মঙ্গবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:৩৭ am
নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর : সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য সম্প্রতি প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন যে, সরকারি ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো চলবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত। কিন্তু সরকারি দপ্তরগুলো প্রজ্ঞাপন মানলেও কোনভাবেই মানছেন না বে সরকারি এনজিওগুলো। তারা আগের নিয়মেই রাত ৯ থেকে ১০ পর্যন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন কার্যক্রম বলেও একাধিক মাঠ কর্মীরা নিশ্চিন্ত করেছেন।
সারা দেশের মত রাজশাহীর তানোর উপজেলায় আনাচে কানাচে শতাধিক এনজিও রয়েছে। এতো বেপরোয়া ভাবে দিনরাত সমান তালে তাদের চালিয়ে গেলেও কোন নজরদারি নেই কর্তৃপক্ষের। ফলে এনজিও গুলোকে প্রজ্ঞাপন মানাতে হলে কঠোর অভিযানের প্রয়োজন বলেও মনে করছেন সচেতন মহল। নচেৎ সরকারের সদ ইচ্ছা ভেস্তে যাবে। কারণ তানোরের মত জায়গায় কত এনজিও রয়েছে তার সঠিক হিসাব আছে কি না সেটাও সন্দেহ।
জানা গেছে, বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকট মোকাবিলা করতে ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য বর্তমান সরকার সকল সরকারি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শনিবারেও ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপন জারী নয়, বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কঠোর নির্দেশনা দেন। এমন নির্দেশনা পেয়ে সরকারি দপ্তর ও বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সঠিক নিয়ম পালন করছেন। এই কঠিন সময়ে সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে যুগোপযোগী বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। স্বয়ং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলছেন, তিনি অনেক কিছু চালানো বন্ধ করে দিয়েছেন এবং সবাইকে প্রজ্ঞাপন মানতে অনুরোধও করেছেন। যার কারণে সরকারি দপ্তরগুলো ৩টার পর বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু মানছেন না বে সরকারি এনজিওগুলো। তারা আগের নিয়মেই সব কার্যক্রম পরিচালনা করছেন বলেও একাধিক সুত্র নিশ্চিন্ত করেছেন।
বেশকিছু মাঠকর্মীরা জানান, এনজিও গুলোর কাছে কোন নিয়ম নেই। যারা মাঠ কর্মী তারা প্রতিদিন যান কিস্তি তুলতে। কোন ছাড় নয়, এক সমিতিতে সদস্যের সংখ্যা ৩০ জন হলে সবার কাছ থেকে কিস্তি তুলে সন্ধ্যার দিকে অফিসে এসে হিসেব পাতি বুঝিয়ে দাও। একজন মাঠ কর্মীকে নিম্মে হলেও শতাধিক ব্যক্তির নিকট থেকে কিস্তি আদায় করতে হয় প্রতিদিন। এক দু’জন কিস্তি না দিলে যে ভাবেই হোক পুরুন করতেই হবে। কোন ছাড় নেই। কিসের প্রজ্ঞাপন আর কিসের ছুটি। আবার প্রশাসনও কোন কিছুই বলতে পারে না। প্রায় এনজিওগুলো আবাসিক ভবনে। এজন্য কোন কিছুই হয় না সরকারি নিয়মে। সেখানেই থাকা খাওয়া ও কার্যক্রম চলে।
সিদিপ নামের এক এনজিওর ম্যানেজার শাহাবুল জানান, কিসের সরকারি প্রজ্ঞাপন মাসের শেষ বকেয়া তুলতে হবে। সরকারকে প্রজ্ঞাপন দিতে হবে দিয়েছে। সরকারও জানে এনজিও কিভাবে চলে। মহামারি জ্বালানি সংকটসহ নানা বিষয়ের কথা ভেবে এবং অর্থনৈতিক সমস্যা এজন্যই তো প্রজ্ঞাপন আপনাদের কি উচিন নয় সরকারকে সহযোগীতা করা প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, আমাদের চাকুরি আগে তারপরে অন্যকিছু। তিনি শনিবারেও এক গ্রাহককে কিস্তির ব্যাপারে চাপ সৃষ্টি করেন।
শাপলা এনজিওর সমৃদ্ধি প্রজেক্টের সমন্বয়কারী আনিসুর রহমান জানান, আমাদের অফিসগুলো আবাসিক ভবনে। থাকা খাওয়া সবই ভবনে। এজন্য সবসময় কাজ চলে। তাই বলে আপনারা কোনো সরকারি প্রজ্ঞাপন মানবেন না জানতে চাইলে তিনি জানান, অবশ্যই মানা দরকার। কিন্তু হাজারো চেষ্টা করলেও নিয়ম মেনে কাজ করা সম্ভব নয়।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পংকজ চন্দ্র দেবনাথের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে এনজিওর বিষয়ে অবহিত করা হলে তিনি জানান, প্রজ্ঞাপন সবাইকে মানতে হবে। না মানলে অতিশিঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে। আজকের তানোর