মঙ্গবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:৪২ am
নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর : রাজশাহীর তানোরে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে জমিতে কালাই ছিটিয়েছেন বলে নিশ্চিন্ত করেন জমির মালিক মানুষিক ভারসাম্যহীন শামিমের স্ত্রী বিউটি বেগম ও তার শ্বশুর লুৎফর রহমান। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার কলমা ইউপির ধনন্জয়পুর গ্রামের মজিবর তার ছেলে আতাউর গংয়েরা ১৪৪ ভেঙ্গে একাজ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
রাতের আধারে ফাকা জমিতে কালায় ছিটিয়ে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করায় চরম আতংকে জমির প্রকৃত মালিকরা। অথচ থানা পুলিশ গত রোববার ১৪৪ ধারার নৌটিশ দেন। কিন্তু বিজ্ঞ আদালত গত ৩১ আগষ্ট ১৪৪ জারি করেন। এর আগে গত শুক্রবারে আতাউর ও তার ভাতিজার ভাষ্য আদালত ১৪৪ জারি করেছে এবং কোন পক্ষই নামতে পারবে না জমিতে। কিন্তু আতাউরের লাঠিয়াল বাহিনী জমিতে কালাই ছিটালেও এসআই মজিবর দেখেন নি এবং জানেন না। ফলে ৫০ শতাংশ জমি পেতে মরন কামড় দিয়ে পড়েছেন ভূমিদস্যু ত্রাস আতাউর গংয়েরা।
গত শনিবারে সরেজমিনে দেখা যায়, কলমা টু বিল্লি রাস্তার মাঝে গভীর নলকুপ সংলগ্ন মাটির রাস্তা দিয়ে কিছুদুর পর ধনন্জয় পুর গ্রাম। গ্রামের রাস্তার ধারে পশ্চিমে খালি পড়ে রয়েছে ৫০ শতাংশ জমি। সেখানে এসআই মজিবর চেয়ার নিয়ে বসে নোটিশ বুঝিয়ে দিচ্ছেন ১৪৪ ধারা বাদী জমির মালিকের স্ত্রী বিউটি বেগম কে। সেখানে ছিলেন বিউটির শ্বশুর লুৎফর রহমান, তিনি জানান আমার কাছে জমিটি ১৯৯০ সালের দিকে বিক্রি করেন মজিবর। সে আমার আপন বড় ভাই। বিক্রি কবলা দলিল করতে খরচ বেশি হবে এজন্য হেবাবিল এওয়াজ দলিল করে নিই।
কারণ রক্তের সম্পর্ক থাকলে এদলিল করা যায়। এই জমিসহ আমার আরো জমি আমার অসুস্হ ছেলে শামিমকে রেজিষ্ট্রি করে দিই ২০২১ সালের দিকে। কিন্তু গত আগষ্ট মাসে মজিবর ও তার ছেলে, মেয়ে সহ শতাধিক লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে জমি দখল করতে চায়। তারা সাব বলছে জমিটি নাকি মজিবর তার স্ত্রী কে দিয়েছে। তাহলে তিনি তো বড় প্রতারক। আমার ছেলে শামিম মানুষিকসহ নানা রোগে আক্রান্ত। তারা ১৪৪ মানছে না, আবার পুলিশও কিছুই বলছে না।
গত শনিবার আতাউরের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন আমাদের জমি এজন্য আমরা কালাই ছিটিয়েছি। জমির উপর ১৪৪ জারি আছে জানতে চাইলে তিনি জানান নিজের জমিতে ১৪৪ বুঝিনা বলে প্রচুর দম্ভক্তি প্রকাশ করেন।
থানার এসআই মজিবর রহমান জানান, কালায় ছিটানো দেখিনি এবং ছিটানো নাই। আমরা দেখেছি কালায় পড়ে আছে জমিতে প্রশ্ন করা হলে উল্টো নানান ধরনের কথা বলে এড়িয়ে যান তিনি।
জানা গেছে, কলমা ইউপির ৩১ নম্বর ধনন্জয়পুর মৌজার আরএস ২৫ নং খতিয়ানে ৪৫ নং আরএস দাগে ৫০ শতাংশ জমি ক্রয় করেন লুৎফর রহমান। তিনি এজমি সহ আরো জমি ছেলে শামিমকে দান করেন ২০২১ সালে এবং শামিমের নামে খাজনা খারিজ সবই রয়েছে। আজকের তানোর