শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৩:৫৫ pm
বর্তমান সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর আওতায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে প্রদেয় ভাতা জিটুপি (গভর্মেন্ট টু পার্সন) পদ্ধতিতে উপকারভোগীদের কাছে সহজেই পৌঁছে যাবে বিকাশে। সারাদেশের ২৪টি জেলার প্রায় ২০ লাখ উপকারভোগী বয়স্ক বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্ত, অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষাবৃত্তি ভাতা বিকাশের মাধ্যমে পাবেন সুবিধাভোগীরা। যুগান্তকারী এ উদ্যোগ গ্রহণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন ভাতাভোগীদের পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করছি।
সম্প্রতি, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সোমবার (৪ জানুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে আমরা খুশি ও আনন্দিত। মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ অভিনন্দন। শুভেচ্ছা জানাই মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ জয়নুল বারীও স্যারকে।
সুত্রে জানা যায়, এই ভাতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনপ্রতি ১০০ টাকা হারে ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরে শুরু করেন। বর্তমান সরকারই পর্যায়ক্রমে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে জনপ্রতি ভাতা ৫০০ টাকায় উন্নীত করেন। পরে ডিজিটাল সেবায় প্রতিবন্ধীরা ৭৫০ টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন।
আমি ভাতাভোগীদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি, সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা পাওয়া এই প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বিকাশে প্রাপ্ত ভাতা খুব সহজেই কোন রকম বাড়তি খরচ ছাড়াই সারাদেশের যেকোন প্রান্ত থেকে ক্যাশআউট করে নিতে পারবেন। ইতোপূর্বে পাইলট প্রকল্পে ভাতাভোগীদের মধ্যে জিটুপির মাধমে ভাতা বিতরন করা হয়েছে। ভাতা বিতরণ এর পাইলট কার্যক্রমে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ এমএফএস প্রতিষ্ঠান বিকাশ সফলতার সাথে ভাতা বিতরণ করতে সক্ষম হয়েছে।
মাধ্যমিক স্তরের উপবৃত্তি বিতরণের সফলতার অভিজ্ঞতায় বিকাশ দক্ষতার সাথে এই ভাতার অর্থ বিতরণ করবে। ভাতা বিতরণে প্রযুক্তির এই ব্যবহার স্বচ্ছতা, দ্রুততা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বড় ভূমিকা রাখবে। ২০১৬ সাল থেকে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের প্রায় ৭০ লাখেরও বেশি সুবিধাভোগীদের কাছে আর্থিক সহায়তা সফলতার সাথে পৌঁছে দেয়া হয়েছে বিকাশ এর মাধমে।
সামশুল আলম, সভাপতি, আস্থা প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থা, তানোর, রাজশাহী।