সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৪:৫৯ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর : রাজশাহীর তানোরে বয়স্ক ভাতার টাকা ফেরৎ চাওয়ায় বড় বোনকে বেধড়ক মারপিট করে হাত ভেঙ্গে দিয়েছে ছোট ভাই। ঘটনাটি ঘটেছে তানোর পৌর এলাকার ধানতৈড় গ্রামে। এঘটনায় বড় বোন ফরিদা বাদি হয়ে ছোট ভাই কাউসার আলীসহ ৩ জনকে আসামী করে তানোর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
কিন্তু থানা পুলিশ ঘটনার ৩৫ দিনেও আইনগত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এতে বেপরোয়া কাউসার বোন ফরিদাকে পথে ঘাটে প্রাণনাশের হুমকি অব্যহত রেখেছেন। এছাড়াও তাকে লোকসমাজে বিভিন্ন ভাকে অপমান অপদস্থ্য করছে কাউসার।
অভিযোগ, পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, তানোর পৌর এলাকার ধানতৈড় গ্রামের জৈনক নহির মন্ডলের নামে বয়স্ক ভাতা গ্রহনের জন্য পুত্র কাউসারের মোবাইল নম্বর দেয়া হয়।
কাউসারের মোবাইলে নিয়মিত ভাবেই বয়স্ক ভাতার টাকা আসতে শুরু করে। গত ৫ এপ্রিল বিকালে বড় বোন ফরিদা ছোট ভাই কাউসারকে ওই ভাতার টাকা তার বাবাকে দিতে বলেন।
এনিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটা কাটির একপর্যায়ে ছোট ভাই কাউসার ও তার স্ত্রী কাজল রেখা এবং সৎ বাবা আনসার আলী ফরিদা লাঠি দিয়ে বেধড়ক ভাবে মারপিট করে।
এতে ফরিদার বাম হাত ভেঙ্গে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছিলা ও কালশিরা জখম হয়ে গুরুতর ভাবে আহত করে ফেলে রেখে ছোট ভাই কাউসার ৯৯৯-এ ফোন করে চোর আটকের কথা বলে পুলিশে খবর দেন।
৯৯৯ ফোনের সুত্র ধরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চুরির কোন প্রমান না পেয়ে আহত ফরিদাকে চিকিৎসার জন্য তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠিয়ে চলে আসেন। এঘটনায় ওই দিনই ৫ এপ্রিল বড় বোন ফরিদা বাদি হয়ে তানোর খানায় ৩ জনকে আসামী করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ অভিযোগের বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি। ফলে, বিচারের দাবিতে অসহায় দরিদ্র বোন ফরিদা থানায় ধর্না দিচ্ছেন। এব্যাপারে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত ছোট ভাই কাউসার আলী সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি না হয়ে মোবাইল ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।
তবে এবিষয়ে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, অভিযোগের বিষয়ে আদৌ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না উধ্বর্তন কর্মকর্তা বলতে পারবে বলে এড়িয়ে গেছেন ওসি। আজকের তানোর