অটোরিকশার মালিক ও চালক মনিরুজ্জামান বলেন, দেশের কোথাও ন্যূনতম ভাড়া পাঁচ টাকা নেই। একমাত্র এই শহরেই ন্যূনতম ভাড়া পাঁচ টাকা রয়েছে। অটোরিকশার যন্ত্রপাতি ও পার্সের দাম বেড়ে গেছে। ভাড়া বাড়ানোর আশ্বাস না পেলে তাঁরা শহরে কোনো অটোরিকশা চলতে দেবেন না।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সেখানে সিটি করপোরেশনের কয়েকজন কাউন্সিলর এসে দাবির পক্ষে সায় দেন। তাঁরা জানান, মেয়র তাঁদের চূড়ান্ত দাবিদাওয়া শুনে সিদ্ধান্ত জানাবেন। এতে বিক্ষোভকারীরা ‘না, না’ বলে চিৎকার করতে থাকেন। সেখানে ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আবদুল মমিন তাঁদের উদ্দেশে বলেন, আজকে মেয়র নেই। তিনি প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে একজন করে অটোরিকশার চালক ও মালিককে লিখিত দাবি নিয়ে মেয়রের সঙ্গে দেখা কাল দুপুরের পর দেখা করতে বলেন। তিনি অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানান।
এতে সায় দিয়ে আন্দোলনকারী ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে মো. রাসেল নামের একজন মাইক নিয়ে ঘোষণা দেন, তাঁরা এখান থেকে নগরের শিরোইল এলাকা পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করে আজকের রাজপথের কর্মসূচি স্থগিত করবেন। তবে তাঁদের দাবিদাওয়া মানা না পর্যন্ত তাঁরা অটোরিকশা চালানো বন্ধ রাখবেন। এই ঘোষণার পর তাঁরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি নগরের শিরোইল এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।
এদিকে অটোরিকশা না পেয়ে লোকজন রিকশায় কয়েক গুণ বেশি ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছে। নগরের ভদ্রা এলাকায় দাঁড়িয়েছিলেন শহীদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। তাঁর রাজশাহী কোর্টে একটি মামলায় হাজিরা আছে। তিনি বলেন, তিনি জানতেন না যে হঠাৎ অটোরিকশা বন্ধ করে দেওয়া হবে। রিকশায় কোর্টের ভাড়া ৮০ টাকা চাচ্ছে।
নগরের তালাইমারী এলাকায় গাড়ির অপেক্ষায় দাঁড়িয়েছিলেন একটি শপিং মলের বিক্রয়কর্মী রায়হান আলী। তিনি বলেন, কোনো ঘোষণা না দিয়ে হঠাৎ অটোরিকশা বন্ধ করে দেওয়া ঠিক হয়নি। তাঁরা আগে ঘোষণা দিতে পারতেন। এটা অরাজকতা।
এদিকে এই কর্মসূচির ব্যাপারে কোনো অটোরিকশার মালিক-শ্রমিক সংগঠন অবগত নয় বলে দাবি রাজশাহী অটোরিকশাচালক সমিতির সভাপতি শরিফুল ইসলামের। তিনি বলেন, এটা তাঁদের ঘোষিত কোনো কর্মসূচি নয়। অটোরিকশার চালকদের একটি পক্ষ বিচ্ছিন্ন হয়ে এই কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে। তাঁরা এই ভাড়া বাড়ার অংশের সঙ্গে নেই। সূত্র : প্রথমআলো্