শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:১১ am
সোমবার শোকাবহ ১৫ আগস্ট। ১৫ আগস্ট দিনটি বিশেষ করে বাঙালি জাতির জন্য বেদনা বিধুর এক ধূসর ইতিহাস। দিনটিতে সূচিত হয়েছিল প্রতিবাদহীন নৃশংস হত্যাযজ্ঞের কালো অধ্যায়ের।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সূর্য উঠার আগেই স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। ঘাতক মেজর ডালিম ভোর ৬টার দিকে বেতার ঘোষণায় জানায়, খোন্দকার মোশতাক আহমদের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করেছে। সকাল ৮টায় খোন্দকার মোশতাক বেতারে প্রদত্ত ভাষণে বলেন, ‘তার ওপর রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে।’
বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের লাশ ধানম-ির ৩২ নম্বর বাড়িতে পড়ে থাকা অবস্থাতেই হত্যাকাণ্ডের মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘদিনের বন্ধু, সহকর্মী ও মন্ত্রীদের মধ্যে কয়েকজন ছাড়া প্রায় সবাই অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী মোশতাকের মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে যোগদান করেন।
রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মাত্র ৩ ঘণ্টার মধ্যে সশস্ত্র বাহিনীর তিন প্রধান এবং বিডিআর, পুলিশ, রক্ষীবাহিনী প্রধানরা পৃথক পৃথকভাবে বেতারে খুনি মোশতাক সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন।
দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, রাষ্ট্রপতি এবং বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ জনপ্রিয় নেতার সপরিবারে করুণ হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশে কোনো প্রতিবাদ হয়নি। শুধু তাই নয়। বরং বঙ্গবন্ধুর দল আওয়ামী লীগের জেলা-উপজেলা পর্যায়ের নেতা তো দূরের কথা, প্রথম সারির কোনো নেতাও সেদিন ওই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রাজপথে আন্দোলনে নামার সাহস দেখায়নি।
ঘাতকচক্র রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবারের সদস্যবর্গ,
বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি ও মন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাদ ও তাঁর পরিবারের কয়েকজন সদস্য এবং বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে প্রভাবশালী যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মণিকে সস্ত্রীক হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুর বিশাল দল আওয়ামী লীগ, লাখো নেতাকর্মী, সরকার, সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, বিডিআর সবাই ছিল। কিন্তু সবাই থাকা সত্ত্বেও বিশ্ব ইতিহাসের ওই নির্মম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ না হওয়ার বিষয়টি আওয়ামী লীগের জন্য যেমন ‘রাজনৈতিক লজ্জা’। প্রতিবাদ না হওয়ায় তেমনই আমরাও বিশ্বের দরবারে জাঁতি হিসেবে ‘দায়’ এড়াতে পারি না।
ক্ষমতা দখলকারী খোন্দকার মোশতাক বঙ্গবন্ধুর প্রায় চার দশকের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। স্বাধীনতা যুদ্ধকালে বিশ্বাসঘাতকতা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু তাকে মাফ করে দিয়ে মন্ত্রিসভায় স্থান করে দেন। বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে তার ঘাতক মোশতাক কত সুবিধা নিয়েছে তার ইয়েত্তা নেই।
বিখ্যাত ব্যাংকার খায়রুল কবির ছিলেন খোন্দকার মোশতাকের হোস্টেলমেট। তিনি বঙ্গবন্ধরও ঘনিষ্ঠজনদের একজন। লন্ডন প্রবাসী সাংবাদিক আবদুল মতিনের ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব : মুক্তিযুদ্ধের পর’ গ্রন্থে (পৃষ্ঠা ১৫২) খায়রুল কবির স্মৃতিচারণে বলেছেন, ‘খোন্দকার মোশতাকের প্রতি বঙ্গবন্ধুর একটা দুর্বলতা ছিল। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে বঙ্গবন্ধু খায়রুল কবিরকে টেলিফোন করে বলেছিলেন, ‘মোশতাকের কিছু টাকা দরকার’; ২০ হাজার টাকা তাকে ধার দিবেন।’ যথাসময়ে মোশতাক কবির সাহেবের সঙ্গে দেখা করেন। কবির সাহেব তাকে বলেন, ‘তুমি নিজে না এসে বঙ্গবন্ধুকে দিয়ে টেলিফোন করিয়েছ কেনো?’ মোশতাক বলেন, ‘টাকা না হলে আমার বউয়ের চিকিৎসা হবে না।’ তার স্ত্রীকে ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য লন্ডন পাঠানো হয়েছিল। খায়রুল কবির বলেন, ‘তাকে ১৫ হাজার টাকা দিয়েছি। ব্যাংকের টাকা দেইনি। কারণ সে ব্যাংকের টাকা ফেরত দিবে না।’
কেএম সফিউল্লাহ ও জিয়াউর রহমান দু’জনকেই বঙ্গবন্ধু স্বল্প সময়ের মধ্যে কয়েকটি প্রমোশন দিয়ে মেজর জেনারেল বানিয়ে সেনাপ্রধান ও উপ-প্রধানের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। সেনাপ্রধান সফিউল্লাহর বঙ্গবন্ধু হত্যা ষড়যন্ত্রের সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পাওয়া না গেলেও হত্যাকাণ্ডের পর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। অবশ্য তিনি বিভিন্নভাবে বলার চেষ্টা করেছেন তাঁর পদস্থ সহকর্মীদের মধ্যে কেউ কেউ বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত ছিলেন, আবার কেউবা প্রতিরোধের ব্যাপারে তাঁকে সহযোগিতা করেননি। তাছাড়া বঙ্গবন্ধু হত্যার ৯ দিনের মাথায় সফিউল্লাহকে সেনাপ্রধানের পদে থেকে সরিয়েও দেয়া হয়। অন্যদিকে জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে ওই সময় হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ তোলা না হলেও পরবর্তীতে হত্যাকাণ্ডের দায় তাঁর কাঁধেই বর্তানোর চেষ্টা করা হয় আওয়ামী লীগের তরফ থেকে। অভিযোগ তোলা হচ্ছে, ওই জঘন্যমত হত্যাকাণ্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি জিয়াউর রহমানকে। বরং তিনি নাকি হত্যাকাণ্ডে জড়িত অনেককেই পুরস্কার স্বরূপ ‘রাষ্ট্রদূত’ বানিয়ে ছিলেন। যদিও জিয়াউর রহমানের পরিবার ও দল বিএনপি ওইসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
১৫ আগস্টের ৯ দিন পরই সেনাবাহিনীর উপ-প্রধান জিয়াউর রহমান জিয়াকে সেনাপ্রধান করা হয়। এরপর জেনারেল জিয়া রাষ্ট্রপতিসহ সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হন।
একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে গ্রেফতার হওয়ার আগেই বঙ্গবন্ধু তৎকালীন কর্নেল (অব.) ওসমানীকে প্রধান সেনাপতি পদে আগাম নিয়োগ দিয়ে যান। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ওসমানীকে তার মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে নিয়োগ করেন। তাছাড়া কর্নেল থেকে ওসমানীকে বঙ্গবন্ধুই জেনারেল পদে পদোন্নতি দেন। সেই ওসমানী বঙ্গবন্ধু হত্যার কোনো প্রতিবাদ তো করলেনই না, উপরন্তু ইতিহাসের এ জঘন্য হত্যাকাণ্ডের দশম দিনে তিনি মন্ত্রীর মর্যাদায় ঘাতক রাষ্ট্রপতি মোশতাকের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা নিযুক্ত হন। তবে, বঙ্গবন্ধুর ফোন পেয়ে তাঁকে রক্ষা করতে গিয়ে পাকিস্তান প্রত্যাগত জীবনদানকারী কর্নেল জামিলের নাম চিরকাল শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণীয় হয়ে থাকার মতো।
বড় লজ্জার বিষয় হচ্ছে, আওয়ামী লীগের লাখো নেতাকর্মী, বঙ্গবন্ধু সরকারের মন্ত্রী পরিষদ, বঙ্গবন্ধুর কোটি কোটি ভক্ত ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ না জানিয়ে মনে হয়, নাকে খাঁটি সরিষার তৈল মেখে ঘুমি থেকেছে। অপরদিকে, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এম. মনসুর আলী ও তাজউদ্দীন আহমদের মতো প্রথম সারির নেতারাও যদি ওই সময় ঘাতক সরকারকে ঘৃণা করে প্রতিরোধের ডাক দিতেন, তাহলে বাংলার ইতিহাস আজ অন্যভাবে লেখা হতো।
হয়তো কেউ বলবেন, বঙ্গবন্ধুর লাশ ধানম-ির ৩২ নম্বরে রাস্তায় সশস্ত্র আর্মি, ট্যাংক নিয়ে ঘাতকের মহড়া, এর মধ্যে কীভাবে প্রতিরোধের ডাক দেয়া সম্ভব। তবে, এটাও ঠিক রাজধানী ছাড়া সারা বাংলাদেশে কিন্তু আর্মি বা ট্যাংকের মহড়া ছিল না। তাছাড়া বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আর্মির হত্যাকারী ওই ক্ষুদ্র অংশ ভয়ে ভয়ে ছিল। ওরা সিনিয়র সেনা কর্মকর্তাদের বলছিল ‘আমরা দেশের স্বার্থেই এ পদক্ষেপ নিয়েছি। আপনারা পরিস্থিতি সামলান।’
পাকিস্তান প্রত্যাগত প্রায় সব সেনা কর্মকর্তা ঘাতকচক্রের প্রতি সমর্থন করাসহ ‘যা হওয়ার হয়ে গেছে’ এ মনোভাব এবং রাষ্ট্রপতি ও মন্ত্রীপদে বঙ্গবন্ধু সরকারের মন্ত্রীরাই শপথ নেয়ায় জনগণ যেমন বিভ্রান্ত হয়েছিলো, তেমনই ঘাতকচক্রও হত্যাকাণ্ডের দায় থেকে পার পেয়ে যাওয়ার সময়-সুযোগও পায়।
ঘাতকচক্র সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেই ক্ষান্ত থাকেনি, ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতিও তারা অবমাননা করেছে। ১৫ আগস্ট সারাদিন, এবং পরদিন ১৬ আগস্ট বিকেলে বঙ্গবন্ধুর লাশ গ্রামের বাড়ি টুঙ্গিপাড়া নিয়ে যাওয়া হয়। আর্মির যে ক’জন বঙ্গবন্ধুর লাশ টুঙ্গিপাড়া নিয়ে যান, তারা দাফন-কাফন অর্থাৎ ইসলামি নিয়মকানুন পালন না করেই লাশ কবরস্থ করতে চেষ্টা চালায়। কিন্তু স্থানীয় মৌলভীদের চাপের মুখে কফিন খুলে বঙ্গবন্ধুর মুখ দেখানো হয় এবং খুবই দ্রুততার সাথে ১০ থেকে ১৫ জনের উপস্থিতিতে জানাজা দিয়ে লাশ দাফন করা হয়। আর্মির উদ্ধত আচরণের কারণে স্থানীয় লোকজন বঙ্গবন্ধুর লাশ দেখা তো দূরের কথা, তারা আশপাশের গ্রাম ছেড়ে দূরে চলে যায়। বঙ্গবন্ধু ছাড়া অন্যান্যের লাশ বনানী গোরস্তানে ১৫ আগস্ট দিবাগত শেষ রাতে দাফন-কাফন-জানাজা ছাড়াই কবরস্থ করা হয়।
আরেকটি আশ্চর্যজনক ব্যাপার হলো বঙ্গবন্ধুর আর্মি, পুলিশ, বিডিআর, প্রায় তিনশ সংসদ সদস্য, সহকর্মী এবং যারা সেদিন রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রী হলেন তারা কেউ জানাজা করার আগে শেষবারের মতো বঙ্গবন্ধুর মুখটি দেখারও প্রয়োজনবোধ করেননি। অথচ এ বঙ্গবন্ধুর কারণেই বাংলাদেশ হলো, ক্যাপ্টেনরা জেনারেল হলো, অনেক অখ্যাত লোক খ্যাত হলো, মন্ত্রী-রাষ্ট্রপতি হলো। বঙ্গবন্ধুর প্রতি অসম্মান এবং শহীদদের লাশের প্রতি অবমাননার চরম খেসারত এ জাতিকে একদিন অবশ্যই দিতে হবে।
আমরা বলতে চাই, ১৫ আস্টের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ না করা এবং বিচার না চাওয়ায় জাতিকে চরম মূল্য দিতে হবে এবং হচ্ছে।
এতসব কিছুর পরও যতদিন মানুষের হৃদয়ে স্পন্দন থাকবে, বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ ও বাঙালি বেঁচে থাকবে, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা, ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ততদিন শ্রদ্ধাভরে উচ্চারিত হবে এটাই সত্য।
বাংলাদেশের আর্মি, পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বঙ্গবন্ধুর সহকর্মী, মন্ত্রী, দলীয় সংসদ সদস্য, লাখো নেতাকর্মী-দেশের মানুষ আমরা যারা বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টের নির্মম কারবালার প্রতিবাদ করিনি, ইতিহাস কী আমাদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ হিসেবে চিহ্নিত করতে দ্বিধা করবে?
আমরা মনে করি, ১৫ আগস্টের নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের নিন্দা ও প্রতিবাদ না করার ফলশ্রুতিতে পরবর্তীতে জেনারেল জিয়াউর রহমান, খালেদ মোশাররফ, কর্নেল তাহের, জিপসি মঞ্জুরসহ আরও অনেকের স্বাভাবিক মুত্যু হয়নি। প্রায় দুই যুগ চোরের মতো গৃহবন্দী এবং দুর্নীতির দায়ে কয়েক বছর জেল খেটে বিশ্বাসঘাতক মোশতাকের মৃত্যু হয়েছে।
বলা যায়, কেউ দোষি হোক, আর না হোক, সেটা বড় কথা নয়। কিন্তু একটি সদ্য স্বাধীন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ না হওয়াটা জাতির জন্য বড়ই পরিতাপের বিষয়ই বটে। সম্ভবত ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের আওয়ামী লীগ রাজপথে তেমন কোনো প্রতিবাদ করেনি। এখন প্রতি বছর ১৫ আগস্টে শুধু নামকাওয়াস্তে শোক পালন না করে শোককে শক্তিতে রূপান্তরের লক্ষ্যে রাজপথে প্রতিকী প্রতিবাদ করা যুক্তিযুক্ত মনে করি। বিষয়টি আওয়ামী লীগসহ বঙ্গবন্ধুর ভক্তবৃন্দরা ভেবে দেখতে পারেন। আশা রাখি, ১৫ আগস্ট দিনকে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ দিবস হিসেবেও পালন করতে বিশেষ করে আওয়ামী লীগ অগ্রগামী থাকবে।
ভাবতে শুধু অবাক লাগে না, বরং চরম লজ্জাও হয়। একটি দেশের স্বাধীনতার নায়ক, সদ্য স্বাধীন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে সপরিবারের হত্যাকাণ্ডের ৩৫ বছর পরে অর্থাৎ ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি রাতে ৫ ঘাতকের ফাঁসি কার্যকর হওয়া বড় সুখকর নয়। বরং বিচার অনেক আগেই হওয়া জরুরি ছিল।
লেখক : দৈনিক সংবাদের সাবেক সহ-সম্পাদক। সূত্র : এফএনএস