রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৬:৩০ am
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভুয়া পুলিশ কিংবা ভুয়া সেনা কর্মকর্তার খবর মাঝে মাঝেই সামনে আসে। কিন্তু একেবারে আস্ত একটি ভুয়া থানা স্থাপনের খবর বোধহয় এর আগে শোনা যায়নি।
তবে আট মাস ধরে একদল দুর্বৃত্তের একটি হোটেল থেকে ভুয়া থানা চালানোর খবর সামনে এসেছে। পুলিশের পোশাক পরে ওই দুর্বৃত্তরা কয়েশ মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার এক পুলিশ কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন বলে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলে হয়েছে।
ভারতের বিহারে এই ঘটনা ঘটেছে বলে এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পুলিশ কর্মকর্তা শ্রীবাস্তব বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ভুয়া থানাটি স্থানীয় পুলিশ প্রধানের বাড়ি থেকে মাত্র পাঁচশ’ মিটার দূরে। তারা পুলিশের পোশাক, ব্যাজ তো পরতেনই, সঙ্গে বন্দুকও বহন করেন বলে সত্যিকারের পুলিশ কর্মকর্তা শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন।
তারা ভুয়া থানায় আসা স্থানীয়দের কাছ থেকে অভিযোগ শুনে মামলা দায়ের করার জন্য থেকে অর্থ আদায় করত। এছাড়া সামাজিক আবাসন বা পুলিশে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে অন্যদের কাছ থেকে নগদ অর্থ পকেটস্থ করত দুর্বৃত্তরা।
শুধু তাই নয়, ভুয়া থানায় পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে অভিনয়ের জন্য দৈনিক পাঁচশ রুপি মজুরিও দেওয়া হতো। অভিনয়ের জন্য বেছে নেওয়া হতো দূরের গ্রামাঞ্চল থেকে আসা তরুণদের।
অবশ্য এই দারুণ নেটওয়ার্কটি ভেস্তে যায়, যখন সত্যিকারের এক পুলিশ কর্তকর্তার নকল থানার দুই ‘পুলিশ’ সদস্যের কাছে পুলিশ বাহিনী থেকে দেওয়া অস্ত্রের বদলে স্থানীয়ভাবে বানানো অস্ত্র বহন করতে দেখেন।
শ্রীবাস্তব এএফপিকে বলেন, দুই নারীসহ গ্যাংয়ের অন্তত ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হলেও মূল হোতা এখনো পলাতক। শ্রীবাস্তব বলেন, মামলার তদন্ত চলছে। আরও তথ্য বেরিয়ে আসবে। সূত্র : যুগান্তর