রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৯:১৭ am
ডেস্ক রির্পোট : বগুড়া শহরের নাটাইপাড়ার একটি বাড়িতে ঢুকে মারধর চুরি ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে পুলিশ সোর্স ইকবাল হোসেনের নামোল্লেখ করে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার গৃহকর্তার ভাই জয় কুমার সিং শনিবার সদর থানায় এ মামলা করেন।
তবে অজ্ঞাতকারণে এজাহারে চাঁদা দাবির বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়া সোর্স নিয়ে ওই বাড়িতে চাঁদাবাজি করতে যাওয়া ‘বেপরোয়া’ এসআই মাসুদ রানাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এর আগে তাকে সদর থানা থেকে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়।
সদর থানার ওসি সেলিম রেজা ও অন্য কর্মকর্তারা বলেন, এসআই মাসুদ রানা ৭-৮ মাস আগে এ থানায় যোগদান করেন। এরপর থেকে তিনি বেপরোয়া চলাফেরা শুরু করেন। তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ অমান্য করে নিজের ইচ্ছায় কাজকর্ম করতেন। তার এসব আচরণের কারণে সহকর্মীরা তাকে বার বার সতর্ক করেন। থানার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে তাই প্রায় দুই মাস আগে পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তীতে অবহিত করা হয়েছিল।
সর্বশেষ শুক্রবার দুপুরে এসআই মাসুদ রানা তার সোর্স ইকবাল হোসেনকে নিয়ে শহরের নাটাইপাড়া নাপিতপাড়ায় তরুণ কুমার শীলের বাড়িতে যান। তারা পুলিশ পরিচয়ে বাড়িতে ঢুকে তার (তরুণ) মোবাইল ফোন কেড়ে নেন। এ সময় ওই বাড়িতে কয়েকজন মোবাইল ফোনে অনলাইন জুয়া খেলছিলেন। ইকবাল এ সময় ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। বাড়ির লোকজন চাঁদাদাবির বিষয়টি মোবাইল ফোনে ভিডিও করতে শুরু করেন। তখন এসআই মাসুদ রানা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের মারধর করেন।
এতে প্রতিবেশীরা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশ কর্মকর্তা ও তার সোর্সকে অবরুদ্ধ করেন। তারা পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে স্থানীয়রা শান্ত হন। তখন এসআই মাসুদ রানা ও সোর্স ইকবাল হোসেনকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। আহত তরুণ কুমার শীলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠার প্রেক্ষিতে শুক্রবার পুলিশ সুপারের নির্দেশে এসআই মাসুদ রানাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত এবং তার সোর্স ইকবাল হোসেনকে আটক করা হয়। এছাড়া পুলিশ সুপার এ ঘটনা তদন্ত করে সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলামকে দায়িত্ব দেন।
সদর থানার ওসি সেলিম রেজা জানান, গৃহকর্তা তরুণ কুমার শীলের ছোটভাই জং কুমার সিং শনিবার থানায় সোর্স ইকবাল হোসেনের নামোল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত দুজনের বিরুদ্ধে মারধর, শ্লীলতাহানি ও চুরির মামলা করেন।
তাকে গ্রেফতার দেখানোর পর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। এছাড়া পুলিশ সুপার অভিযুক্ত এসআই সেলিম রেজাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন। তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হবে। সূত্র : যুগান্তর