আজ মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে ভার্চ্যুয়ালি ‘আমন মৌসুমে প্রয়োজনীয় সেচ নিশ্চিতকরণে’ করণীয় বিষয়ক সভা শেষে কৃষিসচিব এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। সভায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। পরে মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে গ্রাম এলাকায় মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের সিদ্ধান্ত হয়।
আজকের সভায় কৃষিসচিব বলেন, এবার আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৫৯ লাখ হেক্টর, ইতিমধ্যে ৪৭ লাখ হেক্টরে আবাদ হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার ৭০ শতাংশ, এটা সন্তোষজনক। বিশেষ করে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে লক্ষ্যমাত্রার ৯৮ শতাংশ অর্জিত হয়েছে। এ মাসের মধ্যে যাতে লক্ষ্যমাত্রার শতভাগ অর্জন করা যায় এবং রোপণের পর অন্তত ৩০ দিন যাতে সেচ নিশ্চিত করা যায়, সে লক্ষ্যেই আলোচনা হয়েছে। সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন করতে পারলে আমনের ক্ষতি পোষানো যাবে।
বৈঠকে যেসব বিষয় উঠে এসেছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে, সেচের সুবিধার্থে পানি উন্নয়ন বোর্ড তাদের বৃহৎ সেচ প্রকল্পগুলো চালু করেছে, অন্যগুলোও শিগগিরই চালু করবে। উপজেলা সেচ কমিটি দ্রুত মিটিং করে সেচের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে এবং সে অনুযায়ী সেচের ব্যবস্থা করা হবে। আমনে বাড়তি সেচের জন্য কৃষকদের অতিরিক্ত খরচের বিষয়ে নগদ সহায়তা প্রদানের বিষয়টি কৃষি মন্ত্রণালয় বিবেচনা করছে। এ ছাড়া বৃষ্টির অভাবে যাঁরা ধানের চারা উৎপাদন করতে পারেননি, তাঁদের কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে বিনা মূল্যে চারা দেওয়া হবে। সূত্র : প্রথম আলো