মঙ্গবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:৩৩ am
ডেস্ক রির্পোট : বিদ্যমান বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় করতে আমদানি কমানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর অংশ হিসাবে এখন থেকে কৃষি খাতে কম সুদে ঋণ প্রবাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এখন থেকে আমদানির বিকল্প পণ্যের উৎপাদন দেশে বাড়ানোর জন্য ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়া হবে। রাষ্ট্রায়ত্তের পাশাপাশি বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে এ ঋণ দিতে হবে।
এ বিষয়ে রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠনো হয়েছে। ২০১১-১২ অর্থবছর থেকে আমদানির বিকল্প কৃষিপণ্যের উৎপাদন বাড়াতে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দিয়ে আসছে।
কিন্তু শুরুতে এ কর্মসূচির আওতায় শুধু সরকারি ব্যাংকগুলো ঋণ বিতরণ করত। এখন বেসরকারি ব্যাংকগুলোকেও এ ঋণ দিতে হবে।
বিদেশ থেকে ডাল, ভোজ্যতেল, মসলা, পেঁয়াজসহ নানা কৃষিপণ্য আমদানি করতে মোটা অঙ্কের অর্থ খরচ হচ্ছে। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়ায় বৈদেশিক মুদ্রার খরচ বেড়ে গেছে।
এতে রিজার্ভের ওপর চাপ পড়েছে। এই চাপ কমাতে আমদানি করা পণ্যগুলোর উৎপাদন দেশেই বাড়াতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ডালের মধ্যে মুগ, মসুর, খেসারি, ছোলা, মটর, মাসকলাই, অড়হর প্রভৃতি; তেলবীজজাতীয় ফসলের মধ্যে সারিষা, তিল, তিসি, চীনাবাদাম, সূর্যমুখী, সয়াবিন প্রভৃতি এবং মসলাজাতীয় ফসলের মধ্যে আদা, রসুন, পেঁয়াজ, মরিচ, হলুদ, জিরা-এসব খাতে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়া হবে। এছাড়া ভুট্টা চাষেও ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, কৃষিঋণের মোট সুদের হার ৮ শতাংশ। এর মধ্যে এসব খাতে ৪ শতাংশ সুদে কৃষককে ঋণ দেওয়া হবে, বাকি ৪ শতাংশ সুদ বাবদ অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলোকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে দেওয়া হবে।
ব্যাংক ক্ষতিপূরণ হিসাবে ওই অর্থ নিতে না চাইলে তারা বাড়তি ৪ শতাংশ সুদকে সামাজিক দায়বদ্ধতায় বিনিয়োগ হিসাবেও দেখাতে পারবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, প্রকৃত কৃষকদের এই ঋণ দিতে হবে। ঋণ আদায়ের পদ্ধতিও হতে হবে সহজ। এসব খাতে ব্যাংকগুলো শাখা পর্যায় থেকে বছরে কী পরিমাণ ঋণ বিতরণ করবে, সেটিও নির্ধারণ করে আগেই কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানাতে হবে।
যেসব এলাকায় ওইসব ফসলের চাষ হয়, ওইসব অঞ্চলের শাখাগুলোর সামনে ‘এই শাখায় ৪ শতাংশ সুদে ফসল ও মসলাজাতীয় পণ্য উৎপাদনে ঋণ দেওয়া হয়’ শীর্ষক ব্যানার টানিয়ে দিতে হবে। এতে ফসলের নামও উল্লেখ করতে হবে।
এসব ফসল চাষের মৌসুম শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখা কর্তৃক আঞ্চলিকভাবে ঋণ বিতরণের ক্যাম্পেইন করতে হবে। প্রকৃত কৃষকদের শনাক্ত করতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ব্যাংকারদের সহায়তা করবে। সূত্র : যুগান্তর