সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১১:২৭ pm
আসাদুজ্জামান মিঠু : রাজশাহীর তানোর উপজেলার বাধাঁইড় ইউপির শীতপুর গ্রামের প্রভাবশালী রনি ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টা মামলা করে বিপাকে পড়েছেন একই গ্রামের হুমায়ন কবির ও তার পরিবার। মামলার পর থেকেই আসামিরা প্রতিনিয়ত হুমকি-ধামকি দিয়ে মামলা তলে নেবার জন্য চাপ দিচ্ছে বলে বাদী হুমায়ন কবির অভিযোগ করেছেন।
সর্বশেষ মঙ্গলবার দিবাগত রাত্রে এ মামলার ২ নম্বর ও ৫ নম্বর দুইজন আসামীকে আটক করে বুধবার জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ। তবে, এ মামলার মুল হোতা ১ নম্বর আসামীকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
বুধবার বিকালে তদন্তকারী কর্মকর্তা মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে এস আই আনোয়ার হোসেরের কাছে ১ নম্বর আসামীর রনির দেয়া হুমকির কথা বাদী হুমায়ন করিব জানিয়েছেন।
মামলার বিবরণ এবং বাদির অভিযোগ সুত্রে, গত ২৬ মে উপজেলার শীতপুর গ্রামে ছাগলে ফসল খাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রভাবশালী রনির ও তার লোকজন প্রতিবেশী নিরীহ হুমায়ন কবিরের স্ত্রী শরিফা বেগম ও ১৪ বছরের ছেলে শাহারিয়ারকে বেদম পিটায় আসামীরা। এক পর্যায়ে বাড়ি থেকে দেশিও অস্ত্র ধারালো হাসুয়া ও দাও এনে শরিফার মাথায় ও তার ১৪ বছরের ছেলের কানের উপরে কোপ দেন রনি। এতে গুরুতর জখম হয় মা ও ছেলে।
পরে গ্রামবাসির সহযোগিতায় দুইজনকে উদ্ধার করে তানোরে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করেন হুমায়ন কবির। স্ত্রীর মাথায় ১৪ এবং ছেলের কান ও চিপের গোড়ায় ৮টি সেলায় দেন চিকিৎসকেরা। দীর্ঘ দুই সপ্তাহ চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে চলতি মাসের ১৪ জুন আদালতে মামলা করেন হুমায়ন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তানোর থানায় মামলটি রেকর্ড করা আদেশ দেন বিজ্ঞ আদালত। আদালতের আদেশ পেলে ২১ জুন মামলা রেকর্ড করেন তানোর থানা পুলিশ। এ মামলায় প্রভাবশালী রনিসহ ৫ জনকে আসামী করা হয়। এ দিনই ২ নম্বর আসামী মোন্তাজ আলী ও ৫ নম্বর আসামী জামালকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ।
এব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই আনোয়ার হোসেন বলেন, শীতপুর গ্রামে বাদী হুমায়ন কবিরের মামলা রেকর্ড হওয়ার দিনই দুইজন আসামী আটক করে বুধবার জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। প্রধান আসামীসহ অন্য আসামীদের ধরতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যে কোন সময় তারা আটক হবে। আজকের তানোর