শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:০২ am

সংবাদ শিরোনাম ::
মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্য কোথাও বসাতে না পেরে বিক্রি করলেন ভাঙারির দোকানে রাজনৈতিক দলকে সরিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা নেই : আনন্দবাজারকে জামায়াতের আমির আগামী তিন মৌসুমের জন্য আইপিএলে যে ১৩ ক্রিকেটারের নাম দিল বিসিবি স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েও কাজ থামিয়ে রাখেননি অভিনেত্রী হিনা খান নগরীতে সন্ত্রাসি কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধে ১১ জন গ্রেপ্তার তানোরে সার বিতরণে অনিয়ম ও পাঁচার রোধে হট্টগোল মারপিট দুর্গাপুরে হোজা নদী পুন:খনন ও দখলমুক্ত দাবিতে ইউএনও’কে স্মারকলিপি রাজশাহীতে সমন্বয়ক পেটানোর ব্যাখ্যা দিল মহানগর ছাত্রদল আঘাতের দাগে সম্পর্কের রূপান্তর ! রাজু আহমেদ তানোরে শিক্ষক সমিতিকে নিজ পকেটে রাখতে মরিয়া বিএনপি নেতা মিজান অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার পক্ষে লড়তে চান জেড আই খান পান্না নগরীতে বিএনপি নেতাকে ছুরিকাঘাত আগামী ২৯ নভেম্বর খুলছে রাজশাহী সুগার মিল জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের স্মরণে স্মরণসভা রাজশাহীতে যুবলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ১১ বাগমারা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবু তালেবের ইন্তেকাল তানোরে মসজিদের এসি অফিসার্স ক্লাবে, ইমামের অর্থ আত্নসাৎ প্রমান পেয়েছে তদন্ত কমিটি সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তানোরে বিএনপির কর্মীসভা নগরীতে ছাত্রলীগ নেতাসহ বিভিন্ন অপরাধে ৮ জন গ্রেপ্তার লীজকৃত পুকুর দখল, মালিককে বুঝিয়ে দিতে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ
মানুষ পিটানোর এমপিরা জনগণের কাঠগড়ায় : এমকে দোলন বিশ্বাস

মানুষ পিটানোর এমপিরা জনগণের কাঠগড়ায় : এমকে দোলন বিশ্বাস

জাতীয় সংসদে দেশ ও জনগণের কল্যাণে আইন প্রণয়ন করেন এমপিরা। তাঁরা যে আইন বাতলে দেন, জনগণ সেটাই মানতে বাধ্য। মাঝেমধ্যে খোদ আইন প্রণয়নকারিরাই আইন লঙ্ঘন করতেও দ্বিধা করছেন না। বরং অবস্থা এমন যে, হাল জমানায় আইন লঙ্ঘন করতে যেনো কতিপয় এমপি প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। অসঙ্গতির খবর প্রকাশের দায়ে আইন প্রণয়কারীর হুমকি-ধামকি আমার মতো অখ্যাত সাংবাদিকও নিস্তার মিলেনি। বরং সাংবাদিকতার লাইসেন্স বাতিল থেকে শুরু করে যাবজ্জীবন কারাপ্রকোষ্ঠে যাঁতনার বন্ধীর হুমকি শোনার একাধিকবার তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। তারপরও মহান আল্লাহতায়ালার অশেষ মেহেরবানিতে বেঁচে আছি, অসংগতির নানাদিক নিয়ে কালেভদ্রে লেখার চেষ্টা করছি। শুধু সাধারণ মানুষই নয়, দলীয় নেতাকর্মীর কাছেই মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে উঠেছেন আওয়ামী লীগের কতিপয়শ্রেণীর এমপি।

বিচার সালিশে গিয়ে যেমন স্থানীয় লোকজনকে মারধরের অভিযোগ উঠছে তেমনি দলীয় নেতাকর্মীরাও তাঁদের হাতে মার খাওয়া থেকে বাদ পড়ছেন না। দলীয় নেতাকর্মীর কাছে আতঙ্ক হয়ে উঠেছেন ওইসব এমপি। রাজশাহী, পাবনা, মাগুরা, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, টাঙ্গাইল, চট্টগ্রাম, নাটোর, নোয়াখালী, সন্দ্বীপ, গাইবান্ধা, দিনাজপুর সদর, মুন্সীগঞ্জ, মেহেরপুর, যশোর, বরগুনা, বরিশাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কক্সবাজার, নেত্রকোনা, রাজবাড়ী, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জসহ ৪০ জেলায় অন্তত ১৫০ জন এমপির কখনো মারধর বা বাজে আচরণের শিকার হন এবং আতঙ্কে থাকেন। শিক্ষক, দলীয় নেতা-কর্মী কেউ তাদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। হীনকর্মের দায়ে তাদেরকে রীতিমত ‘পাড়ার মাস্তান’ বলছেন কেউ কেউ। প্রশ্ন জাগে, এমপিদের কেনো এই নেতিবাচক আত্মপ্রকাশ? কলেজ অধ্যক্ষ, শিক্ষক, সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, এমনকি দলীয় নেতা-কর্মী থেকে সাধারণ মানুষ পিটিয়ে বারবার আলোচনায় এসেছেন এক শ্রেণির এমপিরা। শাসকদলের এমপিদের একাংশ নিজ হাতে জনগণকে পিটিয়ে এখন যেমন দেশজুড়ে সমালোচনায় ধিক্কার কুড়াচ্ছেন। তেমনই আইন প্রণয়নকারী হয়েও নিজেরা অন্যকে পিটিয়ে জনগণের কাঠগড়ায় দৃশ্যমান।

রাজশাহী-১ আসনের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী এক কলেজ অধ্যক্ষকে পেটানোর ঘটনায় দেশব্যাপী আলোচনা-সমালোচনার রেশ কাটতে না কাটতেই গত ১৬ জুলাই জাতীয় সংসদ ভবনের এলইডি হলে দেবিদ্বার উপজেলা চেয়ারম্যানকে পিটিয়ে সমালোচনার ঝড় তুলেছেন কুমিল্লা-৪ আসনের এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুল। এমনভাবে গত এক বছরে অর্ধডজন এমপি মানুষ পিটিয়ে নানা সময়ে নিজেদের নাম ‘সমাআলোচিত’  করেছেন। গত ৭ জুলাই রাজশাহী-১ গোদাগাড়ী-তানোর আসনের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে উপজেলার রাজাবাড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজাকে প্রকাশ্যে কিল-ঘুসি ও হকিস্টিক দিয়ে পেটানোর অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে শিক্ষক সংগঠনসহ বিভিন্ন মহল থেকে এমপি ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নেওয়ার দাবি ওঠে। ১৪ জুলাই এমপিকে পাশে নিয়ে ওই অধ্যক্ষ দাবি করেন এমপি ওমর ফারুক তাঁকে পেটাননি, অধ্যক্ষ ফোরামের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে তাঁরা নিজেরাই তর্কে জড়ান, একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি হয়। এমপি তাঁদের নিবৃত্ত করেন। আর সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই অভিযোগ অস্বীকার করেন এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী। তিনি দাবি করেন, তাঁকে ঘিরে বারবার চক্রান্ত হচ্ছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তাঁকে হেয় করতেই এ কাজ করিয়েছেন।

মানুষ পেটানোয় সিদ্ধহস্ত এমপি :
সরকারি কর্মকর্তা, দলীয় নেতা-কর্মী থেকে সাধারণ মানুষ পিটিয়ে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে আলোচনায় আসেন বরগুনা-২ আসনের এমপি শওকত হাচানুর রহমান রিমন। মানুষ পেটানোয় সিদ্ধহস্ত এই এমপি গত ২১ মে বরগুনার পাথরঘাটার হরিণঘাটা বাজারসংলগ্ন স্লুইসঘাট এলাকায় সালিশি বৈঠক ডেকে এক মাছ ব্যবসায়ীকে চড়থাপ্পড় মারেন। ফোরকান মিয়া নামের এক মাছ ব্যবসায়ী বাকিতে সিগারেট না পেয়ে মারধর করেছিলেন এক দোকানিকে। এ ঘটনায় নালিশ পেয়ে সালিশ ডাকেন এমপি রিমন। এরপর শাস্তি হিসেবে নিজেই চড়থাপ্পড় দেন অভিযুক্ত ফোরকানকে। ফোরকানের অভিযোগ, তিনি বরগুনার সংরক্ষিত (নারী) আসনের এমপি সুলতানা নাদিরার সমর্থক। নাদিরার সমর্থক হওয়ার কারণেই তাঁকে ইচ্ছাকৃতভাবে মেরেছেন এমপি রিমন। এমপি নাদিরার বাড়িও পাথরঘাটায়। এমপি রিমন মারধরের কথা স্বীকার করে সে সময় গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘একজন মসজিদের ইমামের শরীরে হাত দিয়ে ফোরকান গুরুতর অন্যায় করেছে। মুসল্লিদের চাপের মুখে এ সালিশ করতে বাধ্য হয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘সামাজিকভাবে যতটুকু পারি, ততটুকু সালিশব্যবস্থার মাধ্যমে সমস্যা সমাধনের চেষ্টা করি। তবে পাথরঘাটায় যা ঘটে, তাঁর চেয়ে বেশি রটায় আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। ’ ২০২১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর এমপির মোটরসাইকেল বহরকে সাইড না দেওয়ায় অনুষ্ঠিত এক জনসভায় মঞ্চে উঠিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও মাছ ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামকে বেধড়ক মারধর করেন এমপি রিমন। নির্যাতনের শিকার মাছ ব্যবসায়ী নজরুল ৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বিএফডিসি মৎস্য পাইকার সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক। এর আগেও সরকারি কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল এমপি রিমনের বিরুদ্ধে।

অধ্যাপক পিটানোয় পারদর্শী এমপি : 
১৯ মে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ সরকারি মাহতাব উদ্দীন কলেজের দুই সহকারী অধ্যাপককে পেটানোর অভিযোগ ওঠে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের বিরুদ্ধে। লাঞ্ছিত দুই শিক্ষক হলেন পদার্থবিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন ও গণিতের সহকারী অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন। শিক্ষক পেটানোর ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন কলেজ অধ্যক্ষ ড. মাহাবুবুর রহমান। অভিযোগে বলা হয়- এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার কলেজে প্রবেশ করে গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসাইনকে ‘তুই শিবির করিস’ বলে কানে-মুখে চড়থাপ্পড় মারতে থাকেন। শিক্ষকদের কমনরুমে নানা রকম হুমকি-ধমকি দিয়ে চলে যান।

দলিল লেখক পিটানো এমপি :
গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর ডেমরা সাবরেজিস্ট্রি অফিসের এক দলিল লেখককে ঢাকা-৫ আসনের এমপি কাজী মনিরুল ইসলাম মনু মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, চেয়ার দিয়ে মারধর করার পাশাপাশি ভুক্তভোগীর মাথা লক্ষ্য করে পানির গ্লাস ছুড়ে মারেন ওই এমপি। গালাগালের পাশাপাশি হত্যার হুমকিও দেন তিনি। ভুক্তভোগী দলিল লেখকের নাম আনোয়ার হোসেন। তিনি ডেমরা সাবরেজিস্ট্রি অফিস দলিল লেখক ও স্ট্যাম্প-ভেন্ডার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক। ওই সময় গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি ওই এমপি মনু।

পৌর মেয়রকে কোপানোর নির্দেশ এমপির :
বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল খানকে ‘কুপিয়ে জখম’ করতে দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বরিশাল-৪ আসনের এমপি পঙ্কজ নাথের বিরুদ্ধে। মেহেন্দীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শকের (তদন্ত) সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় এমপি পঙ্কজ নাথ নিজেই তা জানান। ওই ফোনালাপের ১ মিনিট ৯ সেকেন্ডের অডিও রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এ নিয়ে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

সদলীয় নেতা পিটানো এমপি : 
নানা আলোচনা-সমালোচনায় থাকা কক্সবাজার-৪ আসনের সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদি টেকনাফে দলের বর্ধিত সভায় তিন নেতাকে পিটিয়ে আলোচনায় আসেন। মারধরের শিকার নেতারা হলেন- টেকনাফ পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ইউছুফ মনো, যুগ্মসম্পাদক ইউছুফ ভুট্টো ও উপজেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক। নেতাদের পেটানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা গেছে, সাবেক এমপি বদির সঙ্গে তাঁর ভাই আবদুস শুক্কুর ও কয়েকজন নেতা মিলে তাঁদের পেটাচ্ছেন। এ ঘটনায় দলের ভিতরে ও বাইরে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। মারধরের শিকার ইউছুফ মনো বলেন, ‘বর্ধিত সভা চলাকালে সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদি পৌর কমিটি ডিঙিয়ে বারবার ওয়ার্ড কমিটিকে প্রাধান্য দিয়ে কথা বলছিলেন। আমি তাঁর বক্তব্যের প্রতিবাদ করায় সেখানে বাগি¦ত-ার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে বদি মঞ্চ থেকে নেমে হলরুমের বাইরে অপেক্ষমাণ তাঁর ক্যাডার বাহিনীকে ডেকে এনে নিজে সরাসরি এসে আমাকে কিল-ঘুসি মারতে থাকেন। আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে যুগ্মসম্পাদক ইউছুফ ভুট্টোকেও বেধড়ক মারপিট করেন বদি ও তাঁর লোকেরা।’

বলা বাহুল্য যে, জনপ্রতিনিধি নামে ওইসব জনপ্রতিবন্ধী এমপিরা এখন বেসামাল হয়ে উঠেছেন। তাঁরা সব জায়গায় আধিপত্য বিস্তার করতে চান। আর যেখানেই তাঁরা বাধা পান সেখানেই তাঁরা আগ্রাসী হয়ে উঠছেন। এমনকি তাঁরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও দখল করতে চাইছেন। সেখানে তাঁদের মধু আছে। তাই তারা শিক্ষকদেরও ছাড়ছেন না। এটা দল এবং সরকারের দেখা উচিত। তা না হলে তো শৃঙ্খলা থাকবে না।

আমরা বলতে চাই, ‘যেসব এমপির বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে তা অবশ্যই তদন্ত করে দেখা জরুরি। অভিযোগ প্রমাণ হলে আইনানুসারে ব্যবস্থা নেয়া দরকার। এমপিদের কাজ সংবিধানে স্পষ্ট করা আছে। তাঁদের কাজ দেশের আইন প্রণয়ন করা। কিন্তু এখন দেখছি তাঁরা মারপিটের নগ্ন হচ্ছে। আসলে যেমন এমপি তেমন তাঁরা আচরণ করছেন। দল থেকেও তাঁদেরই চাওয়া হয়েছে। নয়তো তাঁরা মনোনয়ন পেয়েছেন কীভাবে! তাঁদের আচরণ দেখেই এই সংসদের কী ভাবমূর্তি আছে তা বোঝা যায়। কেউ সংসদের ভাবমূর্তি নিয়ে ভাবলে তাঁরা এমপি হতে পারতেন না। আর দলও তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিত। কিন্তু ব্যবস্থা তো নেয়না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও সাহস পায়না। সুতরাং বলা যায়, মানুষ পিটানো ওইসব এমপি এখন কম করে হলেও  জনগণের কাঠগড়ায় দণ্ডায়মান। লেখক : সাবেক সহসম্পাদক, দৈনিক সংবাদ।

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.