মঙ্গবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৪:২৪ pm
ডেস্ক রির্পোট : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের শিখিয়ে গেছেন- আমাদের পররাষ্ট্রনীতির মূল মন্ত্র হচ্ছে- সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়। এই নীতিমালা অনুসরণ করেই আমরা আন্তঃরাষ্ট্রীয় সুসম্পর্ক বজায় রেখে এগিয়ে যাচ্ছি।’
বৃহস্পতিবার ১৩ অক্টোবার সিএমপি সেন্টার এন্ড স্কুল এর পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জাতির পিতা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূল মন্ত্র দিয়ে গেছেন-তা হলো “সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়”। এই নীতিমালা অনুসরণ করেই আমরা আন্তঃরাষ্ট্রীয় সু-সম্পর্ক বজায় রেখে এগিয়ে যাচ্ছি। বর্তমানে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ঐক্য উন্নয়নে বাংলাদেশ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও গৌরবময় ভূমিকা রাখছে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশে গণতন্ত্র অব্যাহত রয়েছে বলেই সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।”
শেখ হাসিনা বলেন, “লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে এই দেশ স্বাধীন করেছি। এটিকে উন্নত সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। জাতির পিতা যুদ্ধবিদ্ধস্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছিলেন।
আমাদের দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার ফসল হলো, আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উন্নীত হওয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছি। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য আরও অনেকদূর যাওয়া।’ দেশকে এগিয়ে নিতে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন তিনি।
মুজিববর্ষে সরকারের অঙ্গীকারের কথা পুনরুল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুর কন্যা বলেন, “আমরা বলেছি বাংলাদেশে একটি মানুষও গৃহহারা, ভূমিহীন থাকবে না। প্রত্যেকের একটা ঠিকানা হবে। ঘরে ঘরে আলো জ্বলবে।
সব মানুষ শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবা পাবে, উন্নত জীবন পাবে, সুন্দরভাবে বাঁচবে এবং প্রতিটি গ্রামই শহরে রূপান্তর হবে। প্রত্যেকে নাগরিক সুবিধা একবারে গ্রামে বসে পাবে। সেইভাবেই আমরা বাংলাদেশকে গড়ে তুলছি।” সূত্র : পদ্মাটাইমস