সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১১:৪৪ pm
আব্দুস সবুর, ভ্রাম্যমান প্রতিবেদক : কারো বাবা নেই, কারো মা নেই, অথবা বা মা কেউ নেই, তারা সমাজের এক প্রকার চরম অবহেলিত শিশু, ওদের পড়ালেখা করতে হয় সেখানেই। সরকারি বেসরকারি টাকায় তাদের থাকা খাওয়া পড়াশোনা, সহজে তাদের খোঁজ খবর কেউ নিতেই চাই না।তাদের কষ্ট দুঃখ বলার মত নয়, বললেও কেউ বুঝে উঠবে না।
অবশ্য একটা দিক দেখা যায়, জনপ্রতিনিধিরা ভোটের আগে তাদের সাথে মিলিত হলেও পরে তেমন ভাবে দেখা মিলে না। একটা শিশুর বাবা মা থাকলে কত আবদার থাকে। কিন্তু এতিমখানার শিশুরা কোন আবদার করতে পারে না। করবে কার কাছে। বাবা মার অভাব তো কেউ পুরুন করতে পারবে না। পারার কথাও নয়। আজ ১১ জুন শনিবার রাজশাহীর তানোরে কলেজ শিক্ষক সমিতির আয়োজনে গুনগত শিক্ষার মানোন্নয়ন শীর্ষক আলোচনা সভা ও অবসরপ্রাপ্ত দুই অধ্যক্ষের বিদায় এবং শিক্ষা বৃত্তি সাইকেল বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন, স্হানীয় সাংসদ বরেন্দ্র অঞ্চলের পোড়ামাটির শহীদ পরিবারের সন্তান আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী।
দুটি সভা শেষ করে তানোর ( চাপড়া) মহিলা কলেজের নবনির্মিত গেট উদ্বোধন করতে যাওয়ার সময় চাপড়া এতিম খানার এতিম শিশুদের সাথে মিলিত হন। অবশ্য এমপির আস্হাভাজন বিশিষ্ট সমাজ সেবক আবুল বাসার সুজন এতিম বাচ্চাদের প্রতি তার চমৎকার দৃষ্টি রয়েছে। তিনি এতিম খানার মসজিদে মাঝে মাঝেই জুম্মার নামাজ আদায় করে শিশুদের সাথে মিলিত হয়ে বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে থাকেন নিয়োমিত। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে গতকাল তানোরে এমপির সভার বিভিন্ন ছবির মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় দৃষ্টি নন্দন সাড়া জাগানো এতিম বাচ্চাদের সাথে ছবিটি।
এমপি ফারুক চৌধুরী এতিম বাচ্চাদের সাথে কিছুটা সময় ব্যয় করে কলেজের গেট উদ্বোধন ও দুপুরের খাবার খেয়ে নিজ জন্মভূমি উপজেলার কলমা ইউপির চোরখৈর গ্রামে যান। তখন শেষ বিকেল পাঁচটা, সন্ধ্যার পরে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা এমপি।
এমপির সফর সঙ্গী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবু বাক্কার সিদ্দিক জানান, এমপিকে পেয়ে এতিম শিশুদের মনে কতটা আনন্দ ছিল তা ভাষায় প্রকাশ করার মত না। এতিম শিশুরা মহান আল্লাহর এক বড় নিয়ামত। কারন তাদের সাথে অল্প সময় ছিলাম। এমপি সহ সকলেই স্তব্ধ হয়ে পড়েন। সবার চোখে মুখে আলাদা একটা মনোভাব সৃষ্টি হয়ে পড়ে। মনে হচ্ছিল আরো সময় কাটায় তাদের সাথে। বাবা নেই, মা নেই, ভাই বোন আত্মীয় স্বনজ নেই, কারো কাছে কোনকিছু আবদার করবে কিংবা ভালোমন্দ খাবে পড়বে এসমস্ত কথা শোনারও কেউ নেই।
তাদেরকে দেখে মনে হচ্ছিল আমাদের সন্তানদের কত দাবি পুরন করতে হয়, এটা দাও তো ওটা দাও, এটা পছন্দ না তো আরেকটা নিব, ওমুক এরকম পোষাক পরেছে,আমাকে কিনে দাও, মাকে বলে না হলে বাবাকে, না হলে দা দাদি, নানা নানিকে।কত রমক জেদ সহ্য করতে হয়। কিন্তু এসব শিশুদের কারো কাছে কোন দাবি করার ক্ষমতা নেই।
বাবা মায়ের অভাব তো কেউ পুরুন করতে পারবে না। আমি আহবান করব সমাজের যারা বিত্তবান আছেন তারা এসব শিশুদের জন্য সামান্য অর্থ হলেও ব্যয় করুন। দেখেন কতটা স্বস্তি পাওয়া যাবে। আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না, নির্বাহী কর্মকর্তা পংকজ চন্দ্র দেবনাথ, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ প্রদীপ সরকার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক আবুল বাসার সুজন। আজকের তানোর