শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৭:৩৩ am
নিজস্ব প্রতিবেদক, গোদাগাড়ী : ভরা রোপা-আমন মৌসুমে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেড়ে গেছে ইউরিয়া, পটাশ, টিএসপি ও ডিএপি সারের দাম। প্রতি বস্তায় সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা বেশি দরে এসব সার বিক্রির অভিযোগ করেছেন স্থানীয় কৃষকরা।
তাদের অভিযোগ, ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে সারের দাম বাড়িয়েছে। সঠিকভাবে কৃষি বিভাগের তদারকি না থাকায় কৃষককে জিম্মি করে সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে সার বিক্রেতারা। রোপা-আমন আবাদে এসব সারের চাহিদাও বেশি। এ কারণে ভরা মৌসুমে সারের দাম বাড়িয়ে মুনাফা করছে অসাধু ডিলার ও খুচরা সার ব্যবসায়ীরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ২৪ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে রোপা-আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। অনাবৃষ্টির কারণে দেরি হলেও কিছুটা বৃষ্টি হওয়ায় এ অঞ্চলে পুরোদমে চলছে রোপা-আমন চাষ।
গোদাগাড়ীর পিরিজপুর গ্রামের কৃষক সাবেদ আলী তেনু বলেন, এখন আমনের ভরা মৌসুম। সারের চাহিদা বেশি। ৮০০ টাকার ইউরিয়ার বস্তা এখন ১ হাজার থেকে ১১শ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এলাকার ডিলারদের দোকানে গেলে তারা বলছেন, সার নেই। খুচরা দোকানে যাও। খুচরা সার ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কাছ থেকে ৫০ কেজির প্রতি বস্তায় ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা দাম বেশি নিচ্ছে। সার কেনার পর রশিদ চাইলে সার বিক্রেতারা রশিদ দিচ্ছেও না। রশিদের জন্য জোর দিলে সার বিক্রি করছে না। নিরুপাই হয়ে বেশি দামে সার কিনতে বাধ্য হচ্ছে কৃষকরা।
গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন সুলতানা বলেন, সারের কোন সংকট নেই। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে সময় মত সার আসতে সময় লাগছে। এ সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে খুচরা বিক্রেতারা। খুচরা সার বিক্রেতারা সার বিক্রি করতে পারবে না। বিআইসি ডিলারদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করা হয়েছে।
সরকারি দামে কৃষকরা বিআইসি ডিলারদের কাছ থেকে সার কিনবে। এতে যদি বিআইসি ডিলারদের কোন অনিয়ম পাওয়া যায়, তবে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। কৃষকদের খুচরা সার বিক্রেতার কাছে না গিয়ে বিআইসি ডিলারদের কাছে গিয়ে সার কেনার পরার্মশ দিয়েছেন এই কৃষি কর্মকর্তা। আজকের তানোর