মঙ্গবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৯:৪১ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে উচ্চ শব্দে গান বাজাতে নিষেধ করায় প্রতিবেশীকে খুনের অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১ আগস্ট) রাতে নগরীর শাহ মখদুম থানার হরিষার ডাইং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে মঙ্গলবার (২ আগস্ট) দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৩ আগস্ট) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নগর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রফিকুল আলম।
গ্রেপ্তারকৃতদের হলেন— শাহমখদুম থানার হরিষার ডাইং এলাকার বকুল আলীর মেয়ে খাদিজা (১৯), আসাদ আলীর ছেলে মিঠন (৩০), বাদশা মিয়ার ছেলে মোমিন (২৫), জান মোহাম্মাদের ছেলে সোহেল (৩২) ও কর্ণহার থানার মোল্লা ডাইং এলাকার মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে পলাশ (৪০)।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, নগরীর হরিষার ডাইং এলাকায় বকুলের ছেলে নাহিদ গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় উচ্চ শব্দে বক্সে গান শুনছিলো। প্রতিবেশী মুকুল আলীর মেয়ে অন্তঃসত্বা ও অসুস্থ হওয়ায় মুকুল আলী নাহিদকে উচ্চ শব্দে গান বাজাতে নিষেধ করেন। নাহিদ তাৎক্ষণিক বক্সের শব্দ কমিয়ে দিলেও মুকুল সেখান থেকে চলে আসলে আবারও শব্দ বাড়িয়ে দেন। মুকুল আলী পুনরায় নাহিদের বাড়িতে গিয়ে উচ্চ শব্দে গান বাজাতে নিষেধ করলে নাহিদ, তার বাবা বকুল আলী, মা ও তার বোন মিলে মুকুলকে গালিগালাজ করে এবং তাদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে নাহিদ ও তার পরিবারের সদস্যরা লোহার রড দিয়ে মুকুলের মাথায় আঘাত করে। এছাড়া, চাকু দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে গুরুতর জখম করে। মুকুলের চিৎকার শুনে তার ছোট ছেলে শাহীন আলম ও জামাই আলমগীর সেখানে গেলে তাদেরকেও মারপিট ও চাকু দিয়ে আঘাত করে জখম করে। স্থানীয়রা মুকুলকে উদ্ধারে এগিয়ে গেলে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে গুরুতর আহত অবস্থায় মুকুলকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই রাতেই আনুমানিক সাড়ে ১২ টায় মারা যান।
রফিকুল আলম জানান, মৃত মুকুলের ছেলে শামিম ইসলামের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে শাহমখদুম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। পরে পুলিশের এক টিম আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে। পুলিশের ওই টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে শাহমখদুম থানার হরিষার ডাইং ও কর্ণহার থানার মোল্লা ডাইং এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান নগর পুলিশের এই মুখপাত্র। আজকের তানোর