বিবাদী প্রভাবশালী আসাদুজ্জামান পাইলটের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তানোর উপজেলা ভূমি অফিসের সার্টিফিকেট সহকারী ভারপ্রাপ্ত নাজির সাহিনুর রহমান এই অনৈতিক কাজে তাদের সহায়তা করছেন। এতে ওই সম্পত্তি দখলে নিতে আরো বেপরোয়া হয়ে পড়েছেন পাইলট।
ভুক্তভোগীগের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মাদারীপুর গ্রামের জমসেদপুর মৌজায় অবস্থিত আরএস ২৫ নম্বর খতিয়ানে ৩৬ নম্বর দাগে ১৭ শতাংশ জমি রয়েছে। এই সম্পত্তি নিয়ে বিজ্ঞ তানোর সহকারী জজ আদালতে কয়েক বছর আগে মামলা হয়। যার নম্বর ৯৯/২০১৩ অঃপ্রঃ। ভিপি কেস নম্বর ১৬১/৭৮। ওই মমলায় দরখাস্তকারী আব্দুল লতিফ দিং রায় পায়। যা ১৫০৯ নম্বর স্বারকে অবহিত করা হয়। এর ইনফরমেশন স্লীপসহ রায়ের কপি সংযুক্ত করে লীজ বা খাজনা বন্ধের ব্যাপারে আবেদন দেন আব্দুল লতিফ। এতে বিবাদী করা মৃত আফতাব মাস্টারের পক্ষে ছেলে আসাদুজ্জামান পাইলট।
এবিষয়ে আব্দুল লতিফ জানান, ওই সম্পত্তি নিয়ে আদালতে মামলার রায় আমরা পেয়েছি। কিন্তু যে কোন মারফতে জানতে পারি প্রতিপক্ষ প্রভাবশালী মাদারীপুর গ্রামের মৃত আফতাব মাস্টারের পুত্র আসাদুজ্জামান পাইলট যে কোন মূল্যে জায়গাটি লীজ নিতে চায়। এজন্য উঠেপড়ে লেগেছে। আর তাকে সকল ধরনের সহযোগিতা করছেন নাজির সাহিনুর রহমান। বিষয়টি জানতে পেয়ে আবেদনের সঙ্গে বিজ্ঞ আদালতের রায়ের কপি ও দলিল সহ যাবতীয় কাগজপত্র এসিল্যান্ড বরাবর দাখিল করা করা হয়েছে। এরপরও নাজির কোন কিছুর তোয়াক্কা করছেন না। পাইলটকে অনৈতিক কাজে তাদের সহায়তা করছেন।
সম্প্রতি ১৫ অক্টোবর শুক্রবার বিকেলে সরেজমিনে এ প্রতিবেদক মাদারীপুর প্রাথমিক স্কুল সংলগ্ন গ্রামীণ পাঁকা রাস্তার দক্ষিণে পতিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ওই সম্পত্তি। এতে সিমেন্টের ছোট খুটি ও তার দিয়ে ঘেরা রয়েছে। বেশকিছু গাছ কাটাও আছে। মনে হলো দীর্ঘ দিনের। সেখানে কয়েকটি চা স্টল রয়েছে। প্রবীন কিছু ব্যক্তি ছাড়াও নুরুল ইসলাম নামের এক বীর মুক্তিযোদ্ধাও সেখানে ছিলেন। তারা সবাই বলেন, জায়গাটির লতিফেরা মালিক। কিন্তু ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে পাইলট জুলুম করছেন। জায়গাটি নিয়ে আরেক জমির সাথে বিনিময় করেছিল পাইলটের পিতা। কিন্তু ওই জমিও জালিয়াতি করে বিক্রি করে পাইলটরা। আবার এই জায়গাও নিতে চায়। এটা অমানুবিক ও বে-আইনি।
তানোর উপজেলা ভূমি অফিসের সার্টিফিকেট সহকারী ভারপ্রাপ্ত নাজির সাহিনুর রহমান অনৈতিক কাজে তাদের সহায়তার বিষয়ে অস্বিকার করে বলেন, তিনি এসব বিষয়ে অবগত নন। পরে অভিযোগের বিষয়ে নাজিরের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি হুমকি দিয়ে বলেন তারা জমি পাবেন না। তাতে হাইকোর্টের অর্ডার নিতে হলেও নেয়া হবে। আমরা অভিযোগ দিলাম। নিয়ম অনুযায়ী উভয়পক্ষকে নোটিশের মাধ্যমে ডেকে যার যে কাগজপত্র আছে দেখবেন বা শুনানি করবেন বলে তাঁর উর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া কোন মন্তব্য নেই বলে এড়িয়ে গেছেন তিনি।
তবে, এব্যাপারে তানোর সহকারী কমিশনার ভূমি আবিদা সিফাতের ০১৭১৬-১৪৫৪১৪ নম্বর মোবাইলে একাধিকবার ফোন হলেও রিসিভ হয়নি। আজকের তানোর