শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:১৮ am
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগমারা : দীঘিতে বিষ দিয়ে বিশ লক্ষ টাকার মাছ নিধনকারীর বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা না নেয়ায় পুলিশের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করছেন মৎস্য চাষী হাফিজুর রহমান। ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ঝিকরা ইউনিয়নের ফৌজদারপাড়া গ্রামে। তিনি উপজেলার ঝিকরা ইউনিয়নের মাধাইমুড়ি গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
ওই ঘটনার পর থেকে তাকে পাগলের মত ঘুরতে দেখা গেছে। তবে পুলিশ বলছে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে, ক্লু পেলেই অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে বাগমারা থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার ঝিকরা ইউনিয়নের মাধাইমুড়ি গ্রামের হাফিজুর রহমান একই ইউনিয়নের ঝিকরা ফৌজদারপাড়া গ্রামে ১২ বিঘার একটি দীঘি লীজ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছিলেন। গত সোমবার (২ মে) ঈদের দিনে রাত সাড়ে ৮ টার দিকে একই গ্রামের জনৈক দুই ব্যক্তি সবার অজান্তে ওই দীঘিতে বিষ প্রয়োগ করেন। দীঘির পাড়ের লোকজন ঘটনাটি দেখতে পেয়ে মালিক হাফিজুর রহমানকে মুঠোফোনে জানান।
খবর পেয়ে তিনি সাথে সাথে দীঘিতে এসে মাছ পরার বিষয়টি দেখতে পান এবং এলাকার লোকজনের সহযোগীতা নিয়ে প্রায় ২০০ মনের মত মাছ উদ্ধার করে বাজারজাত করেন। ঈদের দিনে মাছের দাম না পাওয়ায় তিনি হতাশ হয়ে পড়েন। এছাড়াও প্রায় ২৫ থেকে ৩০ মন মরা মাছ নষ্ট হলে সে গুলো ফেলে দিতে হয় বলে তিনি জানান। মাছ চাষী হাফিজুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, বিষ প্রয়োগে তার দীঘির প্রায় বিশ লক্ষ টাকার ক্ষতি স্বাধন হয়েছে।
মাছ নিধনের ঘটনাটি রাতেই মাছ চাষী হাফিজুর রহমান একই এলাকার দুই ব্যক্তির নামে বাগমারা থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন। এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও পুলিশ রহস্যজনক কারনেই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। দীঘির পাড়ের লোকজন বিষ দিয়ে মাছ নিধনকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেও পুলিশের ভুমিকার কারনে তারাও পিছু হঠতে শুরু করেছেন। দীঘির মাছ মরা যাওয়ার কারনে বেকায়দায় পড়েছেন মাছ চাষী হাফিজুর রহমান। তিনি পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, তদন্ত চলছে, এখনো কোন ক্লু পাওয়া যায়নি। কোন কিছু পাওয়া গেলেই তাদেরকে গ্রেফতারের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। আজকের তানোর