সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৫:৫০ am
ক্রীড়া ডেস্ক : অধিনায়কত্বের ওপর আজীবন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে নিজ দেশের ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করতে চান অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার।
২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে কেপ টাউন টেস্টে বল-টেম্পারিং কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে এক বছর ক্রিকেট থেকে নিষেধাজ্ঞা ও অধিনায়কত্বের বিষয়ে আজীবন নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েন ওয়ার্নার।
ওয়ার্নারের পাশাপাশি বল টেম্পারিং-এর সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে বিভিন্ন মেয়াদে নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন ঐ সময়ের অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ ও ক্যামেরন বেনক্রফট। নিষেধাজ্ঞায় অধিনায়কত্বও হারিয়েছিলেন স্মিথ।
তবে বেশ কয়েকজন সাবেক এবং বর্তমান টেস্ট অধিনায়ক প্যাট কামিন্সসহ চাচ্ছেন অধিনায়কত্বের বিষয়ে ওয়ার্নারের আজীবনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হোক।
ওয়ার্নারের উদ্ধৃতি দিয়ে ইএসপিএন ক্রিকইনফোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বিষয়টি নিয়ে এখনো আলোচনা হয়নি। অফ দ্য রেকর্ড আগেও অনেকবার বলেছি, আমার বিষয়টি পুরোপুরি বোর্ডের হাতে। তারা চাইলে আমি বসতে পারি এবং তাদের সঙ্গে এ ব্যাপারে খোলাখুলি একটা আলোচনা করতে পারি।’
২০১৩ সালের পর আবারও বিগ ব্যাশে খেলার জন্য চুক্তি করেছেন ওয়ার্নার। সিডনি থান্ডার্সের সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি করেছেন তিনি। আগামী আসরে থান্ডারের অধিনায়ক হিসেবে দেখা যেতে পারে ওয়ার্নারকে।
কারণ, থান্ডারের সাবেক অধিনায়ক উসমান খাজা আগামী মৌসুমে ব্রিসবেন হিটের হয়ে খেলবেন। তাই থান্ডারের অধিনায়কত্বের পদটি শূন্য পড়ে আছে।
জাতীয় দলের হয়ে ৯টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছেন ওয়ার্নার। তবে পাকাপাকিভাবে নয়। কিন্তু আইপিএলের বেশ কয়েকটি মৌসুমে সানরাইজার্স হায়দারাবাদের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। তবে অধিনায়কত্বের পদে না থাকলেও, নিজেকে দলের নেতাই ভাবেন ওয়ার্নার।
তিনি বলেন, ‘আমার অভিজ্ঞতা আছে, কোন পদে না থাকলেও আমি দলের একজন নেতা। আমার ভাবনাও তেমন। তরুণরা যদি আমার কাছে কিছু শিখতে চান, তাহলে আমার কাছে সব সময়ই ফোন থাকে, তাদের কাছে আমার ফোন নম্বর আছে এবং অনুশীলনের সময়ও আমার সঙ্গে তারা দেখা করতে পারেন।’