বুধবা, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০১:৫৫ am
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে সকালের নাস্তার খাবার খেয়ে ‘বিষক্রিয়ায়’ অসুস্থ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল ভর্তি হয়েছিলেন দুই বিচারক দম্পতি। ইতোমধ্যেই তারা সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে রিলিজও পেয়েছেন। তবে ওই বিচারক দম্পতির বাসার থাকতেন ( বাসার কাজ করতেন) তাদের আপন ভাতিজি। সেই ভাতিজি সকালের নাস্তার খাবারে ‘বিষজাতীয় কিছু মিশিয়ে দেয়ার অভিযোগে ওই অভিযুক্ত ভাতিজি, বিচারক স্ত্রীর ভাইসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী বিচার জুয়েল অধিকারী।
গতকাল শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে নগরীর রাজপাড়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন তিনি। আজ রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৯টার দিকে মুঠোফোনে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজশাহীর অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল অধিকারী (৪২) ও তার স্ত্রী অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জয়ন্তী রানী (৪০) সকালের খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাদেরকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
মামলার আসামিরা হলেন- ভুক্তভোগী রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ জয়ন্তী রানী দাসের ভাতিজি সুপ্রীতি দাস মৌ (১৪), দায়রা জজের ভাই মানিক চন্দ্র দাস, মানিক চন্দ্র দাসের স্ত্রী, ভাতিজি সুপ্রীতি দাসের পরিচিত এক যুবক, ওই যুবকের বাবা ও মা এবং অন্য আরেকজন।
রামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) খাদ্যে বিষক্রিয়ার পর বিচারক জুয়েল অধিকারী ও তার স্ত্রী জয়ন্তী রানীকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে জয়ন্তী রানীকে কেবিনে ও জুয়েল অধিকারীর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) পাঠানো হয়। তারা কী খেয়ে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তা জানতে পাকস্থলী থেকে নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে।
রামেক হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের ইনচার্জ আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, বিচারক দম্পতির একজনকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছিল। আমরা সমস্ত রকম টেস্ট করেছি। তবে কী ধরনের বিষক্রিয়া ছিল তা পাওয়া যায়নি। খুব সামান্য পরিমাণে বিষক্রিয়া হওয়ায় শনিবার দুপুর ২টার দিকে তারা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে চলে গেছেন।
এ বিষয়ে রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, বিচারক জুয়েল অধিকারী শনিবার গভীর রাতে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। এতে বলা হয়েছে, বিচারক জয়ন্তী রানীর ১৪ বছর বয়সী এক ভাতিজি তাদের বাসায় থাকতো। সকালের নাস্তায় সে হয়তো কারও ইন্ধনে কিছু মিশিয়েছে। তবে কী মেশানো হয়েছিল, তা এখনো জানা যায়নি। আজকের তানোর