বৃহস্পতিবর, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০২:১৫ am
নিজস্ব প্রতিবেদক, মান্দা : নওগাঁর মান্দায় বকেয়া ভাতার দাবীতে মানববন্ধন করেছেন উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের ১৪৯ জন ভাতাভোগী। ভাতাভোগীদের অভিযোগ, তৎকালীন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের অবহেলার কারণে তাঁরা ৬ মাসের ভাতা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। সমাজসেবা অফিস ঘেরাওসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কোনো সুফল পাননি তাঁরা।
এ অবস্থায় পাওনা ভাতার দাবীতে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের সাবাইহাট বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনে তৎকালীন উপজেলা সমাজসেবা কমকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের শাস্তির দাবীও জানান ভাতাভোগীরা।
মানববন্ধন চলাকালে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন ভাতাভোগী বাংড়া গ্রামের কছিমুদ্দীন চৌকিদার, চন্দ্রকোনা গ্রামের শামসুল আলম, কেশবপুর গ্রামের জাহানারা বেগম, সিংগা গ্রামের করপুল বিবি ও তেঁতুলিয়া গ্রামের খতেজা বিবি। বাংড়া গ্রামের ভাতাভোগী ফাতেমা বিবি বলেন, ‘আগে বইয়ের মাধ্যমে আমাদের টাকা দেওয়া হয়েছে। তখন কোনো সমস্যা হয়নি। অনেক সময় সমস্যা হলে মেম্বার, অফিস ও ব্যাংকের লোকজন মিলে ঠিক করে দিয়েছে। কিন্তু মোবাইলের মাধ্যমে টাকা দেওয়া চালু হওয়ার পর সমস্যার সৃষ্টি হয়। অফিসে বারবার অভিযোগ করেও আমরা ৬ মাসের টাকা পাইনি।
তেঁতুলিয়া গ্রামের জমিলা বিবি বলেন, ‘মোবাইলে টাকা দেওয়া শুরু হলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সমস্যার সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে তাঁরা টাকা পেয়েছেন বলেও শুনেছি। কিন্তু তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের ১৪৯ জন ভাতাভোগী ৬ মাসের ভাতা আজও পাননি। তৎকালীন সমাজসেবা কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের অবহেলার কারণে আমরা ভাতা বঞ্চিত হয়েছি। আমরা তাঁর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মোবাইল ব্যাংকিং সেবাপ্রতিষ্ঠান ‘নগদ’ এর মাধ্যমে ভাতা দেওয়া চালু হলে ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত ৬ মাসের ভাতা পাননি তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের ১৪৯ জন ভাতাভোগী। ওই সময় ভাতার দাবিতে সমাজসেবা অফিস ঘেরাওসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেন তাঁরা। কিন্তু এখন পর্যন্ত বকেয়া ভাতা থেকে বঞ্চিত আছেন ভাতাভোগীরা।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শাকিল আহমেদ বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরের টাকা ব্যাংক থেকে ফেরত চলে গেছে। সেই ক্ষেত্রে বকেয়া ভাতা প্রাপ্তির আর কোনো সুযোগ নেই।
এ বিষয়ে জানতে তৎকালীন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও বর্তমানে রাজশাহীর ‘ছোটমনি’ নিবাসের উপ-তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের সঙ্গে মোবাইলফোনে বারবার চেষ্টা করেও ফোনটি রিসিভ না হওয়ায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন, বিষয়টি এই মাত্র জানলাম। বকেয়া ভাতা প্রাপ্তির সুযোগ থাকলে সমাজসেবা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজকের তানোর