সমবার, ২৩ েপ্টেম্বর ২০২৪, সময় : ১১:৩০ am

সংবাদ শিরোনাম ::
দেশের তিন জেলায় বজ্রপাতে ৯ জনের মৃত্যু ভারতীয় সঞ্চালন লাইনে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আনছে সরকার ট্রাইব্যুনাল গঠন ও ৮ দফা দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন নাচোলে গুজব প্রতিরোধে মানববন্ধন অনুষ্ঠতি অনলাইনে সরব, মাঠে নীরব আ.লীগ তানোর প্রেসক্লাব নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, প্রতিক বরাদ্দ ঢালাও মামলার কালচার থেকে বেরিয়ে আসতে হবে : আসিফ নজরুল মোহনপুরে আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সমাবেশ অনুষ্ঠিত মসজিদের বিশেষ আদব ও শিষ্টাচার : হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী মোহনপুরে আ.লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সালাম গ্রেপ্তার, মিষ্টি বিতরণ দুদকের তালিকায় ১০০ ব্যক্তির সম্পদের পাহাড় গড়েছেন যারা আ.লীগ ১৪ দলীয় জোটের নেতা ও মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে ৭৫০ মামলা ঢাবিতে সব ধরনের রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিখোঁজের সাতবছর পর ছেলেকে ফিরে পেলেন উচ্ছ্বসিত মা তানোরে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত রাসিকের সাবেক কাউন্সিলর মনসুরের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন সেই রুবেল আরও ৭ দিনের রিমান্ডে সিলেবাস সংক্ষিতের দাবিতে রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ শেষে সমাবেশ পবায় উপজেলা প্রশাসনে ও কাটাখালি পৌরসভায় ভোগান্তি চিত্র নায়িকা পরীমণি পালন করলেন ‘বিবাহ বিচ্ছেদ’ দিন
রাজশাহী-১ আসনে আ’লীগের প্রার্থী ফারুক চৌধুরীর বিকল্প নেই

রাজশাহী-১ আসনে আ’লীগের প্রার্থী ফারুক চৌধুরীর বিকল্প নেই

আব্দুস সবুর, তানোর : এক সময়ের বিএনপির ঘাটি ছিল এলাকাটি। হয় তো নতুন প্রজন্মের অজানা। জাতীয় স্থানীয় পর্যায়ে ছিল তাদের রাজত্ব। নব্বই দশক থেকে টানা ১৬ বছরের রাজত্বে ছিলেন কেবিনেট প্রভাবশালী মন্ত্রী। বলছিলাম প্রয়াত সাবেক সংস্থাপনপ্রতি মন্ত্রী। পরে ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল বা ওয়ান এলেভেনের আগ পর্যন্ত বিএনপির জয়জয় কর অবস্থা।

তবে, ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে প্রথমবারের মত নৌকা প্রতীকে এমপি ভোটের মাধ্যমে রাজনীতির আগাম বার্তা দিয়েছিলেন, তানোর উপজেলার জমিদার বংশের শহীদ পরিবারের সন্তান সাবেক শিল্পপতি জেলা আ’লীগ সভাপতি ও বর্তমানে রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী।

নতুন প্রজন্ম যে রাজনীতি দেখছে ১৯৯১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপির নেতাদের পুলিশি গার্ডে বাড়িতে আনা নেওয়া পাহারা দিতে হত। প্রয়াত মন্ত্রীর পাশের নেতারা একচেটিয়া রাজত্ব টেন্ডার বাজি টিয়ার কাবিখাসহ নানা প্রকল্প লুটে খেয়েছে। একেকজনও টাকার কুমির হয়ে গিয়েছিলেন। ওই সময়ের সুবিধা বাদীরা আর রাজনীতির মাঠে নেই। উপজেলা পর্যায়ে কোন কর্মসুচিও দিতে পারেন না দলটি। এখানো রয়ে গেছে প্রচন্ড লবিং গ্রুপিং।

আর বর্তমান সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরীর কর্মী বান্ধব নেতৃত্ব। জন সম্মুখে থাকা ও নেতাকর্মীদের সাথে নিয়োমিত যোগাযোগ রক্ষা করে নানা উন্নয়ন মুলুক কর্মকান্ড, নেতাকর্মী সুধী তৈরী করে বিরোধীদের রাজনৈতিক ভাবে দূর্বল করে দেওয় দালালি মাস্তানি করতে না দেওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা নৌকার পক্ষে অবিচল থাকা বিরোধীদের বিরুদ্ধে কথা বলা শ্রদ্ধা স্নেহ মায়া মমতা দিয়ে নবীন প্রবীনদের দলে আকৃষ্ট করা। এছাড়াও দেশরত্নের নেতৃত্বে জীবন বাজি রেখে কাজ করা বিদ্রোহীদের সাথে আতাত না করা সহ ইত্যাদি বিষয়ে পরিস্কার সুস্পষ্টভাবে  জানিয়ে দেওয়ার কারনে নির্বাচনের আগে দলীয় ভাবে প্রচুর ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দলকে মুজবুত করেছেন সেটা দিবা লোকের মত পরিস্কার।

যতটুকু বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, রাজনীতির এক পরিপক্ষ নেতা ফারুক চৌধুরী বিগ ডিলার হিসেবে পরিচিত ক্লিন ইমেজের এমপি । আজ নতুন না বিগত ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় থেকে তার বিরুদ্ধে নিজ দলের কিছু কিনারাহীন নেতারা চালিয়ে যান ব্যাপক ষড়যন্ত। কিন্তু এই অবিচল মানুষটি সবকিছু রাজনৈতিক ভাবে ধর্য্যসহ কারে মোকাবিলা করে বটগাছের ছায়ার মত দলকে সুসংগঠিত করে যাচ্ছেন। ফলে তার নির্বাচনী রাজশাহী-১ ( তানোর- গোদাগাড়ী) আসনে তার বিকল্প দেখছেনা না তৃনমুল থেকে শুরু করে সিনিয়র নেতারা। এজন্য কোন কিছুতেই কর্নপাত না করে আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য সকল ভেদাভেদ ভুলে এক হয়ে কাজ করার আহবান জানান নেতারা।

এই প্রতিবেদক বেশকিছু বিরোধী নেতার সাথে কথা বললে তারা একান্ত ভাবে বলেন, এমপি ফারুক চৌধুরী বলেই তানোর গোদাগাড়ীতে,  মাস্তানি, টেন্ডার বাজি, দখলবাজি, ক্ষমতার অপব্যবহার, শোষন করা, আত্মসাৎ না করা ইত্যাদির মাঝেও বড় ব্যাপার তিনি অন্যায়কে প্রশ্রয় দেন না এবং তিনি এমন এক এমপি তার সামনে কেউ অন্যায় দাবি করতেও পারেন না। আর করলেও উচিৎ জবাব দেন এটাই তার নিজ দলের সুবিধাবাদিরা মানতে পারেন না।

তারা আরো বলেন, বিগত বিএনপি জোট সরকারের সময় কিভাবে অত্যাচার অনাচার ক্ষমতার অপব্যবহার রাহাজানি, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড থেকে শুরু করে যত প্রকার অবিচার সেটা করেছিল। কিন্তু ফারুক চৌধুরীর আমলে এমন একক ক্ষমতা নেই। তার দ্বার উন্মুক্ত। নিজের কাজে নিজে যাও সঠিক হলে হবেই,  এমন নজির অহরহ। যার কারনে অনেক বিরোধী হেবিওয়েট নেতারাও এমপির নেতৃত্বে তুষ্ট।

এক নেতা বলেন, আমার দেখা ফারুক চৌধুরী বিগত ২০০১ সালে প্রথম বার জাতীয় নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট করেন তানোর উপজেলার কলমা ইউপি এলাকার জমিদার বংশের শহীদ পরিবারের সন্তান ওমর ফারুক চৌধুরী। যদিও ওই নির্বাচনে প্রয়াত হেবিওয়েট মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের কাছে পরাজিত হলে জনতা বুঝতে পেরেছিল আগামীর এমপি হবেন তানোরের কৃতি সন্তান ফারুক চৌধুরী। যার কারনে আপামর জনতার বিপুল ভোটে ২০০৮ সালে এমপি নির্বাচিত হন তিনি।

জানা গেছে, ফারক চৌধুরী প্রকৃতপক্ষে একজন ব্যবসায়ী। তার পিতাকে রাজশাহীর বাবলা বনে পাক হানাদার বাহিনী নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করেন। তিনি রাজনীতিতে এসে বিএনপির ঘাটিতে আওয়ামী লীগের নব জাগরন সৃষ্টি করেছেন।।  যে কারনে রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের জয়জয়কর অবস্থা। যে শহরে বাংলা ভাই অস্ত্র উচিয়ে শোডাউন করেছিল। সেই শহর গ্রাম গন্জে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শক্তিকে প্রতিটি ঘরেঘরে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এমপি ফারুক চৌধুরী। তার রাজনৈতিক দক্ষতা সঠিক বিচক্ষন নেতৃত্বের কারনে দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক পরে সভাপতি করেন।

আওয়ামী লীগের তরুণ উদীয়মান সমাজ সেবক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবুল বাসার সুজন বলেন, রাজনীতিতে মত পার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু দলের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া এটাকে দল করা বলা যায় না। আর এমপি ভাই কোন সময়ের জন্য দলের হায়কমান্ড বা দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কখনো অবস্থান নেন নি। এটাই তার একটা বড় অপরাধ এবং অন্যায় কাজকে প্রশ্রয় দেন না। দলকে পকেট বন্ধি রাখেন না। রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের অতীতের কি অবস্থা ছিল আর এখন কি অবস্থা সেটা বিবেচনা করলে বুঝতে পারবে। তানোর-গোদাগাড়ী বিএনপির ঘাটি, সেটাকে সুকৌশলে

তিনি রাজনৈতিক ভাবেই মোকাবেলা করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শক্তি প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ প্রদীপ সরকার জানান, তানোর-গোদাগাড়ীতে এমপি ফারুক চৌধুরীর বিকল্প নেতা তৈরি হয়নি। তার রাজনৈতিক বিচক্ষনতার জন্য আজ ঘরে ঘরে আওয়ামী লীগ কর্মী সমর্থক সৃষ্টি হয়েছে। তিনি এমন একজন নেতা যার দরজা ন্যায়ের জন্য খোলা, অন্যায়ের জন্য বন্ধ।

এমপি শুধু নেতাই নন, তানোর ও গোদাগাড়ীর অহংকার। যারা তাকে নিয়ে অযথা ষড়যন্ত্র করছেন বা করেন তাদের ভাবা উচিত যে যারাই তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্র করেছেন, তারাই রাজনৈতিক ভাবে জিরো টলারেন্সে পড়ে রয়েছে। সুতরাং তিনি যতদিন সুস্থ থাকবেন আমাদের বিশ্বাস নেত্রী ততদিন তাকে এমপি ভোটে টিকিট দিবেন। কারণ নেত্রীও ভালো ভাবে জানেন, এই এলাকায় শুধু মাত্র ফারুক চৌধুরীর জন্য আওয়ামী লীগ এক সুসংগঠিত ও শক্তিশালী দলে পরিণত হয়েছে।

তানোর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সংগ্রামী সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না জানান, বিগত ২০০৯ সাল থেকে উপজেলা পরিষদ বিএনপির দখলে। তানোর পৌরসভা ২৬ বছর ধরে বিএনপি রাজত্ব করেছে। কিন্তু এমপির দিক নির্দেশনায় আজ উপজেলা পরিষদ, তানোর পৌরসভা আওয়ামী লীগের দখলে। এটা সম্ভব হয়েছে একমাত্র ফারুক চৌধুরী এমপি বলেই।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন আসলেই তার বিরুদ্ধে চলে নানামুখী ষড়যন্ত্র। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এমপির বিরুদ্ধে চালানো হচ্ছে নানামুখী ষড়যন্ত্র। বিগত ২০১৮ সালের নির্বাচনে সেভেন স্টার গঠন করা হয়। তারা এমন ভাবেই মিথ্যা রচনা সাজালেন যা ভাবাই কষ্টকর। কয়েকদিন আগে টিভিতে একটি প্রতিবেদন হয় আওয়ামী লীগের ১৪০ জন মন্ত্রী এমপির কপাল পুড়বে।ঝুকিতে রাজশাহী ও যশোর। এমন প্রতিবেদন হয়েছে মনে হচ্ছে ফারুক চৌধুরী নাই।

তাদেরকে বলতে চায় ফারুক চৌধুরী তার মনোনায়ন নিয়ে ভাবেন না। তিনি এমন এক নেতা যতদিন ধরে রাজনীতি করছেন কখনো নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নেননি এবং হাজার হাজার নেতাকর্মীদের দোয়ায় আগামীতেও তিনিই মনোনায়ন পাবেন। পুনরায় এমপিও হবেন ইনশায়াল্লাহ।

তার অপরাধ  সত্যকে সত্য বলা, অন্যায়কে প্রশ্রয় না দেওয়া এবং নৌকার বিরোধিতা কারীদের অন্যায় কাজে সহায়তা না করা। এমপি দুই উপজেলার প্রায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার করেছেন। নিজে কোটি কোটি টাকা মুল্যের জায়গা দান করেছেন। যেখানে কারিগরি কালেজ হচ্ছে। রাস্তা ঘাট, ব্রীজ কার্লভাট, আধুনিক শিক্ষা ভবন থেকে শুরু করে তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেই যাচ্ছেন এবং যাবেন বলে চেয়ারম্যান। আজকের তানোর

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.