রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৯:০০ pm
ক্রীড়া ডেস্ক : আর্জেন্টিনার দুই ফুটবল জাদুকর ডিয়েগো ম্যারাডোনা আর লিওনেল মেসির মাঝে তুলনা টানা নতুন কিছু নয়। দুজনের খেলার ধরন, দেশের হয়ে এবং ক্লাব ফুটবলে দুজনের অর্জন– সব মিলিয়ে তুলনার প্রসঙ্গ এসেই যায়।
তবে ম্যারাডোনাপুত্র ম্যারাডোনা জুনিয়র এই তুলনাকে পুরোপুরি অমূলক মনে করেন। ম্যারাডোনা জুনিয়রের মতে, মেসি এই সময়ের সেরা হতে পারেন, তবে সর্বকালের সেরা হওয়া বা ম্যারাডোনার সমকক্ষ হওয়ার যোগ্যতা এখনো অর্জন করেননি তিনি।
সম্প্রতি আর্জেন্টাইন রেডিও স্টেশন রেডিও দেল প্লাতায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে ম্যারাডোনা আর মেসির মাঝে তুলনা টানার প্রসঙ্গে নিজের মত ব্যক্ত করেন ম্যারাডোনা জুনিয়র, ‘আমি তার (মেসি) সমাদর করি। আমি মনে করি সে তার সময়ের সেরা, তবে সর্বকালের সেরা নয়। আমার বাবার পর্যায়ে যাওয়া কারও পক্ষে সম্ভব নয়।’
তবে এর মানে এই নয় যে ম্যারাডোনা জুনিয়র মেসিকে পছন্দ করেন না, আর্জেন্টিনাকে কোপা আমেরিকা জিতিয়ে মেসি নিন্দুকদের মুখ বন্ধ করায় খুশি ম্যারাডোনা জুনিয়র, ‘জাতীয় দলকে যখন মেসি কোপা আমেরিকা জিতিয়েছিল তখন অনেক খুশি হয়েছিলাম, ওটার মাধ্যমে সে অনেকের মুখ বন্ধ করেছিল। তবে আমার বাবা সবার উপরে। মেসি হয়ত মানব ইতিহাসের সেরা হতে পারে, তবে আমার বাবা তো মানুষের চেয়েও বেশি কিছু ছিলেন।’
যে বছর ম্যারাডোনার অতিমানবীয় পারফরম্যান্সের সুবাদে বিশ্বকাপ জিতেছিল আর্জেন্টিনা, সেই ১৯৮৬ সালেই নেপলসে ক্রিস্তিয়ানা সিনাগ্রা নামক এক নারীর সঙ্গে ম্যারাডোনার সম্পর্ক থেকে জন্ম হয় ম্যারাডোনা জুনিয়রের।
ম্যারাডোনা অবশ্য প্রথমে তার এই পুত্রের পিতৃত্ব স্বীকার করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন, পরবর্তীতে ১৯৯৩ সালে আদালত ম্যারাডোনাকে তার পিতা হিসেবে ঘোষণা করে।
আর ম্যারাডোনার সঙ্গে তার এই পুত্রের প্রথম দেখা হয়েছিল তারও দশ বছর পর ২০০৩ সালে। শেষতক ২০০৭ সালে ম্যারাডোনা তার এই সন্তানকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করে নেন।
সাক্ষাৎকারে তাকে সন্তান হিসেবে স্বীকার করে নিতে ম্যারাডোনার গড়িমসির বিষয়টিতেও আলোকপাত করেন ম্যারাডোনা জুনিয়র, ‘ডিয়েগো (ম্যারাডোনা) অনেকবার আমার কাছে ক্ষমা চেয়েছে।যেহেতু অতীতকে পরিবর্তন করা সম্ভব না, তাই আমরা অতীতকে ভুলে একটা ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করেছিলাম।’
২০২০ সালের ২৫ নভেম্বরে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পরলোকগমন গড়েন সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার ডিয়েগো ম্যারাডোনা। আজকের তানোর