রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০২:০১ pm
শহিদুল ইসলাম (নিজস্ব প্রতিবেদক) নাচোল : অবশেষে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে গত ৫ অক্টোবর রাতে আগুনে ঝলসানো গৃহবধু সীমা আক্তার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে মারা গেছেন। আজ (৯ অক্টোবর) রোববার রামেক হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
নিহত সীমা আক্তারের খালু সাহাবুল জানান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিট ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের ১০ নম্বর বেডে ৪ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জালড়ে রোববার সকাল ১০টার দিকে সীমা আক্তার মারা যায়। উল্লেখ্য, সীমা আক্তারকে গত ৫ অক্টোবর জনৈক ভ্যানচালকসহ যাত্রীরা রাতের বেলায় দরবেশপুরের রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার করে নাচোল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
খবর পেয়ে নাচোল থানার পুলিশ হাসপাতালে পৌঁছালে রহস্যজনকভাবে আগুনে ঝলসানো নারীর পরিচয় পায়। পুলিশ জানতে পারে ওই মেয়ে নাচোল রেলস্টেশনের হাতাডাউন পাড়ার রোজবুলের মেয়ে ও সাহাপুর গ্রামের মুক্তারুলের স্ত্রী সীমা খাতুন (৩২)। নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক সীমা আক্তারকে ওইরাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত
এবিষয়ে নাচোল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সীমা খাতুনের পক্ষে তার খালু রাজশাহী কাটাখালীর শ্যামপুর মহল্লার সাহাবুল বাদি হয়ে গত ৬ অক্টোবর নাচোল পৌর এলাকার মুরাদপুর গ্রামের মৃত রুস্তুম আলীর ছেলে তমিজ উদ্দিন (৬০)সহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তমিজ উদ্দীনকে নাচোল থানাপুলিশ গত ৬ অক্টোবর রাতে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করে। এরির্পাট লেখা পর্যন্ত অগ্নীদগ্ধ সীমা খাতুনের খালুর অভিযোগের সূত্রধরে থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা রুজু করা হয়। কিন্তু মৃত্যুর খবরে সংশ্লিষ্ট আদালতে হত্যার অভিযোগপত্র দেয়া হতে পারে বলে তদন্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের তমিজুদ্দীন সীমা খাতুনকে চাকুরি দেওয়ার কথা বলে ৪ লাখ টাকা ডোলেশন নেয়। ঘটনার দিন তমিজ উদ্দিন সীমাকে ডোনেশনের টাকা ফেরৎ দেবার কথা বলে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে ওইদিন রাতে দরবেশপুর নামক স্থানে সীমার গায়ে আগুন লাগিয়ে হত্যাচেষ্টা চালানো হয়।
এবিষয়ে নাচোল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিন্টু রহমান বলেন, অগ্নীদগ্ধ সীমা আক্তারের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। এজাহারনামীয় আসামীকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এখন বিজ্ঞ আদালতে সীমা হত্যার অভিযোগপত্র দাখিল করা হতে পারে। তবে, অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওসি। আজকের তানোর