শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১১:২৫ am
নিজস্ব প্রতিবেদক, গোদাগাড়ী : রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় দুর্বৃত্তের হাতে খুন হওয়া তরুণী সাহেরা খাতুন (২০) ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তাকে কে বা কারা কেন হত্যা করেছে তা বুঝতে পারছে না পরিবার। তাই হত্যার ঘটনায় করা মামলার এজাহারে কারও নাম নেই। অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে। নিহত সাহেরা খাতুনের বাবা দানেস আলী বাদী হয়ে শনিবার রাতে গোদাগাড়ী থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহারে তিনি বলেছেন, তার মেয়ে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। গত বুধবার সন্ধ্যায় সাহেরা বাড়ি থেকে বের হয়। তিনি শ্বশুরবাড়ি যাবেন বলে তার মাকে জানিয়েছিলেন। তবে, বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর থেকেই তার আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
সাহেরার বাবার বাড়ি গোদাগাড়ীর চাতরা গ্রামে। আর শ্বশুরবাড়ি পার্শ্ববর্তী তানোর উপজেলার সরনজাই মির্জাপুর গ্রামে। তার স্বামী ঢাকায় নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করেন।
শনিবার সকালে বাবার বাড়ি থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে গড়গড়িয়া এলাকার একটি ধানক্ষেতে সাহেরার অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়। তার পোশাক ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল ধান ক্ষেতের পাশের দুটি গাছের সঙ্গে। দুপুরে পুলিশ সাহেরার লাশটি উদ্ধার করে।
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, স্ত্রীকে খুনের খবর পেয়ে সাহেরার স্বামী ঢাকা থেকে এসেছেন। কে বা কারা তার স্ত্রীকে খুন করতে পারে তা তিনি বলতে পারছেন না। সাহেরার বাবাও কিছু জানাতে পারছেন না। তিনি অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন।
ওসি জানান, সাহেরার নিজের কোনো মোবাইল ফোন ছিল না। মায়ের মোবাইল ফোনেই তিনি কথা বলতেন। কার কার সঙ্গে তার কথা হয়েছে সেসব তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
ওসি বলেন, প্রাথমিকভাবে আমাদের ধারণা সাহেরা কোনো খারাপ লোকের পাল্লায় পড়েছিলেন। সবকিছুই তদন্ত করে দেখছি। এখনো কোনো কিছু নিশ্চিত হতে পারিনি। তবে তদন্তে সবই বেরিয়ে আসবে। ঘটনার সঙ্গে যে বা যারাই জড়িত থাকুক না কেন- খুঁজে বের করা হবে। আজকের তানোর