মঙ্গবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৭:৪৬ am
নিজস্ব প্রতিবেদক : ঈদের কেনাকাটার শেষ মুহর্তে এসে বেশীরভাগ মানুষই একসঙ্গে মার্কেটমুখি হওয়ায় রাজশাহীতে ব্যাপক যানজটের সুষ্টি হয়েছে। কেনাকাটায় শহরের মানুষের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন গ্রামের মানুষও। আর বাড়তি মানুষের সঙ্গে সড়কে যুক্ত হয়েছে বাড়তি যানবাহনও।
এতে রমজানের শেষভাগে এসে অসহনীয় যানজট দেখা দিয়েছে রাজশাহীতে। তীব্র যানজট সামলাতে ট্রাফিক পুলিশকে প্রচণ্ড বেগ পেতে হচ্ছে। অল্প সংখ্যক জনবল দিয়ে সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন প্রান্তের এই বিশাল যানজট নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে হিমশিম খেতে হচ্ছে ট্রাফিক পুলিশকে।
ঈদের সময় যতই গড়াচ্ছে কেনাকাটায় মার্কেটমুখী মানুষের সমাগম ততই বাড়ছে। সকালে এবং বিকেলে যানজট তীব্র আকার ধারণ করছে। দুপুর ১২টার পর থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তীব্র গরমে সমাগম একটু কম থাকলেও বিকেল নামতেই ভিড় বাড়ছে। এ সময় মহানগরীর প্রধান প্রধান সড়ক কার্যত যানবাহনে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ছে। এতে গন্তব্যে পৌঁছাতে মানুষকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
নগরীর শালবাগান থেকে শহীদ কামারুজ্জামান চত্বর, গ্রেটার রোড থেকে বর্ণালীর মোড়, লক্ষ্মীপুর মিন্টু চত্বর থেকে রামেক হাসপাতাল হয়ে ঘোষপাড়া মোড়, ফায়ার সার্ভিস চৌরাস্তা থেকে সোনাদীঘি মণিচত্বর, সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট থেকে কুমারপাড়া এই সড়কগুলোতে এখন যানজট বেশি হচ্ছে।
এসব সড়কের দু’পাশের ফুটপাত এবং মূল সড়কেই দোকান বসিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। দোকানিদের দৌরাত্ম্য এবং চালকদের স্বেচ্ছাচারিতায় যানজটে নাকাল হয়ে পড়েছে রাজশাহীবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
তীব্র গরমের কারণে সকালেই মার্কেটে বেশি যাচ্ছেন ক্রেতারা। যে কারণে প্রতিদিন সকাল ৮টার পরপরই মার্কেটগুলোতে গমগম করছে মানুষ। এর মধ্যে ব্যস্ততম সড়কের ফুটপাতসহ সড়ক জুড়েই নানান পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসছেন ব্যবসায়ীরা। এতে ফুটপাতসহ সড়কেও ক্রেতাদের জটলা তৈরি হচ্ছে। অপরদিকে, ইচ্ছামতো গাড়ি পার্কিং করছে অনেকেই। এতে সড়কে যানজট তৈরি হচ্ছে।
রাজশাহী মহানগর ট্রাফিক পুলিশের উপ-কমিশনার অনির্বান চাকমা বলেন, এটি রিকশার শহর। অভ্যন্তরীণ রুটে কোনো গণপরিবহন না থাকায় পুরো সড়কই থাকে রিকশার দখলে। তাই রিকশা ও অটোরিকশায় ঠাসা হয়ে উঠেছে রাজশাহী।
এরমধ্য আবার ঈদ উপলক্ষে বাইরের বিভিন্ন উপজেলা থেকেও রিকশা-অটোরিকশা ঢুকে পড়েছে রাজশাহী শহরে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সব সড়কে যানজট লেগেই থাকছে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে মহানগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টসহ তিনটি সড়ক ওয়ানওয়ে করা হয়েছে। কিন্তু এরপরও সুফল মিলছে না।
পরিস্থিতি সামলাতে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি এখন থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ শহরজুড়ে কাজ করছেন বলেও জানান রাজশাহী মহানগর ট্রাফিক পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অনির্বান চাকমা। আজকের তানোর