রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:৫৮ am

সংবাদ শিরোনাম ::
কম্পিউটার কী বোর্ডের মাধ্যমে রাজশাহীতে পাহাড়িয়াদের মাতৃভাষার লিখন পঠন কার্যক্রম উদ্বোধন গোদাগাড়ীতে প্লাজমা ফাউন্ডেশনের ৯ম তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন আমবাগান থেকে বাঘায় দিনমুজুরের গলাকাটা লাশ উদ্ধার নগরীতে জেলা কৃষকলীগ সভাপতি তাজবুল ইসলামসহ ১৫ জন গ্রেপ্তার নাচোলে মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের ১৪৮তম শাখা উদ্বোধন গণতন্ত্রের মোড়কে বাকশাল কায়েম চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা : সাকি তানোরে আলু বীজে মহাসিন্ডিকেট, দ্বিগুন দামে দিশেহারা চাষীরা! দুর্গাপুর ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক রফিক সরকারের দাফন সম্পন্ন দুর্গাপুরে বিএনপি’র আয়োজনে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপিত মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্য কোথাও বসাতে না পেরে বিক্রি করলেন ভাঙারির দোকানে রাজনৈতিক দলকে সরিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা নেই : আনন্দবাজারকে জামায়াতের আমির আগামী তিন মৌসুমের জন্য আইপিএলে যে ১৩ ক্রিকেটারের নাম দিল বিসিবি স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েও কাজ থামিয়ে রাখেননি অভিনেত্রী হিনা খান নগরীতে সন্ত্রাসি কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধে ১১ জন গ্রেপ্তার তানোরে সার বিতরণে অনিয়ম ও পাঁচার রোধে হট্টগোল মারপিট দুর্গাপুরে হোজা নদী পুন:খনন ও দখলমুক্ত দাবিতে ইউএনও’কে স্মারকলিপি রাজশাহীতে সমন্বয়ক পেটানোর ব্যাখ্যা দিল মহানগর ছাত্রদল আঘাতের দাগে সম্পর্কের রূপান্তর ! রাজু আহমেদ তানোরে শিক্ষক সমিতিকে নিজ পকেটে রাখতে মরিয়া বিএনপি নেতা মিজান অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার পক্ষে লড়তে চান জেড আই খান পান্না
জাল টাকার কারবারে সাবেক পুলিশ সদস্য ও কিছু অসাধু ব্যাংকার

জাল টাকার কারবারে সাবেক পুলিশ সদস্য ও কিছু অসাধু ব্যাংকার

ডেস্ক রির্পোট : রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে জাল টাকার কারবারের সঙ্গে জড়িত একটি চক্রের প্রধান মো. হুমায়ন কবির (৪৮) নামের এক সাবেক পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

বুধবার রাতে মোহাম্মদপুর থানার চাঁদ উদ্যান এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জাল টাকার কারবারের সঙ্গে সাবেক পুলিশ সদস্য হুমায়ন ছাড়াও কয়েকজন ব্যাংক কর্মকর্তা জড়িত বলে তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য যাচাই-বাচাই করে ওই সব অসাধু ব্যাংক কর্মকর্তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানায় ডিবি।

জাল টাকার কারবার ও গ্রেফতারের বিষয় জানাতে বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলন করে ডিবি।

এ সময় ডিবির প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, প্রতি মাসে ৬০ লাখ জাল টাকা বিক্রির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছিলেন হুমায়ন কবির। জাল টাকার কারবার পরিচালনার জন্য তিনি ঢাকাসহ সারা দেশে একটা নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছেন। এই চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন উৎসবকে সামনে রেখে বাজারে জাল টাকা ছড়িয়ে দেন। বিভিন্ন হাট-বাজারের দোকান, মার্কেট ও ব্যাংকের মাধ্যমে এসব টাকা ছড়িয়ে দেয় চক্রের সদস্যরা। ব্যাংকে যখন ভিড় থাকে তখন কৌশলে গ্রাহককে জাল টাকা দিয়ে দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে ব্যাংকের কিছু অসাধু কর্মকর্তারা জড়িত বলেও জানা গেছে।

এক প্রশ্নের জবাবে হারুন অর রশিদ বলেন, আমরা তাকে অপরাধী হিসেবে গ্রেফতার করেছি। তিনি এক সময় পুলিশে চাকরি করতেন। তবে কী কারণে তার চাকরি চলে গিয়েছিল সেই তথ্য আমার জানা নেই। তিনি বলেন, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। অবৈধভাবে কেউ বড়লোক হতে চাইলে তাকেও আমরা আইনের আওতায় আনব।

গ্রেফতার হুমায়নকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ডিবি জানায়, তিনি তার পাঁচ সহযোগীর নাম বলেছেন। তারা হলেন- ইমাম হোসেন (৩০), মো. আলাউদ্দিন (৩৫),  মো. সাইফুল (৩০), মো. মজিবর (৩২), আলাউদ্দিন (৪২)। এদের সঙ্গে যোগসাজশে জাল টাকা প্রস্তুত এবং বিপণন করে আসছিলেন হুমায়ন।

ডিবি আরও জানায়, মামলায় গ্রেফতার হয়ে এই চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন সময় কারাগারে ছিলেন। কারাগারে বসেই তারা একজন আরেকজনের সঙ্গে পরিচিত হন। পরে জামিনে বেরিয়ে এক সঙ্গে জাল টাকার কারবারে জড়িয়ে পড়েন। গ্রেফতার হুমায়ন কবির মোহাম্মদপুরে ভাড়া নেওয়া বাসায় জাল টাকা বানানোর কারখানা হিসেবে ব্যবহার করে জাল টাকা তৈরি করে আসছিলেন। তার বিরুদ্ধে জাল টাকার চারটি মামলা আছে। তার অন্যান্য সহযোগীরা পলাতক রয়েছেন।

ডিবি জানায়, গ্রেফতারের সময় হুমায়ন কবিরের ফ্ল্যাটে তল্লাশি করে ১৬ লাখ জাল টাকা ও জাল টাকা তৈরির ল্যাপটপ, প্রিন্টার, লেমিনেশন মেশিন, পেস্টিং গামের কৌটা, টাকা তৈরির ডাইস, ফয়েল পেপার, টাকা তৈরির কাগজ, মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।

ব্যাংকের কোন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং কতদিন ধরে এই চক্রটি জাল টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে আসছিল- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডিবির হারুন বলেন, আমরা তাকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসা করি, এই জাল টাকাগুলো কোথায় কোথায় দেন। তিনি জানান, কেরানীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও টঙ্গী এলাকায় চক্রের এজেন্টদের কাছে জাল টাকাগুলো সাপ্লাই করতেন। আবার বিভিন্ন ব্যাংকে যখন প্রচুর ভিড় হতো তখন ব্যাংকের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে জাল টাকা ব্যাংকে জমা দিতেন।

চক্রটির অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) কাজী শফিকুল আলমের নির্দেশনায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) আছমা আরা জাহানের তত্ত্বাবধানে এবং অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. কায়সার রিজভী কোরায়েশীর নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয় বলেও জানান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। সূত্র : যুগান্তর

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.