রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১১:০২ am
ডেস্ক রির্পোট : নওগাঁর রানীনগর উপজেলার ত্রিমোহিনী উচ্চ বিদ্যালয়ে বরখাস্তের আদেশ দিয়ে এক সহকারী শিক্ষিকাকে হয়ারানী করার অভিযোগ উঠেছে। ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ন সভাপতি আব্দুল মান্নান মুহুরী ও প্রধান শিক্ষক দয়ারাম সাহার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন সহকারী শিক্ষক সাইমা ইয়াসমিন।
আজ (১৫ মে ২০২২) দুপুরে নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য যাতে আবেদন করতে না পারেন সে জন্য কৌশলে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে অন্যায় ভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরবর্তীতে আবার প্রধান শিক্ষক দয়ারাম সাহা ও আব্দুল মান্নান মুহুরী নিয়োগ দেয়ার নামে গোপনে ২০ লাখ টাকা ঘুষ দাবী করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করায় হয়রানী করছেন।
তিনি আরো বলেন, ২০২১ সালের ১৭ নভেম্বর সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। সাইমা ইয়াসমিন যাতে ওই পদে আবেদন করতে না পারেন সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ১৪ নভেম্বর ২০২১ তারিখে মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন একটি ঘটনা তুলে ধরে তাকে শোকজ করা হয়। এর জবাব প্রদান করলেও পরবর্তীতে প্রথম ও দ্বিতীয় শোকজ না করেই নিয়ম বহির্ভূতভাবে সাময়িক বরখাস্ত করে বেতনভাতা বন্ধ করে দেয়া হয়।
৩০ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ে হাজির হলে সাইমাকে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে দেয়া হয় নি। সাইমা ইয়াসমিন বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে অবহিত করেন। সেই থেকে প্রতিদিন বিদ্যালয়ে হাজির থাকা সত্বেও ১৬ জানুয়ারী ২০২২ পর্যন্ত অনুপস্থিত দেখিয়ে শোকজ করা হয়। অথচ এই চাকুরীতে প্রবেশের ১৮ বছরে তাঁর কোন অনিয়ম বা শোকজ-এর ঘটনা নাই। তিনি সুনামের সাথে চাকুরী করে আসছেন বলে দাবী করেন।
এদিকে উক্ত সহকারী শিক্ষক স্থায়ী ভাবে বরখাস্তের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলে বিজ্ঞ আদালত স্থায়ী ভাবে বরখাস্তের উপড় নিষেধাজ্ঞা দেন।
সাইমা জানান, হাইকোর্টের রীট পিটিশন নং ৩৬৫৭/২০১৫ তারিখের এক রায় এবং শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিবের ৬ আগষ্ট ২০১৭ তারিখের ৬৯৪ স্মারকের এক নির্দেশ মোতাবেক ৬০ দিনের বেশী সাময়িক বরখাস্ত রাখা হলে তাকে বেতনভাতা ও অন্যান্য সকল ভাতাসমূহ সমুদয় প্রদান করতে হবে। কিন্তু সেই নিয়ম মানেনি প্রধান শিক্ষক। বিপরীতে এসব বিষয়ে নিয়ে বিদ্যালয়ের গেলে তার সাথে অশোভন আচরন করে তারিয়ে দেয়া হয়।
লিখিত বক্তব্যে তিনি প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির অনিয়ম-দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরেন। বলেন, টাইম স্কেলের রেজুলেশন করতে তার কাছ থেকে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি ৮ হাজার টাকা, সহকারী শিক্ষক নজুরুল ইসলামের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এছাড়া দপ্তরী অছিমুদ্দিনের চাকুরী শেষ না হতেই তার ছেলেকে ওই পদে চাকুরী দেয়ার অঙ্গিকার করে আরও ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন তারা।
পূর্বের কমিটির আমলে বিদ্যালয় ফান্ডে রেখে যাওয়া সাত লাখ টাকা আত্নসাত করেছেন বর্তমান প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি। বিদ্যালয় ফান্ড থেকে শিক্ষকদের সামান্য পরিমান হলেও ভাতা প্রদানের নিয়ম থাকলেও গত ৬ বছর ধরে তা দেওয়া হয় নি। ২০২০ সালে ব্যাংকে ৫০ হাজার টাকা, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে ব্যাংকে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা এবং শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে বেতন ও পরীক্ষার ফি, সেশন ফিসহ বিভিন্ন খাতের প্রচুর টাকা আত্মসাত করা হয়েছে অভিযোগ করেন সাইমা।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অনিয়ম দূর্নীতির প্রতিকার ও সৃষ্ট জটিলতা সমাধানে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। আজকের তানোর