‘আওয়ামী লীগ প্রার্থীর জয় চেয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার মোনাজাত ও বক্তৃতা’ শিরোনামে অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত খবরের প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন নোটিশদাতা আইনজীবী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান। নোটিশের ভাষ্য, বক্তব্যে রিটার্নিং কর্মকর্তা একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষে ভোট চেয়েছেন এবং অন্যদের ওই রাজনৈতিক দলের জন্য দোয়া করতে অনুরোধ করেছেন। জেলা প্রশাসক ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে তাঁর নিরপেক্ষ ভূমিকা থাকা উচিত ছিল। অনুষ্ঠিত দোয়া অনুষ্ঠানে একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর জয় কামনা করে নোটিশগ্রহীতার (ডিসি) আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য জেলা পরিষদ নির্বাচনে তাঁর ভূমিকা নিয়ে অন্য প্রার্থীদের মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কা ও সন্দেহের সৃষ্টি করেছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নোটিশগ্রহীতার (ডিসি) ওই বক্তব্য থেকে একটি রাজনৈতিক দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রভাব বিস্তারের সমূহ সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে আইনি নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, সব ভোটার ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা এমতাবস্থায় আস্থাহীনতায় ভুগছেন। নোটিশগ্রহীতার (ডিসি) কার্যকলাপে নির্বাচনী ফলাফল প্রভাবিত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
অভিযোগ করে নোটিশে বলা হয়, রিটার্নিং কর্মকর্তার (ডিসি) মাধ্যমে ২০১৬ সালের জেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ৭৯, ৮০ ও ৮১ বিধির লঙ্ঘন হওয়া সত্ত্বেও অপর নোটিশগ্রহীতারা সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন, যা আপনাদের অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্যের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
নোটিশের শেষাংশে বলা হয়, নোটিশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নোটিশগ্রহীতার (ডিসি) বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হলে নোটিশদাতা আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হবেন। সূত্র : প্রথম আলো অনলাইন, প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৭: ৩৩।