শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:১০ am

সংবাদ শিরোনাম ::
তানোরে শিক্ষক সমিতিকে নিজ পকেটে রাখতে মরিয়া বিএনপি নেতা মিজান অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার পক্ষে লড়তে চান জেড আই খান পান্না নগরীতে বিএনপি নেতাকে ছুরিকাঘাত আগামী ২৯ নভেম্বর খুলছে রাজশাহী সুগার মিল জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের স্মরণে স্মরণসভা রাজশাহীতে যুবলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ১১ বাগমারা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবু তালেবের ইন্তেকাল তানোরে মসজিদের এসি অফিসার্স ক্লাবে, ইমামের অর্থ আত্নসাৎ প্রমান পেয়েছে তদন্ত কমিটি সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তানোরে বিএনপির কর্মীসভা নগরীতে ছাত্রলীগ নেতাসহ বিভিন্ন অপরাধে ৮ জন গ্রেপ্তার লীজকৃত পুকুর দখল, মালিককে বুঝিয়ে দিতে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ পুঠিয়ায় ভুয়া ডাক্তার ধরে প্রাননাশের হুমকির মুখে সাংবাদিকরা রাজশাহী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দুর্নীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন তানোর থানায় দালালের দৌরাত্ন্য বৃদ্ধি, অসহায় মানুষ দুর্গাপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে আটক ৩ জনের কারাদণ্ড গ্রাহকের ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ, বন্ধু মিতালীর চেয়ারম্যানসহ আটক ৪ রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে আ.লীগকে দূরে রাখতে ছাত্রনেতাদের চাপ অর্ন্তবর্তী সরকারকে নিরপেক্ষ না হওয়ার আহ্বান বিএনপি নেতাদের তানোরে সরকারি কর্মকর্তা ও সুধীজনদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সাম্প্রতিক সময়ে অটোরিকশা বন্ধের দাবিতে সচেতন নাগরকবাসী
পাবনায় সরকারি দামে মিলছে না সার, আমন উৎপাদনে বাড়ছে খরচ

পাবনায় সরকারি দামে মিলছে না সার, আমন উৎপাদনে বাড়ছে খরচ

ডেস্ক রির্পোট : পাবনায় সরকারনির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে রাসায়নিক সার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। কৃষকদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) ডিলাররা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করায় খুচরা বাজারে দাম বেড়েছে।

তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকায় বাজারে সংকট তৈরি হয়েছে। আর কৃষি বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, জেলায় সারের কোনো সংকট নেই। ইউরিয়া সারের অতিরিক্ত বরাদ্দও দিয়েছে মন্ত্রণালয়। কৃষকদের মাঝে গুজব ছড়িয়ে একটি চক্র বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে।

বর্তমানে আমনের ভরা মৌসুম চলছে। এ সময় সারের বাড়তি দামের কারণে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। তারা বলছেন, গত এক সপ্তাহ ধরে বিসিআইসির ডিলারদের কাছ থেকে চাহিদা অনুযায়ী সার মিলছে না। কেবল সরকারনির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দিলেই সার পাওয়া যাচ্ছে। একই চিত্র খুচরা বাজারেও। বেশি দামে যারা সার কিনছেন তাদের আমন উৎপাদনের খরচও বাড়ছে।

পাবনার সদর, আটঘরিয়া ও ঈশ্বরদী উপজেলায় সারের কয়েকটি খুচরা দোকানমালিকের সঙ্গে বলে জানা গেছে, সরকারনির্ধারিত প্রতি কেজি ইউরিয়া সারের দাম ২২ টাকা হলেও বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। এমওপি, পটাশ, টিএসপিসহ সব ধরনের সারের জন্য প্রতি কেজিতে কৃষককে সরকারনির্ধারিত দরের চেয়ে ১০-১২ টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে। দাম বাড়ার জন্য ডিলারদের দুষছেন খুচরা দোকানিরা।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সদরের দাপুনিয়া ইউনিয়নের বিসিআইসি ডিলার আবু তালেবের দোকানে গিয়ে দেখা যায়, ইউরিয়া সার কিনতে ভিড় করেছেন আশপাশের গ্রামের কৃষকরা। বন্ধ দোকান না খুলেই ম্যানেজার জানালেন সার নেই। দীর্ঘ অপেক্ষায় সার না পেয়ে খালি হাতে ফিরে যান কৃষকরা।

মির্জাপুর থেকে আসা কৃষক আব্দুস সালাম বলেন, সার কিনতে গেলে বিক্রেতারা সংকটের কথা বলে দাম বেশি নিচ্ছেন। বিক্রয় রসিদ চাইলেও তা দেয়া হচ্ছে না। দর-কষাকষি করতে গেলে সার না দিয়েই অপমান করে তাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। দোকানে মূল্যতালিকা টাঙিয়ে রাখলেও সে দাম রাখা হচ্ছে না।

আটঘরিয়ার দিকশাইল গ্রামের কৃষক জাহিদুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন আগে ইউরিয়া সারের দাম বাড়িয়েছে সরকার। এখন যদি কৃষকদের সার পেতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় বা নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি রাখা হয়, তাহলে তারা আমন ধান চাষে নিরুৎসাহিত হবেন। এতে ফলন কমে গিয়ে লোকসান বাড়বে। অন্যদিকে বাজারে চালের দামও বাড়বে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কৃষক ও খুচরা সার দোকানির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সার ডিলারদের অধিকাংশ রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী। অভিযোগ রয়েছে, তারা মৌসুমে যে সার বরাদ্দ পান সেটা উত্তোলন না করে বরাদ্দপত্রটা একশ্রেণির অসৎ ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দেন। সেই বরাদ্দপত্র ক্রয়কারীরা গুদাম থেকে সার উত্তোলন করে বেশি দামে বিক্রির জন্য সার মজুত করেন। এ অবস্থায় কৃষকপর্যায়ে কৃত্রিম সারসংকট দেখা দেয় ও বেশি দামে কৃষকরা কিনতে বাধ্য হন।

পাবনা সার ব্যবসায়ী সমিতির কোষাধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত বরাদ্দ পাওয়া সার আশুগঞ্জ থেকে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যেই বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

এদিকে পাবনায় ইউরিয়াসহ কোনো সারেরই সংকট নেই বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন। তিনি জানান, চলতি আমন মৌসুমে পাবনায় চাহিদার অতিরিক্ত ১ হাজার ৫০০ মেট্রিক টনের বেশি ইউরিয়া সার বরাদ্দ পেয়েছে কৃষি বিভাগ। বিসিআইসির ১০১ জন অনুমোদিত ডিলারের মাধ্যমে শিগগিরই তা কৃষক পর্যায়ে সরবরাহ শুরু হবে। বাজার কারসাজি খতিয়ে দেখতে মাঠে নেমেছে প্রশাসন। সূত্র : দৈনিক বাংলা

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.