মঙ্গবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৯:৩৫ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে হরিজন সম্প্রদায়ের এক শিক্ষার্থীর মুখে ঘুসি মেরে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২৬ জুলাইয়ের ঘটনায় ছাত্রীর অভিভাবক শনিবার আরএমপির রাজপাড়া থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ দেওয়া হয়েছে শিক্ষা বোর্ডসহ বিভিন্ন দপ্তরে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হরিজন সম্প্রসায়ের নেহা রানী (১৪) লক্ষীপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। গত ২৬ জুলাই শ্রেণিকক্ষে বেঞ্চে বসা নিয়ে অন্য সহপাঠীর সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে ওই শিক্ষিকা নাজমা খাতুনের কাছে অভিযোগ যায়। শিক্ষিকা নাজমা খাতুন ছাত্রী নেহা রানীর সঙ্গে চরম ক্ষিপ্ত হন। শেষে তিনি শিক্ষার্থী নেহা রানীর মুখে জোরে একটি ঘুসি মারেন। এতে নেহা রানীর চোখের নিচে জখম হয়।
ছাত্রীটি ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়লে বাবা মাসুম লাল খবর পেয়ে বিদ্যালয় থেকে মেয়েকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
অভিযোগে আরও জানা গেছে, ঘটনার একদিন পর ২৭ জুলাই ছাত্রীর মা অভিযুক্ত শিক্ষিকা নাজমা খাতুনের সঙ্গে দেখা করে তার মেয়েকে মারার কারণ জানতে চান। এতে ওই শিক্ষিকা আরও ক্ষেপে গিয়ে নেহার মাকে স্কুল থেকে তাড়িয়ে দেন।
গত ২৮ জুলাই নেহা রানীর বাবা স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার কাছে অভিযোগ দেন। স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় শনিবার রাজপাড়া থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়।
ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে লক্ষীপুর বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আইরিন জাফর বলেন, ‘আমি পদক্ষেপ নেইনি এ বিষয়টি সত্য নয়। অভিভাবকের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এদিকে ছাত্রীকে ঘুসি মারার অভিযোগের বিষয়ে শিক্ষিকা নাজমা খাতুন বলেন, ‘দুই ছাত্রীর মধ্যে গণ্ডগোল চলছিল। আমি দুজনকেই নিবৃত্ত করি। তাকে ঘুসি মারা হয়নি। ওরা নিজেরা হাতাহাতির সময় এমনটি হয়ে থাকতে পারে। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি মিথ্যা।
রাজপাড়া থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঘটনার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।